নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : যে নির্বাচক কমিটির মেয়াদকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পারফরমেন্সে কেড়েছে নজর। মুস্তাফিজুর, জুবায়ের, তাসকিন, তাইজুলদের আবিস্কার করেছে যে নির্বাচক কমিটি, হুট করে সেই তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটির পরিধি ৭ জনে উন্নীত করার প্রস্তাব উঠেছে। নির্বাচকমÐলীতে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান, টীম অপারেশন্স ম্যানেজার এবং কোচকে যুক্ত করার প্রস্তাবনা দিয়েছে ওয়ার্কিং কমিটি। জুনিয়র এজ গ্রæপের এক নির্বাচককে পদোন্নতি দিয়ে মূল নির্বাচক কমিটিতে অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাবও এসেছে। এ নিয়ে গতকাল বিসিবি সভাপতি কথা বলেছেন টেকনিক্যালক কমিটির সঙ্গেও। নিয়েছেন তাদের মতামত। তবে টীম ম্যানেজার এবং অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানকে নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত করার যে প্রস্তাব উঠেছে, সেখানে তাদের সরাসরি সর্ম্পৃক্ততা থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপিÑ ‘যে সুপারিশগুলো এসেছে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তিনজন নির্বাচক ছিলেন,তাদের সঙ্গে একজন হয়তো বাড়বে। কোচকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটিও একমত হয়েছেন। দল নির্বাচনে ক্রিকেট অপরাশেন্স কমিটি থাকছে না। যার যার মতো খেলোয়াড় দেখে এসে তৈরি করবে দল। রোর্ডে বা আমার কাছে আসার আগে এক জায়গায় মিলিত হবেন, ওখানে ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান থাকবেন। কিন্তু নির্বাচনে ক্রিকেট অপারেশন্সের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। ম্যানেজারকে অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারে আমার কাছে সুপারিশ আসেনি এখন পর্যন্ত।’
জাতীয় দলের বেতনভুক্ত নির্বাচক কমিটির পরিধি ৩ থেকে ৪ জনে উন্নীত করার পক্ষে তার যুক্তিÑ ‘সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা সব জায়গাতেই আমাদের নির্বাচকদের গিয়ে দেখা উচিত, ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলাগুলো।’ তবে নির্বাচক কমিটিতে কোচের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কোচের দায়িত্বের পরিধি বাড়ানোর পক্ষে তিনি। কোচকে নির্বাচকদের মতো মাঠে মাঠে ঘুরে,ঘরোয়া ক্রিকেট ভালভাবে দেখে খেলোয়াড় নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়ার পক্ষে বোর্ড সভাপতিÑ ‘আমি চাচ্ছি কোচও খেলা দেখুক। আমি চাচ্ছি কোচের যখন সময় থাকে তখন সে বসে না থেকে সে খেলা দেখুক। এতে তার রোল থাকে। সবার কাজটা আরেকটু বাড়ানো হচ্ছে। আমি চাচ্ছি ঘরোয়া সব খেলাগুলো কেউ না কেউ দেখে। নতুন উদীয়মান যে খেলোয়াড় আছে তাদের কথা যেন সবাই জানে। হঠাৎ একটা নাম আসলো, অথচ তাকে কোচ চিনেন ই না, এমন যেন না হয়।’
২ বছর মেয়াদে চুক্তিতে বছরে সর্বোচ্চ ১ মাস ছুটি কাটানোর কথা থাকলেও টি-২০ বিশ্বকাপের পর টানা ২ মাস দলের সঙ্গে নেই হাতুরুসিংহে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট চলাকালে ছুটি ভোগ করেছেন তিনি অতীতে,এখনো করছেন। চুক্তি নবায়নে তাই ঘরোয়া ক্রিকেট দেখা কোচের জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি বসÑ ‘তিনি সিলেকশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলে কি করে বলবেন। এটা যেন না করতে পারে সে জন্যই তাকে অন্তর্ভূক্ত করা। বছরে ক’দিন কাজ করবেন, চুক্তিতে তা আছে। তবে এর জন্য সে এডভান্টেজ নিচ্ছেন, বা আমাদের যা দেওয়ার তা দিচ্ছেনা এমন কিছু ঘটেনি।’
নির্বাচক কমিটিতে থাকছেন না প্রধান নির্বাচক,তা নাকি ঠিক হয়নি। নির্বাচক কমিটির পরিধিও আছে প্রস্তাবনার পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন তিনিÑ ‘এটা নিয়ে ফাইনাল কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উনারা (ওয়ার্কিং কমিটি) একটা প্রপোজাল দিয়েছেন, তা বোর্ড মিটিংয়ে আসবে। সব মিলিয়ে যেটা ভালো হয় সেটাই বোর্ডে প্রেজেন্ট করা হবে। ’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।