পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানুষ খুন করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একসময় ধারণা করা হতো কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গি হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রদেরও হঠাৎ মনে হলো, বেহেশতে যেতে হবে, মানুষ খুন করতে হবে। কোথায় লেখা আছে মানুষ খুন করলে বেহেশতে পাঠানো হবে? কেউ কি মানুষ খুন করে বেহেশতে পৌঁছে মেসেজ দিয়েছে?
১১ দিনের ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে রবিবার (৯ জুন) বিকেল ৫টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওআইসি সম্মেলনে আমার লিখিত বক্তব্যে অনেক কিছু ছিল না। আমি লিখিত বক্তব্যের বাইরেও অনেক কথা বলেছি। আমি বলেছি, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যদি কোনও দ্বন্দ্ব থাকে, কেন আমরা আলোচনা করে এসবের সমাধান করতে পারছি না? ওআইসির এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আমাদের সমস্যাগুলো যদি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি, তাহলে আত্মঘাতী সংঘাত আর রক্তপাত হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশেও মানুষ খুন করে খুনিরা বলে, এই তো আমরা বেহেশতের কাছে পৌঁছালাম। বেহেশতে কে পৌঁছাতে পেরেছে? যারা মানুষ খুন করেছে, তারা একজনও বেহেশতে পৌঁছাতে পেরেছে? এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তো বহু মেসেজ দেয়, কেউ কি পাঠিয়েছে যে, ‘আমি মানুষ খুন করে এখন বেহেশতে বসে আঙুর ফল খাচ্ছি?’ দেখা যাচ্ছে, মুসলমানই মুসলমানদের হত্যা করছে।’
শেষ বিচার আল্লাহ করবেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে ভালো মুসলমান, কে ভালো মুসলমান না, কে সঠিক, কে সঠিক না, কে ভালো কাজ করছে, কে করছে না, তার বিচার করার দায়িত্ব আল্লাহ ও রসুল আমাদের দেননি। কেন মানুষ আল্লাহর ক্ষমতা কেড়ে নেবে? কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, শেষ বিচার তিনি করবেন। সেখানে নিরীহ মানুষ মারলে বেহেশত পাওয়া যাবে, সেটা তো কোথাও লেখা নেই। আল্লাহ কি কাউকে মানুষ মারার ক্ষমতা দিয়েছেন?’
মুসলিম কান্ট্রির মধ্যেই খুনোখুনি হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আত্মঘাতী হচ্ছি। লাভবান কে হচ্ছে? যারা অস্ত্র বানাচ্ছে, তারা। যারা অস্ত্র দিচ্ছে, তারা। ওআইসিকে বলেছি, মুসলমান মুসলমানের রক্ত নিচ্ছে। এটা ওআইসিকে বন্ধ করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে আমার বাবাও মাথানত করেননি, আমিও করবো না। যা সত্য তা-ই বলে যাবো।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান,
সউদী আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। ১১ দিনের সফর শেষে শনিবার (৮ জুন) সকালে তিনি দেশে ফেরেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ত্রিদেশীয় সফরের শুরুতে গত ২৮ মে জাপানের রাজধানী টোকিও যান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ২৫০ কোটি ডলারের অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩১ মে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে পবিত্র মক্কা নগরীতে অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেন।
সউদী সফরকালে তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালনসহ মদিনায় হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।
সউদী আরব সফর শেষে ত্রিদেশীয় সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দিনের সরকারি সফরে গত ৩ জুন ফিনল্যান্ড পৌঁছেন। ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে তিনি গত ৪ জুন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ৫ জুন তার সম্মানে অল ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।