Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাপ্তি কেবল সাকিবের সেঞ্চুরি

ইংল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩৮৬/৬ বাংলাদেশ : ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ ফল : বাংলাদেশ ১০৬ রানে পরাজিত

ইমরান মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৯, ১:০৭ এএম

৩৭৩/৩, ৩৫৯/৪, ৩৪১/৭, ৩৫১/৯, ৩১১/৮, ৩৩৪/৯- ইংল্যান্ডের টানা ৬ ম্যাচের দলীয় সংগ্রহ। একটি দক্ষিন আফ্রিকা, বাদবাকি সবক’টিই হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই টালিতে গতকাল যোগ হলো বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮৬/৬! ব্যাস, হয়ে গেল বিশ্ব রেকর্ড! ওয়ানডেতে টানা ৭ ম্যাচে তিনশ’র্ধো রান সংগ্রহকারী আর কোন দলই যে নেই ক্রিকেট ইতিহাসে! এর আগে রেকর্ড কুক্ষিগত করে রেখেছিল তাদেরই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী অস্ট্রেলিয়া। ২০০৭ সালে টানা ছয় ম্যাচে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়েছিল অজিরা।

সামনে বিশাল লক্ষ্য। জিততে হলে বিশ্বকাপে রান তাড়ার সব রেকর্ড গুড়িয়ে দিতে হতো বাংলাদেশকে। তাতে যেটুকু নিজেদের নিবেদন রাখা দরকার তা দেখা গেল কেবল সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। খটখটে ব্যাটিং উকেটে তামিম-সৌম্যরা ভালো শুরু এনে দিতে না পারলেও বাংলাদেশ ম্যাচে ছিল সাকিব-মুশফিকের ১০৬ রানের জুটির কল্যাণেই। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি সাকিবের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। অনিয়মিত বোলার বেন স্টোকসের ¯েøায়ার-ইয়র্কারে বোল্ড হবার আগে ১১৯ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ১২১ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের গড়া ৩৮৭ রানের পহাড় টপকাতে গিয়ে বাংলাদেশ থামে ৭ বল হাতে রেখে ২৮০ রানে। টাইগারদের বরণ করতে হয় ১০৬ রানের বিশাল পরাজয়।
এতদিন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই তালিকায় এবার নাম উঠলো সাকিবের নামও। ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯৫ বলের শতকটি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের শতকটি ওয়ানডেতে ৮ম। বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক (৪৪), যা দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। দিনের বাকিটা সময় জুড়েই ছিল ইংলিশ হাইলাইটস। অধিকাংশ টাইগার ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে।
কার্ডিফে শুরুটা হয়েছিল জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টোর ১২৮ রানের জুটিতে ভর করে। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৫ ওভারে ইংল্যান্ড পেরিয়ে যায় একশ। রয় তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম শতক। থেমেছেন মিরাজের বলে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে দেড়শ’ পেরুনোর পরেই। তবে থামেনি ইংল্যান্ড। সাকিব, মাশরাফি, মিরাজ, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজ, মোসাদ্দেকদের তুলোধুনো করে রানের পাহাড় গড়ে মরগ্যানের দল। খরুচে ছিলেন সবাই। আগের দুই ম্যাচে দারুণ বোলিং করা সাকিব ১০ ওভারে ৭১ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য, মাশরাফি তার কোটা পূরণ করে ৬৮ রানে নিয়েছেন এক উইকেট, সাইফউদ্দিন দুই উইকেট পেলেও হতে পারেননি বিধ্বংসী, তুলতে পারেননি গতির ঝড়, ৯ ওভারে দিয়েছেন ৭৮ রান, সবেচেয়ে বড় তোপ গেছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের কান্ডারী মুস্তাফিজের উপর দিয়ে। ৯ ওভারে এক উইকেট নিয়ে কাটার মাস্টার দিয়েছেন ৭৫ রান। সেই হিসেবে অনেকটা মিতব্যয়ী ছিলেন মিরাজ। ১০ ওভার পূর্ণ করে দুই উইকেট নেয়া এই স্পিন অলরাউন্ডারের খরচা ৬৭ রান।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে বেঙ্গালুরুতে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৮ রান করেছিলো তারা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লো স্বাগতিকরা। এর আগে ঢাকায় ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত করেছিলো ৩৭০। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি রান আছে কেবল একটি। ২০০৫ সালে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডই ৪ উইকেটে করেছিল ৩৯১ রান। বিশ্বকাপে এত বড় রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড কোন দলেরই নেই। ২০১১ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের দেয়া ৩২৭ রান তাড়া করে জিতে আয়ারল্যান্ড। এখন পর্যন্ত যা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।
তবে প্রথম ৫ ওভারে কেউ কি ভেবেছিল ম্যাচের চিত্রটা এমন পাল্টি খাবে? দুই ম্যাচ হারার পর এবার টস জিতেছিলেন মাশরাফি মুর্তজা। তবে আগে বোলিংয়ের কাক্সিক্ষত সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি দল। তবে খড়খড়ে মরা উইকেটে নির্বিষ বোলিং আর বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়ায় ম্যাচ হাতছাড়ার প্রেক্ষাপট তৈরী হয় প্রথম ইনিংসেই। যদিও বোলিংয়ের শুরুটা সাকিব-মাশরাফিদের হাত ধরে হয়েছিল স্বস্তিরই। তবে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে মুস্তাফিজ-মিরাজ-সাইফদের চোখের পানি নাকের জল এক করে ছাড়েন রয়, বেয়ারস্টো, মরগ্যানরা।
১৯ ওভারে ১২৮ রান তুলে ফেলা জুটি ভাঙেন দ্বিতীয় স্পেলে ফেরা মাশরাফি। ততক্ষণে রয়ের ব্যাট আরো অপ্রতিরোধ্য। ৯২ বলে রয় স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক, ৭৯ ওয়ানডেতে তার নবম সেঞ্চুরি। মাইলফলকের পর বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন আরও। সাকিবকে টানা তিন বলে মারেন দুই চার এক ছক্কা, মিরাজকে টানা তিন ছক্কায় দেড়শ পেরিয়ে যান ১২০ বলে। টানা চতুর্থ ছক্কার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মিরাজকেই উইকেট দিয়ে আসেন রয়। তবে ইংল্যান্ডের রানের গতি ধরে রাখেন বাটলার। ব্যাটিং অর্ডারে চারে প্রমোশন পেয়ে তোলেন ঝড়। চতুর্থ উইকেটে বাটলার ও ওয়েন মরগান জুটিতে ৯৫ রান আসে ৬৫ বলে। ৪৪ বলে ৬৪ করে বাটলার সাইফ উদ্দিনের বলে সীমানায় ধরা পড়েছেন সৌম্য সরকারের হাতে। মিরাজের বলেই সৌম্যই নিয়েছেন ৩৩ বলে ৩৫ করা মরগ্যানের ক্যাচ।
এই দুজনের বিদায়ে একটু ভাটার টান এসেছিল রানের গতিতে। শেষ দিকে আবার তান্ডব চালান ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট। মাত্র ১৭ বলে ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন দুজন। ৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন প্লাঙ্কেট, ৮ বলে ১৮ ওকস।



 

Show all comments
  • Alarafat Sujan ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    Congratulations to Shakib on a great innings. Thank you for a good day of cricket Bangladesh
    Total Reply(0) Reply
  • Bikash Sarkar ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    পদ্মা পাড়ের দেশে এখন হাহাকার চলিতেছে কারন তাহাদের টাইগাঁড়গণ ইংরেজ শিকার করিতে গিয়া ইংরেজদের হাতে নাসতানাবুদ হইয়াছে। কেহ কেহ এই পরাজয়টিকে পলাশীর যুদ্ধের সহিত তুলনা করিতেছে। কেহ কেহ আবার ইজরায়েল আমেরিকার ষড়যন্ত্র দেখিতেছে। উহাদের টাইগাঁড় গণ খেলাতে পরাজিত হইয়া শোকে কাতর হইয়া পড়িয়াছে। কেহ কেহ বুক চাপড়াইয়া কাদিতেছে। কেহ কেহ বলিতেছে এিকেট আমাদের খেলা নহে। দেশে ফিরিয়া দেশী খেলা হা-ডু-ডু খেলা অনুশীলন করিতে হইবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Müller Thomas ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    টসে জিতে একটা দল ফিল্ডিং করে দুইটা কারণে। এক সেই দলের ৩০০-৩৫০ চেজ করার সক্ষমতা আছে। যেটা ক্লিয়ারলি আমাদের নাই। আবেগ দিয়া খেলা চলেনা। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং এখন ওয়ার্ল্ডে ইন্ডিয়ার পরে। সেই দল কে আমরা প্রথমে ব্যাটিং করতে নামায় দিছি। আমাদের এখনো ২৮০ করতে বুকে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। সে জায়গায় চেজ করার চিন্তা কেমনে? দুই কন্ডিশন ওভারকাস্ট থাকলে সুইং হয় বোলাররা সুবিধা পায়। আমাদের কি ভুবনেশ্বর ,স্টেইন ,এন্ডারসন ,আমিরের মত সুইং বোলার আছে? নাই। আমাদের বোলিং এটাক টা হইল লাইন লেংথ ভাল রেখে বল করে যাওয়া। আমাদের বুমরাহর মত ম্যাজিক বোলার নেই ,চাহাল ,কুলদিপের মত বিগ টার্নার নেই। তাহইলে কোন যুক্তিতে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়া হলো। আমারে দেখান। যেখানে আমাদের কাছে কন্ডিশনের সুবিধা নেয়ার মত সুইং বোলারই নেই সেইখানে আমরা কিভাবে আশা করি ইংল্যান্ডের ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্যাটিং লাইন আপ কে আটকাব। এর চাইতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩২০ করে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলার একটা চান্স ছিলো। কারণ আগে ব্যাট করে ৩৯০ করা আর ৩২০ চেজ করা এক কথা না। আর আমাদের বোলিং এটাকটাও চেজে অ্ন্য দল কে আটকানোর মত এটাক। ক্রিকেট খেলা অত বুঝিনা। তবে যতটুকু বুঝি তাতে এটাই মনে হইল ৩৫০ চেজ করতে অক্ষম ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এবং সুইং করতে অক্ষম বোলিং লাইন আপ নিয়ে ইংল্যান্ডের সলিড ব্যাটিং পিচে কিসের আশায় টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় দল সেটা আমার বোঝার বাইরে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sohel Arafatuzzaman ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    ইদানিং বস মাশরাফির বোলিং দেখলে খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা মনে পড়ে যায়। ৪ পা দৌড়ে এসে ১১০ গতিতে স্পিন বোলিং। পেস বোলিং নামে তামশা শুরু করেছে.....!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Md Elias Ali Jewel ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    খেলাধুলা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করে নামাজ পড়ুন ভালো কাজ করুন মৃত্যুর পরে কাজে দেবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Mahir Faisal ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    মাশরাফিকে সরিয়ে রুবেল এবং মিটুনকে সরিয়ে লিটনকে সুযোগ দেওয়াটা এখন সময়ের দাবী। খেলায় আবেগের সুযোগ নাই। ক্যাপ্টেন হয়ে দলের বোঝা না হয়ে সরে যাওয়া ভাল। ক্যাপ্টেন্সির কারণে যদি খেলা যেত তাহলে পন্টিং, স্টিভ ওয়াহ, ইমরানরা এখনো খেলতো..
    Total Reply(0) Reply
  • Prehistoric Hasib ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    একজন মেসি একা যেমন আর্জেন্টিনাকে টেনে নিয়ে যেতে পারেনা, তেমনি সাকিব একা বাংলাদেশকে টানতে পারবেনা। বাংলাদেশ দলের সাফল্য পেতে হলে কয়েকজন খেলোয়াড়কে ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলতে হবে। এরজন্য রাজনীতি এবং ফালতু আবেগ বাদ দিয়ে যোগ্যদেরকে দলে সুযোগ দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Istiaque Ahmed ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    একজন মানুষের কাছে এ জাতি আর কত চায়? তার ধারের কাছের কোন প্লেয়ার থাকলে তাকে এভাবে প্রেশার নিতে হত না। এ দেশে আরেকটা শাকিব আর জন্মাবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Sukrana ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    মিথুনের পরিবর্তে সাব্বির লোয়ার অর্ডারে; মোসাদ্দেকের পরিবর্তে লিটন দাশ আপার অর্ডারে আর সাইফুদ্দিনের পরিবর্তে রুবেলকে নেয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed Hossain ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    মাশরাফির উচিত ইজ্জতের সাথে বিদায় নেয়া। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রিজার্ভ লাইনে তার চেয়ে অনেক ভাল পেসার থাকলেও তাদের বসে থাকতে হচ্ছে । মাশরাফির নিজের উচিত দেশের ইজ্জতের খাতিরে অন্তত দুই একটা ম্যাচ নিজে বিশ্রাম নিয়ে রুবেলকে সুযোগ দেয়া। আর সাইফউদ্দিন পাড়া মহল্লার ক্রিকেটে অলরাউন্ডার হতে পারে, বিশ্বকাপ আসরে এরাতো কোনভাবেই ফিট না।
    Total Reply(0) Reply
  • Anamul Haque ৯ জুন, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    আজ মাশরাফিকে নিয়ে যেভাবে ট্রল করা হচ্ছে সাকিবও এই পর্যায়ে আসবে সময়ের ব্যাপার মাত্র সুতরাং আবেগে বাচ্চা না বানানোটাই ভালো।
    Total Reply(0) Reply
  • ash ৯ জুন, ২০১৯, ৮:০২ এএম says : 0
    TAMIM IQBAL MONE HOY KHUB BESHI E TENIE GASE ! WNI ENGLAND E BOW BACHA NIE EID KORA KE BESHI GURUTTO DIESE OTHER THEN WORLD CUP,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ ক্রিকেট

১৬ জুলাই, ২০১৯
১৫ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ