নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে টিকে থাকার লড়াইয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সামনে চাপে থাকা লাওস। দু’দল ফিরতি ম্যাচে মঙ্গলবার পরস্পরের মোকাবেলা করছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে প্রাক-বাছাইয়ের হোম এন্ড অ্যাওয়ের ফিরতি লেগের ম্যাচটি। এ ম্যাচে মাঠে নামার আগে বেশ ফুরফুরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। কারণ অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে এগিয়ে আছে তারা। গত ৬ জুন লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়ানে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগের ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক দলকে। তবে ওই ম্যাচ জিতে উৎসবে গা ভাসায়নি লাল-সবুজরা। অন্যদিকে হেরে আশা ছেড়ে দেয়নি লাওস। তবে ফিরতি ম্যাচে মাঠে নামার আগে মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। অ্যাওয়ে ম্যাচের জয় এবং এবার ঘরের মাঠে খেলা। দু’টোই বাংলাদেশের জন্য অ্যাডভান্টেজ। কিন্তু এসব দিকে খেয়াল নেই বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র। তিনি ফিরতি ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।
লাওসের মাঠে আগের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও পারফরম্যান্সে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরাই। অনেকগুলো সুযোগ সৃষ্টি করেও গোলের দেখা পাননি লাওসের ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ পেয়ে তার একটি কাজে লাগিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। আর এ জয়েই নিজেদের মাঠে অতিথি দলের চেয়ে এগিয়ে থাকছে স্বাগতিকরা।
প্রথম লেগের ম্যাচ শেষে লাওস ও বাংলাদেশ দল গত শনিবার কয়েক ঘন্টা আগে-পড়ে ঢাকায় পা রাখে। ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বলেন,‘ এখনো কাজ শেষ হয়নি। আসল কাজটি করতে হবে ঢাকায়।’ এর কয়েক ঘন্টা পর লাওসের কোচ সুন্দরতমূর্তী ঢাকায় এসে বলেন, ‘এখান থেকে জয় নিয়েই ফিরতে চাই।’
প্রাক-বাছাই টপকে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলার যোগ্যতা পেতে হলে লাওসের বিপক্ষে এই ম্যাচে বাংলাদেশের দরকার নূন্যতম ড্র। আর লাওসের প্রয়োজন একাধিক গোলের জয়। এই সমীকরণই মানসিকভাবে এগিয়ে রাখছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। তবে স্বাগতিক দলের কোচের লক্ষ্য ড্র নয়, জয়। তিনি জানান, তার দল জয়ের জন্যই খেলবে। ম্যাচের আগে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সরাসরি বলেছেন তারা জয় পেতেই মাঠে নামবেন। জেমি ডে বলেন,‘কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে হলে লাওসের বিপক্ষে ড্র পেলেই চলবে আমাদের। কিন্তু আমরা ড্র নয়, জয়ের জন্য খেলবো। আর জিততে হলে ভিয়েনতিয়ানের চেয়ে ভালো ফুটবল খেলতে হবে ঢাকায়। কারণ, আগের ম্যাচে প্রথমার্ধটা খুব খারাপ কেটেছে আমাদের। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ছেলেরা ভালো খেলে জয় তুলে নিতে পেরেছে। তবে ওসব এখন অতীত। আমরা বর্তমান নিয়ে ভাববো এবং জয় পেয়ে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলবো এটা আমাদের লক্ষ্য।’ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও কোচের কথায় সুর মেলালেন।
অন্যদিকে লাওসের কোচ সুন্দরতমূর্তী বলেন,‘অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও আমাদের লক্ষ্য ঢাকায় তাদেরকে একাধিক গোলে হারানো। তবেই বিশ্বকাপের বাছাইয়ে খেলতে পারবো আমরা। ছেলেরা চেষ্টা করবে এখানে ভালো ফুটবল উপহার দিয়ে জয় তুলে নিতে। যদিও কাজটা কঠিন। কারণ বাংলাদেশ ঘরের মাঠে স্বাগতিক সুবিধা আদায় করে জয় পেতে চাইবে। আমার ধারণা ম্যাচটি উপভোগ্য হবে।’
ঢাকার ম্যাচ শেষে একটি দলকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট ধরিয়ে দেবে এএফসি। অন্য দলকে দেবে বছর আড়াই বছরের জন্য বিশ্রাম। বাদ পড়া দলটি ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই শুরুর আগে ফিফা ও এএফসির কোনো ম্যাচ খেলারই সুযোগ পাবে না।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লাওস ১৮৪, বাংলাদেশ ১৮৮। র্যাঙ্কিংয়ে লাওস এগিয়ে থাকলেও দু’দলের অতীত পারফরমেন্সে এগিয়ে বাংলাদেশ। এর আগে চারবার মুখোমুখি হয়েছে দু’দেশ। যেখানে বাংলাদেশের জয় দুটি, লাওসের একটি। এক ম্যাচ ড্র হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।