অস্ট্রেলিয়া নামটি যে কোনো প্রতিপক্ষের কাছে বরাবরই সমীহ জাগানিয়া। আর বিশ্বকাপ হলে তো কথাই নেই। বুধবার টন্টনে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে অজিদের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ম্যাচকে সামনে রেখে আত্মবিশ্বাসের কথা জানালেন পাক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ হাফিজ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আসরের ফেবারিট ও স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারানোয় আত্মবিশ্বাস নিয়েই পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। এজন্য সতীর্থদের উজ্জীবিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন হাফিজ।
৩৮ বছর বয়সী হাফিজ নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার ৬২ বলে ম্যাচ জয়ী ৮৪ রানের সুবাদে পাকিস্তান ৮ উইকেটে ৩৪৮ রানের বড় ইনিংস গড়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের হতাশাজনক পরাজয়ের পর শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে দারুনভাবে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় সরফরাজ আহমেদের দল।
হাফিজ বলেন, ‘আমি মনে করি ১০ দলের যে কোনো দল যে কোন সময়ই পরাজিত হতে পারে। ইংল্যান্ডের দিকে তাকালে দেখা যাবে এই মুহূর্তে তারা শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলছে। সবাই মনে করছে তাদেরকে পরাজিত করা অসম্ভব।’ ওভালে রোববার ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৩৬ রানের পরাজয়ের আগে হাফিজ বলেন, ‘আসলে কোন দলই অপরাজেয় নয়। আমাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াও দারুন ছন্দে আছে। কিন্তু তারাও যেকোন সময়ই পরাজিত হতে পারে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রেকর্ড মোটেই সন্তোষজনক নয়। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ানদের বিপক্ষে শেষ ১৪টি ওয়ানডের মধ্যে পাকিস্তান মাত্র একটিতে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে শেষ পাঁচটি বিশ্বকাপের মধ্যে চারটিতেই জয়লাভ করা অস্ট্রেলিয়া মার্চে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ করেছিল। যদিও ঐ সিরিজে পাকিস্তান তাদের সাতজন শীর্ষ খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছিল। হাফিজ বলেন, ‘অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের রেকর্ড মোটেই ভাল নয়। কারন তারা শক্তিশালী ক্রিকেট খেলে। কিন্তু প্রতিদিনই নতুন দিন, এটা বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে আমরাও লড়াইয়ে ফিরে এসেছি।’
শুক্রবার ব্রিস্টলে বৃষ্টির কারনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেনি পাকিস্তান। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হওয়ায় দুই দলকে এক পয়েন্ট করে দেয়া হয়েছে। হাফিজ বলেন, ‘অবশ্যই বিষয়টি হতাশার। কিন্তু আবহাওয়ার উপর কারো হাত নেই। এটা মেনে নিতেই হবে। আমি নিশ্চিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা যেভাবে খেলেছি পরবর্তী ম্যাচেও সেটা বজায় রাখতে পারবো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া অবশ্যই ব্যাটসম্যানদের ভুল ছিল। তবে আমরা সেটা বুঝতে পেরেছি। ক্রিকেটে একটি দিন খারাপ আসতেই পারে। নিজেদের ফিরিয়ে আনার জন্য একে অপরকে সহযোগিতা করে ইতিবাচক বিষয়গুলো নেবার চেষ্টা করেছি।’
বিশ্বকাপের ঠিক আগে ৪-০ ব্যবধানে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ইংলিশদের পরাজিত করে টানা ১১টি পরাজয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে বিরানব্বইয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।