নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ধাওয়ানের সেঞ্চুরি ও বোলাদের কৃতিত্বে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারালো ভারত। এই ফলে টানা দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩য় স্থানে উঠে আসলো কোহলির দল। ম্যাচ হারা অস্টেলিয়ার অবস্থান চারে। তাছাড়া বিশ্বকাপের ইতিহাসে অস্টেলিয়ার বিপক্ষে এটা ভারতের ৪র্থ জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৩৫২/৫ (৫০ ওভার) (রোহিত ৫৭, ধাওয়ান ১১৭, কোহলি ৮২, পান্ডিয়া ৪৮, ধোনি ২৭, রাহুল ১১*, জাদব ০*; কামিন্স ৫৫/১, স্টার্ক ৭৪/১, নাইল ৬৩/১, ম্যাক্সওয়েল ৪৫/০, জাম্পা ৫০/০, স্টোইনিস ৬২/২)
অস্ট্রেলিয়া: ৩১৬/১০ (৫০ ওভার) (ওয়ার্নার ৫৬, ফিঞ্চ ৩৬, স্মিথ ৬৯, খাজা ৪২, ম্যাক্সওয়েল ২৮, স্টোইনিস ০, ক্যারি ৫৫*, নাইল ৪, কামিন্স ৮, স্টার্ক ৩, জাম্পা ১; ভুবেনেশ্বর ৫০/৩, বুমরাহ ৬১/৩, পান্ডিয়া ৬৮/০, যাদব ৫৫/০, চাহাল ৬২/২, কেদার যাদব ১৪/০)
ফল: ভারত ৩৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: শেখর ধাওয়ান
বুমরার জোড়া আঘাত
ইনিংসের শেষের দিকে নাইলকে ৪ রানে ও কামিন্সকে ৮ রানে ফিরিয়ে দেন বুমরা। এই দুই উইকেট পতনে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রন ভারতের হাতে।
স্কোর-৪৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১২ রান।
ভুবনেশ্বর-চাহালে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ভারত
আগের ওভারেই স্মিথ-স্টয়নিসকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভুবনেশ্বর। পরের ওভারে এসেই ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চাপ আরো বাড়িয়ে দেন চাহাল।
৪২ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৫৬।
খাজার বিদায়ে বিপদে অস্ট্রেলিয়া
স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে জুটিতে দারুণভাবে টানছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। নিজেও এগুচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। তবে বুমরাহর বল সুইপ করতে গিয়ে উইকেটে টেনে বোল্ড হয়ে উসমান খাজা ফিরেছেন ৪২ রানে।
৩৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২০৭। ফিফটি তুলে স্মিথ অপরাজিত আছেন ৬৬ রানে। রেকর্ডগড়া জয় পেতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ৭৮ বলে ১৪৬ রান। হাতে ৭ উইকেট।
ফিফটিতে অস্ট্রেলিয়াকে টানছেন স্মিথ
বাজে শটে একটু আগেই বিদায় নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার সেই চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছে স্টিভেন স্মিথ। তুলে নিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেছেন উসমান খাজা (২৯)।
৩৫ ওভার শেষে ২ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৮৭। রেকর্ডগড়া জয় পেতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ৯০ বলে ১৬৬ রান। হাতে ৮ উইকেট।
ওয়ার্নারের বিদায়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া
ওয়ার্নারের বিদায়ে চাপে পড়ছে অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকে দারুন খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। চাহালের বলে ফেরার আগে ৫৬ রান করেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। স্মিথ ৩১ রানে ও খাজা ১ রানে অপরাজিত আছেন।
২৫ ওভারে শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৪ রান।
হাফসেঞ্চুরি পেলেন ওয়ার্নার
বড় রানের চাপ সামলে নিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন ওয়ার্নার। তিনি ৫০ রানে অপরাজিত আছেন। স্মিথ অপরাজিত আছেন ১৫ রানে।
দলীয় সংগ্রহ ২২ ওভারে ১০৭/১।
ওয়ার্নার-স্মিথের ব্যাটে শতরানে অস্ট্রেলিয়া
ফিঞ্চের রান আউট হওয়ার পর ওয়ার্নার-স্মিথে একশ রান ছাড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের ২১তম ওভারে শতরানে পৌছেছে ক্যাঙ্গারুরা। রেকর্ড রান তাড়ায় এখন অবধি ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ওয়ার্নার ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন। স্মিথ খেলছেন ১৪ রানে।
দলীয় সংগ্রহ ২১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০৫ রান।
রান আউট হয়ে ফিরলেন ফিঞ্চ
দুর্দান্ত খেলছিলেন ফিঞ্চ। মাত্র ৩৫ বলেই করেছিলেন ৩৬ রান। কিন্তু চাপ সামলাতে না পেরে এক রানের জায়গায় দুই রান নিতে গিয়েই রানআউট হয়ে যান তিনি। ওয়ার্নার ২৩ রানে ও ক্রিজে নতুন আসা স্মিথ ০ রানে অপরাজিত আছেন।
স্কোর-১৪ ওভারে ৬৩/১।
ওয়ার্নার-ফিঞ্চে এগুচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের ব্যাটে সঠিক পথে এগুচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের ১১তম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় তারা। ফিঞ্চ ৩১ ও ওয়ার্নার ১৯ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ৫২ রান।
অস্ট্রেলিয়ার সাবধানী শুরু
রেকর্ড রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝুঁকিহীন ব্যাটিং করছে অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চ ৯ রানে ও ওয়ার্নার ৮ রানে অপরাজিত আছেন।
৫ ওভার শেষে সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৮ রান।
রানের পাহাড়ে ভারত
ধাওয়ানের সেঞ্চুরি ও কোহলি-রোহিতের অর্ধশত রানে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ভারত। ৫ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ৩৫২ রান। জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৭ রান তাড়া করে জিতেছিলো দলটি।
শেষ ওভারে দুই উইকেট
ইনিংসের শেষ ওভারে দুই উইকেটে তুলে নিয়েছেন পুরো সময় ধরে উইকেটশূণ্যথাকা স্টোইনিস। প্রথমে ধোনি (২৭) ও পরে কোহলিকে (৮২) আউট করেন তিনি।
ফিফটি পেলেন না পান্ডিয়া
মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে কামিন্সের বলে ফিরে গেলেন পান্ডিয়া। ৩টি ছয় ও ৪টি চার ঠছিলো তার ইনিংসে। ফিফটি না পেলেও দ্রুত রান করে দলের সংগ্রহকে বড় করায় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। কোহলি অপরাজিত আছেন ৭১ রানে ও ধোনি খেলছেন ০ রানে।
স্কোর-৪৬ ওভারে ৩০১/৩।
কোহলি-পান্ডিয়াতে তিনশ পেরুল ভারত
কোহলি ও পান্ডিয়ার ঝড়ো পার্টনারশিপে তিনশ রান পেরিয়ে গেছে ভারত। কোহলি ৭১ রানে ও পান্ডিয়া ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন। এই দুই ব্যাটসম্যানে বড় সংগ্রহের আশা করছে ভারত।
স্কোর-৪৫.৪ ওভারে ৩০১/২
কোহলি-পান্ডিয়া জুটির পঞ্চাশ
কোহলি ও পান্ডিয়া ঝড়ো গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন রানের চাকা। ধাওয়ানের ফেরার পর মাত্র ৭ ওভারে ৬১ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। কোহলি ৫৯ রানে ও পান্ডিয়া ৪১ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৪৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৮১ রান।
জীবন পেয়ে কোহলির ফিফটি
ব্যক্তিগত ৪১ রানে নাইলের বলে উইকেটরক্ষক ক্যারির হাতে জীবন পাওয়া কোহলি আর ভুল করলেন না। বিশ্বসেরা এই ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন তার ৫০তম ফিফটি। কোহলি ৫৭ রানে ও পান্ডিয়া ২০ রানে অপরাজিত আছেন।
৪২ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৫৭ রান।
সেঞ্চুরির পর ধাওয়ানের বিদায়
দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর রান বাড়ানোয় মনযোগী ছিলেন ধাওয়ান। স্টার্কের বলে একটি বাউন্ডারি মারার পর আবারও তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অতিরিক্ত খেলোয়াড় নাথান লায়নের তালুবন্দী হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১০৯ বলে ১১৭ রান করেন তিনি। অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে ৯৩ রানে জুটি করে দলকে অনেকটা এগিয়ে দেন তিনি। কোহলি ৪০ ও পান্ডিয়া ০ রানে অপরাজিত আছেন।
৩৭ ওভার শেষে স্কোর ২ উইকেটে ২২০ রান।
ধাওয়ানের শতকে শক্ত অবস্থানে ভারত
এবারের বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরানের দেখা পেলেন ধাওয়ান। ক্যারিয়ারে এটি তার ১৭তম সেঞ্চুরি। এই বিশ্বকাপে রোহিতের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে তিন অঙ্কে প্রবেশ করলেন তিনি। এছাড়াও আইসিসি ইভেন্টে এ নিয়ে ৬ষ্ঠ শতক হাঁকালেন তিনি। ৯৫ বলে ১৩টি চারে এই ইনিংস সাজিয়েছেন এই বাহাতি ওপেনার। ধাওয়ান ব্যাট করছেন ১০৯ রানে। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান কোহলি আছেন ৩০ রানে। ধাওয়ান-কোহলি জুটিতে এখন অবধি যোগ হয়েছে ৬৩ রান।
৩৪ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০১ রান।
ধাওয়ানের ব্যাটে এগুচ্ছে ভারত
রোহিতের বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ধাওয়ান। তিনি ৮২ রানে ব্যাটিং করছেন। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান কোহলি খেলছেন ১০ রানে।
দলীয় সংগ্রহ-২৭ ওভারে ১ উইকেটে ১৫৩ রান।
ভয়ঙ্কর রোহিতকে ফেরালেন নাইল
ভয়ঙ্কর রোহিতকে ফিরিয়ে দিলেন নাইল। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বল খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ক্যারির তালুবন্দী হন রোহিত (৫৭)। ধাওয়ানের (৬৭*) সঙ্গে জুটি বাঁধতে ক্রিজে এসেছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (০*)।
স্কোর- ২৩ ওভারে ১২৭/১।
জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে এগুচ্ছে ভারত
শেখর ধাওয়ানের পর ব্যক্তিগত ৪২তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রোহিত। তিনি এখন ৫৭ রানে ব্যাট করছেন। আরেক উদ্ভোধনী ব্যাটসম্যান ধাওয়ান ব্যাট করছেন ৬৭ রানে । এর আগে ১৯তম ওভারে দরীয় শতরান পেরিয়ে যায় ভারত।
দলীয় সংগ্রহ ২২ ওভারে বিনা উইকেটে ১২৭ রান।
ফিফটি করলেন ধাওয়ান
৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে নিজের ফিফটি পূর্ন করলেন ধাওয়ান। ক্যারিয়ারে এটি তার ২৮তম অর্ধশত রানের ইনিংস। ধাওয়ান অপরাজিত আছেন ৫১ রানে। রোহিত খেলছেন ৪২ রানে।
স্কোর-১৮ ওভারে ৯৬/০।
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রোহিত-ধাওয়ান জুটি
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রোহিত-ধাওয়ান জুটি। ম্যাচের শুরু থেকে ধৈর্যের পরীক্ষায় সফল হয়ে এাখন আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেছেন এই দুই ওপেনার। শেষ ৫ ওভারে তারা রান সংগ্রহ করেছে ৩৭। রোহিত ৩২ ও ধাওয়ান ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন।
১৬ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৮১ রান।
রোহিতের দুই হাজার রান
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় ব্যক্তিগত ২০ রানে খেলার মধ্যেই একটি মাইলফলকে পৌঁছে যান রোহিত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই হাজার রান পূর্ণ হয় তার। উল্লেখ্য, যেকোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দ্রুতগতির দুই হাজার রানের রেকর্ড এখন তার দখলে। তিনি মাত্র ৩৭ ইনিংস ব্যাট করে এই রান করেন। তিনি এখন ৩০ রানে ব্যাট করছেন। আরেক ওপেনার ধাওয়ান অপরাজিত আছেন ৩৬ রানে।
দলীয় সংগ্রহ ১৪ ওভারে ৬৯/০
রোহিত-ধাওয়ান জুটির পঞ্চাশ
রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ানের জুটি পঞ্চাশ পেরিয়েছে। ১২তম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ হয় ভারতের। রোহিত ১৯ রানে ও ধাওয়ান ৩৩ রান অপরাজিত আছেন। রোহিত ১টি ও ধাওয়ান ৫টি বাউন্ডারি মেরেছেন।
দলীয় সংগ্রহ ১২ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান।
ভারতের সতর্ক শুরু
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তের পর সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেছেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান। রোহিত ৭ রানে ও ধাওয়ান ১০ রানে অপরাজিত আছেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে স্টার্কের বলে মাত্র ২ রানে কোল্টার নাইলের হাতে জীবন পান রোহিত।
দলীয় সংগ্রহ ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ১৮ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
বিশ্বকাপের ১৪তম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টসে জিতলে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। জয়ের ধারা বজায় রাখতে কোন দলই মূল একাদশে কোন পরিবর্বতন করেনি। আগের একাশ নিয়েই মাঠে নামছে দুই দল।
ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো পিচ হওয়ায় ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর উদ্দেশ্যেই ব্যাটিং নিয়েছেন বলে জানান কোহলি। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চের বক্তব্যও ছিলো একই রকম।
ভারত স্কোয়াড: রোহিত শর্মা, শেখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), কে এল রাহুল, কেদার জাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি (উইকেটরক্ষক), হার্ডিক পান্ডিয়া, ভুবেনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, যুগবেন্দ্র চাহাল, জসপ্রিত বুমরা।
অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোইনিস, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), ন্যাথান কোল্টার নাইল, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা।
টানা জয়ের লক্ষ্যে মুখোমুখি ভারত-অস্টেলিয়া
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৪তম ম্যাচে দ্য ওভালে আজ দুপুর সাড়ে তিনটায় মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ মঞ্চে টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত অস্ট্রেলিয়ার নজর থাকবে এবারের আসরে টানা তিন জয়ে। অন্যদিকে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো ভারতও চাইবে জয়ের ধারা বজায় রাখতে।
এই ম্যাচে ব্যাটিংও স্পিন আক্রমনে এগিয়ে ভারত। ভারতের ব্যাটিংকে বিশ্বসেরা ব্যাটিং-লাইনআপও বলা হয়। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে শেষ রক্ষা হয় লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান কোল্টার নাইলে। আর স্পিন আক্রমনে চাহাল-যাদব জুটি গত দুই বছর ধরে পরীক্ষিত। অন্যদিকে খুব একটা পরীক্ষিত নন জাম্পা। স্টার্কের নেতৃত্বে পেস বোলিংয়ে এগিয়ে থাকবে অস্টেলিয়া। বিপক্ষ শিবিরে তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বুমরা। তাই ২২ গজের মহাযুদ্ধে একটা উপভোগ্য লড়াইয়ের প্রত্যাশা করাই যায়।
ওভাল এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচের আয়োজক হয়েছে ৬৮ বার। যার মধ্যে ৪০ ম্যাচেই রান তাড়া করতে নামা দল জয় তুলে নিয়েছে। এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের। ২০১৫ সালে কিউইরা ৩৯৮ রান করে। সর্বোচ্চ রান ইভিন লুইসের অপরাজিত ১৭৬। সেরা বোলিং স্পেল পাকিস্তানের উমর গুলের, ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ রানে ৬ উইকেট।
তাই সবশেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়নের (ভারত-২০১১, অস্ট্রেলিয়া ২০১৫) লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে টস।
পরিসংখ্যান:
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয় ভারত। এবার আবারও মুখোমুখি দুই দল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারত এগিয়ে থাকলেও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে উল্টো কথা।
ওয়ানডেতে:
ম্যাচ: ১৩৬
অস্ট্রেলিয়া জয়ী: ৭৭
ভারত জয়ী: ৪৯
পরিত্যক্ত: ১০
বিশ্বকাপে:
ম্যাচ: ১১
অস্ট্রেলিয়া জয়ী: ৮
ভারত জয়ী: ৩
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।