মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত বেশ দ্রæততার সাথে মার্কিন ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম-টু (এনএএসএএমএস-টু) কেনার দিকে এগুচ্ছে। এর পাশাপাশি নিজস্বভাবে তৈরি, রাশিয়ান ও ইসরাইলি সিস্টেম দিয়ে রাজধানী দিল্লীকে ড্রোন বা ব্যালিস্টিক মিসাইলের হুমকি থেকে সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা করছে তারা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিদেশী সামরিক ক্রয় কর্মসূচির অধীনে ৬০০০ কোটি রুপিরও বেশি অর্থ ব্যয়ে এই এনএএসএএমএস-টু সিস্টেম কেনা হচ্ছে এবং জুলাই-আগস্টের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে অনুমোদন পত্রের চূড়ান্ত খসড়া পাঠাবে। একটি সূত্র জানিয়েছে, “বেশ কয়েক দফা দর কষাকষি হয়েছে, যার মধ্যে দিল্লির চারপাশে মিসাইল ব্যাটারি স্থাপনের জায়গা চিহ্নিত করার বিষয়টিও ছিল। চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে এই সিস্টেম হস্তান্তরে দুই থেকে চার বছর সময় লাগবে”। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আগে এনএএসএএমএস সিস্টেম কেনার ব্যাপারে ‘প্রয়োজনীয়তা অনুমোদন’ দিয়েছে। এরপরই ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আনুষ্ঠানিক ‘অনুরোধ পত্র’ (এলওআর) পাঠায়। যুক্তরাষ্ট্র যদিও তাদের টার্মিনাল হাই আলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) এবং প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্সড ক্যাপাবিলিটি (প্যাক-থ্রি) মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কেনার জন্য ভারতের উপর চাপ দিচ্ছে, তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার কাছ থেকে পাঁচটি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সার্ফেস-টু-এয়ার মিসাইল ক্রয় চুক্তি বাতিলের কোন পরিকল্পনা তাদের নেই। চার বছরের ব্যাপক দর কষাকষির পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এ ব্যাপারে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তিও হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাউন্টারিং অ্যামেরিকাস অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাঙ্কশান্স অ্যাক্টের (সিএএটএসএ) অধীনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয়া সত্বেও রাশিয়া ও ভারত ওই চুক্তি করে। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, “আমেরিকান থাড রাশিয়ান এস-৪০০ এর সাথে তুল্য নয়, তবে এটা দিয়ে আমাদের অভিযানের প্রয়োজনীয়তা মিটবে”। এনএএসএএমএস সিস্টেমটি বিশেষভাবে কেনা হচ্ছে রাজধানী দিল্লীর নিরাপত্তার জন্য। অন্যদিকে এস-৪০০ সিস্টেম কেনার উদ্দেশ্য হলো চীন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমান্তে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জন। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যে এই সিস্টেম সরবরাহের কথা রয়েছে। এস-৪০০ সিস্টেম ৩৮০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে শত্রপক্ষের বোমারু বিমান, জঙ্গি বিমান, গোয়েন্দা বিমান, মিসাইল এবং ড্রোনকে চিহ্নিত করে সেটাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সূত্র জানিয়েছে, দিল্লীকে সুরক্ষার জন্য যে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সেখানে সবচেয়ে ভেতরের স্তরের সুরক্ষা দেবে এনএএসএএমএস সিস্টেম। এটা হবে স্টিনজার সার্ফেস-টু-এয়ার মিসাইল, গান সিস্টেম এবং এআইএম-১২০সি০=-৭ এএমআরএএএম সিস্টেমের একটা সমন্বয়, যেটাকে সহায়তা দেবে ত্রিমাত্রিক সেন্টিনেল রাডার, ফায়ার-ডিস্ট্রিবিউশান সেন্টার এবং কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল ইউনিট। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।