বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় গর্ভে সন্তান ও মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তবে পালিয়ে গেছে হাসপাতালের মালিক।
মঙ্গলবার নিহতের পরিবার সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ বিকালে সাভার থানা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ‘পলাশ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক (প্রা:) লি:’ -এ অভিযান চালিয়ে আয়া শামসুন্নাহারকে (৪২) আটক করে।
নিহত তানিয়া আক্তার (২০) আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার আজিজুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তানিয়ার প্রসব ব্যাথা উঠলে সোমবার আয়া এবং ওই হাসপাতালের দালাল শামসুন্নাহার পলাশ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অনুমতি না নিয়ে সন্ধ্যায় সিজারের প্রস্তুতি নেয়।
অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আধা ঘন্টা পরে তাদের কাছে কাগজে সই নেই এবং রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঢাকা মেডিকেল পাঠানোর কথা বলে। তথন দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের জানান গর্ভের সন্তান ও মা দুজই অনেক আগেই মারা গেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী ও সন্তান তাদের হাসপাতালেই মারা গেছে৷ হাসপাতালের চিকিৎসকরা যখন অপারেশন করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়েছেন। তখন ঢাকা মেডিকেল পাঠানো কথা বলেছেন। তিনি এঘটনার সুষ্ট বিচার দাবী করেন।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের পর হাসপাতালে অভিযানে গিয়ে কর্তৃপক্ষ কাউনে না পেয়ে আয়া শামসুন্নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, মামলা নথিভুক্তের প্রক্রিয়া চলছে।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমজাদুল হক বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশের সাথে কথাও বলেছি। মামলা নথিভুক্ত হলে আমরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নিব। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছে, তারা অজ্ঞান করার ঔষধও দিয়েছিল কিন্তু সিজার করার আগেই রুগীনীর অবস্থা খারাপ হলে ঢাকা মেডিকেলে পাঠায় কিন্তু পথেই মারা যায়। তার ধারনা এনেসথেসিয়ায় কোন সমস্যার কারনে এঘটনা ঘটতে পারে।
এপ্রসঙ্গে পলাশ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক (প্রা:) লি: এর মালিক মোকারম হোসেন পলাশের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।