নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ১০৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ৩৮৭ রানের লক্ষ্যে ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ রানে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস।
তিন ম্যাচে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় পরাজয়। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় জয় ইংলিশদের।
জিততে হলে বিশ্বকাপে রান তাড়ার সব রেকর্ড গুড়িয়ে দিতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু এজন্য যে ধরণের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন তা দেখা গেল কেবল সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। খটখটে ব্যাটিং উকেটে তামিম-সৌম্যরা ভালো শুরু এনে দিতে না পারলেও বাংলাদেশ ম্যাচে ছিল দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব-মুশফিকের ১০৬ রানের জুটির কল্যাণে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি সাকিবের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ১১৯ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ১২১ রান করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান মুশফিকের।
তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন জোফরা আর্চার ও বেন স্টোকস। দুটি নেন মার্ক উড।
....
লক্ষ্য বিশাল। তাতে যেটুকু নিবেদন থাকা প্রয়োজন সাকিব-মুশফিক ছাড়া তার ছিঁটেফোঁটাও চোখে পড়েনি বাকিদের মধ্যে। সাকিব ফিরে গেলে ক্রিজে এসেই রান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন মোসাদ্দেক। তবে লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। সেই স্টোকসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন ১৬ বলে ২৬ রান করে।
স্কোর : ৪৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬১। মাহমুদউল্লাহ ২৮ এবং সাইফউদ্দিন ব্যাট করছেন ৫ রানে।
লড়াই করে ফিরলেন সাকিব
একাই লড়াই করে গেলেন সাকিব। প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটির পর আজ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। এমন সময়ই তিনি এই ইনিংস খেললেন যেখানে সঙ্গী হিসেবে পেলেন না কাউকেই। ১১৯ বলে ১২১ রান করে স্টোকসের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। মাহমুদউল্লাহ ১৬ রানে ও মোসাদ্দেক ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ-৪০ ওভারে ২২৪/৫। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশেন প্রয়োজন ১৬৩ রান। হাতে উইকেট আছে পাঁচটি।
দুইশ রান পেরুল বাংলাদেশ
ইনিংসের ৩৭তম ওভারে দলীয় ২০০ রানে পেরিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব ১০৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৩৭ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৩ রান। জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ১৮৪ রান। বল হাতে আছে মাত্র ৭৮টি।
মাহমুদউল্লাহর পর সাকিব
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আজ সেঞ্চুরির তালিকায় আরও একজন যোগ হলেন। মাহমুদউল্লাহর পর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান এখন সাকিব। দলের দু:সময়ে একাই লড়াই করে গেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের ক্যারিয়ারের এটি ৮ম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯৫ বলে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। সাকিব ১০২ রানে এবং মাহমুদউল্লাহ ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮২ রান। বাকি ১৭ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ২০৫ রান।
মুশফিকের পর ফিরে গেলেন মিথুনও
২৯তম ওভারে সাকিব-মুশফিক জুটির শতরান পূর্ণ হয়। সেই ওভারের শেষ বলেই প্লাঙ্কেটের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান মুশফিক (৪৪)। ক্রিজে নতুন ব্যাট হাতে এসেই রানের পিছনে ছুটতে গিয়ে রশিদের প্রথম শিকার হন মিথুন (০)। মাহমুদউল্লাহর (০*) সঙ্গে এখন খেলবেন সেঞ্চুরি পথে এগিয়ে যাওয়া সাকিব (৯৫*)।
দলীয় সংগ্রহ ৩০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭০ রান।
সাকিব-মুশফিকের শতরানের জুটি
দলীয় ৬৩ রানে তামিমের বিদায়ে ভয়াবহ চাপে পড়েছিলো বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটসম্যানে ভর করে সেই চাপ অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে মাশরাফির দল। সাকিব ৯৩ ও মুশফিক ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন।
স্কোর-২৮.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৯ রান।
দেড়শ পেরুল বাংলাদেশ
সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে দেড়শ রান পেরিয়েছে টাইগাররা। সাকিব ৮৬ রানে ও মুশফিক ৩৬ রানে অপরাজিত আছে।
স্কোর-২৭ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৩ রান।
সাকিব-মুশফিকে এগুচ্ছে বাংলাদেশ
তামিমের বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সাকিব-মুশফিক জুটি। এই দুই ব্যাটসম্যান এখন অবধি ৭২ রান যোগ করেছে। সাকিব সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ৭৭ রানে অপরাজিত আছেন। মুশফিক খেলছেন ২৭ রানে।
দলীয় সংগ্রহ ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৫ রান।
সাকিবের ফিফটিতে শতরান পেরুল বাংলাদেশ
কোন চাপই অনুভব করছেন না সাকিব। স্বভাবসুলব ভঙ্গিতেই খেলছেন তিনি। ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রান পেরিয়ে গেছেন এবং সেই সঙ্গে দলীয় রানও একশ ছাড়িয়ে গেল। সাকিব ৫৭ ও মুশফিক ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে অর্ধশত রান করলেন সাকিব।
দলীয় সংগ্রহ-২০ ওভারে ২ উইকেটে ১০৫ রান।
ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে তামিমের বিদায়
শুরুতেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ভালোভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব-তামিম জুটি। এই দুই ব্যাটসম্যান দলীয় সংগ্রহে ৫৫ রান যোগ করার পর তা আর দীর্ঘায়িত করতে দেননি মার্ক উড। তামিমকে ১৯ রানে মরগানের তালুবন্দী করে ফেরত পাঠান এই ইংলিশ বোলার। অবশ্য তার আগে ১১তম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিবের (৩৫*) সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেছেন মুশফিক (০*)।
দলীয় সংগ্রহ- ১২ ওভারে ২ উইকেটে ৬৩ রান।
দ্রুত ফিরে গেলেন সৌম্য
রেকর্ড রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই সৌমকে হারালো বাংলাদেশ। ইনিংসের ৪র্থ ওভারে জেফরা আর্চারের ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সৌম্য। আউট হওয়ার আগে ৮ বল থেকে ২ রান করেন তিনি। তামিম ৬ রানে ও সাকিব ০ রানে অপরাজিত আছেন।
স্কোর-৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ইংল্যান্ডের
জেসন রয়ের বিধ্বংসী ১৫৩ রানের সুবাদে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। ৬ উইকেট পতনের পর লিয়াম প্লাঙ্কেটের ৯ বলে ২৭ রান এবং ক্রিস ওকসের ৮ বলে ১৮ রানে ভর করে ৩৮৬ রানের পাহাড় গড়ে মরগানের দল। এরআগে বাটলারের ৬৪ ও ওপেনার বেয়ারেস্টোর ৫১ রানে বড় সংগ্রহের ভিত পায় ইংলিশরা।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে বেঙ্গালুরুতে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৮ রান করেছিলো তারা। অন্যদিকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লো স্বাগতিক দল। এর আগে ঢাকায় ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত করেছিলো ৩৭০ রান।
রেকর্ড করে জিততে হবে বাংলাদেশকে
বিশ্বকাপে এত বড় রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড কোন দলেরই নেই। আয়ারল্যান্ড ২০১১ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের দেয়া ৩২৭ রান তাড়া করে জিতে। এখন পর্যন্ত এটাই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। তাই জিততে হলে রেকর্ড করেই জিততে হবে বাংলাদেশকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড-৩৮৬/৬ (৫০ ওভার) (রয় ১৫৩, বেয়ারেস্টো ৫১, রুট ২১, বাটলার ৬৪, মরগান ৩৫, স্টোকস ৬, ওকস ১৮*, প্রাঙ্কেট ২৭*; সাকিব ৭১/০, মাশরাফি ৬৮/১, সাইফউদ্দিন ৭৮/২, মুস্তাফিজ ৭৫/১, মিরাজ ৬৭/২, মোসাদ্দেক ২৪/০)
স্টোকসকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
৪৮তম ওভারের প্রথম বলেই স্টোকসকে ক্যাচ আউট করেন মুস্তাফিজ। প্লাঙ্কেট (০*) ও ওকস (১৪*) ব্যাটিংয়ে আছেন।
স্কোর-৪৮ ওভারে ৩৫৫/৬।
মিরাজের দ্বিতীয় শিকার মরগান
মিরাজ তার কোটার শেষ ওভারে তুলে নিলেন ইংলিশ অধিনায়ক মরগানকে। আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৩ বলে ৩৫ রান করেন। ক্রিস ওকস (০*) ও স্টোকস (৬*) রানে খেলছেন।
স্কোর-৪৭ ওভারে ৩৪১/৫।
সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার বাটলার
ম্যাচের ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে ছয়ের পর আবারও বড় শর্ট খেলতে গিয়ে সীমানার দড়ির কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন বাটলার। সাইফউদ্দিনের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ৪টি চয় ও ২টি চারের মার ছিলো। ম্যাচে এটি সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় উইকেট। অধিনায়ক মরগান ৩৩ রানে ও বেন স্টোকস ১ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৪৬ ওভারে ৩৩৪/৪।
মরগান-বাটলারে তিনশ পেরুল ইংল্যান্ড
জেসন রয়ের দেড়শ রানের পর এখন ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছেন মরগান-বাটলার। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাটলার ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন। ইংলিশ অধিনায়ক মরগান খেলছেন ২২ রানে। ৪৩তম ওভারেই ইংল্যান্ড দলের তিনশ রান পূর্ণ হয়। এই দুই ব্যাটসম্যান এখন অবধি ৭৪ রান যোগ করেছে ইংল্যান্ডের ইনিংসে।
দলীয় সংগ্রহ-৪৩ ওভারে ৩০৯/৩।
রয়কে থামালেন মিরাজ
মিরাজের ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন রয়। পরের বলে আবারও উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই ওপেনার। ফিরে যাওয়ার আগে ১২১ বলে ১৫৩ রানের বড় একটি ইনিংস উপহার দিয়ে যান ইংল্যান্ডকে। তার এই ইনিংস ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো। এই ইনিংস দিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। ইংলিশ ব্যাটম্যানদের মধ্যে অ্যান্ড্রু স্টর্স ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেটাই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বেচ্চ সংগ্রহ হয়ে আছে। ক্রিজে এখন ব্যাট বরছেন বাটলার (৯*) ও মরগান (২*)।
৩৬ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪১ রান।
ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই রুটকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন সেঞ্চুরি। এ ম্যাচেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু সাইফউদ্দিনের স্লোয়ার ডেলিভারি ঠিকমতো পড়তে না পেরে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন রুট (২১)। রুট আউট হওযার পরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান বাটলারের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের জোড়ালো আবেদন করেন সাইফউদ্দিন। আম্পায়র আউট না দেয়ায় রিভিউও নিয়েছিলেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি স্ট্যাম্প মিস করে। বাটলার ৩ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গী রয় অপরাজিত আছেন ১৩২ রানে।
স্কোর-৩৩ ওভারে ২১২/২।
রয়ের ব্যাটে দুইশ পেরুল ইংল্যান্ড
সাকিব আল হাসান প্রথম ৭ ওভারে দিয়েছেন ৩৪ রান। ৮ম ওভারে দিলে ১৭ রান। এর মধ্যে একটি ছক্কাও দুটি চারও ছিলো। বাউন্ডারিগুলো হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান রয়। রয় ১২৯ রানে ও রুট ২১ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ-৩১ ওভারে ২০২/১।
রয়ের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে ইংল্যান্ড
জেসন রয়ের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগুচ্ছে ইংল্যান্ড। উদ্ভোধনী এই ব্যাটসম্যান ১২ চার ও এক ছয়ে মাত্র ৯২ বলে তার শতরান পূর্ণ করেন। শুরু থেকেই বাংলাদেশী বোলারদের চাপে রেখেছেন এই ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি, ক্যারিয়ারে নবম। রয় অপরাজিত আছেন ১০৭ রানে এবং তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ে থাকা রুট অপরাজিত আছেন ১৯ রানে। ইতিমধ্যেই রুট-রয় জুটি পঞ্চাশ রান পেরিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই বিশ্বকাপে এ নিয়ে চারটি সেঞ্চুরি হয়েছে। যার মধ্যে তিনটিই আসলো ইলিশ ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে। এর আগে ইংল্যান্ডের রুট, বাটলার ও ভারতের রোহিত শর্মা শতরানের দেখা পেয়েছেন।
দলীয় সংগ্রহ-২৯ ওভারে ১ উইকেটে ১৮১ রান।
বেয়ারেস্টোকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মাশরাফি
দুর্দান্ত খেলতে থাকা বেয়ারেস্টোকে ফিরিয়ে দিলেন মাশরাফি। এই বিশ্বকাপে এটিই মাশরাফির প্রথম উইকেট। উদ্ভোধনী জুটিতে ১২৮ রান তোলার পর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানলেন টাইগার দলপতি। তবে মিরাজের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ বলে ৫১ রান করেছেন বেয়ারেস্টো। আরেক ওপেনার রয় অপরাজিত আছেন ৭৫ রানে। ক্রিজে তার সঙ্গে খেলতে আসা রুটের সংগ্রহ ১ রান।
অবশ্য আউট হওয়ার আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রানের জুটি করেন রয়-বেয়ারেস্টো। এরআগে এই রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। ২০০৩ বিশ্বকাপে জয়সুরিয়া-আতাপাত্তু জুটি করেছিলেন অবিচ্ছিন্ন ১২৬ রান। এবার তাদের টপকে গেলেন রয়-বেয়ারেস্টো জুটি। তারা প্রথম উইকেটে ১২৮ রান যোগ করেন।
দলীয় সংগ্রহ ২০ ওভারে ১ উইকেটে ১৩০ রান।
১৫ ওভারে ১০১, চাপে বাংলাদেশ
রয়-বেয়ারেস্টো জুটিতে এগিয়ে চলেছে ইংল্যান্ডের রানের চাকা। কোনভাবেই তাদের থামানো যাচ্ছে না। তাদের জুটি ভাঙার জন্য মাশরাফি প্রথম ১৫ ওভারের মধ্যেই সাকিবের কোটার ৭ ওভার ব্যবহার করছেন। ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে কোন দল ১৫ ওভারের মাঝে স্পিনার দিয়ে ৭ ওভার বল করায়নি। তবে অধিনায়কের এ কৌশলও ব্যর্থ হয়েছে। রয় তার অর্ধশত রান পূর্ণ করে ৫৯ রানে ব্যাট করছেন। আরেক ব্যাটসম্যান বেয়ারেস্টো অপরাজিত আছেন ৩৯ রানে। ইংল্যান্ড মাত্র ১৫ ওভারেই শতরান পূর্ণ করেছে।
দলীয় সংগ্রহ ১৫ ওভারে বিনা উইকেটে ১০১ রান।
চাপ সামলে দুর্দান্ত ইংল্যান্ড
প্রথম পাঁচ ওভার আটকে রেখেছিলেন সাকিব ও মাশরাফি। কিন্তু ঝুঁকিবিহীন সূচনার পর ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে উঠছে দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় (৩৩*) ও জনি বেয়ারেস্টো (২৭*)। ইনিংসে এখন অবধি ৯টি বাউন্ডারে এসেছে তাদের ব্যাট থেকে। দলীয় ৮ম ওভারে সাইফউদ্দিনের ব্যক্তিগত প্রথম ওভারে আসে ১৬ রান।
দলীয় সংগ্রহ ১০ ওভারে ৬৭/০।
ইংল্যান্ডকে শুরুতেই চেপে ধরেছে বাংলাদেশ
ইনিংসের শুরু থেকেই ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। রক্ষণাত্বক কৌশলে স্বাগতিকদের খেলতে বাধ্য করেছে টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৫ ওভার শেষে সংগ্রহ ১৫/০।
ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ
টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। বাংলাদেশ দল তাদের মূল একাদশে কোন পরিবর্তন আনেনি। ইংলিশ দলে পরিবর্তন আছে একটি। মঈণ আলীর পরিবর্তে খেলবেন লিয়াম প্লাঙ্কেট।
টসে জেতা মাশরাফি আশা করছেন, দুই দিন পিচ কাভারে ঢাকা থাকায় শুরুতে উইকেট থেকে কিছুটা সুবিধা পাবেন তিনি। ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান অবশ্য বলেছেন, ‘টসে হারাটা খারাপ হয়নি। উইকেটে সামান্য যে ঘাস দেখা যাচ্ছে, সেটা সারাদিনই থাকবে।’
ইংল্যান্ড স্কোয়াড: জেসন রয়, জনি বেয়ারেস্টো, জো রুট, এউইন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, লিয়াম প্লাঙ্কেট, জোফরা আর্চার, মার্ক উডভ
বাংলাদেশ স্কোয়াড: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান, মাশরাফি মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।
ফেভারিট ইংল্যান্ডের সামনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
কার্ডিফে বিশ্বকাপের ১২তম ম্যাচে আসরের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। খেলা বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের প্রথম দেখা ২০০৭ সালে। সেবার জয় পায় ইংলিশরা। তারপর ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ইংল্যান্ড। তাই আজ মরগানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা।
এছাড়া ভেন্যু হিসেবে কার্ডিফও বাংলাদেশের সুখস্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। ২০০৫ সালে হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ হারায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর ২০১৭ চ্যম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিউইদের বিপক্ষে জয় পায় মাশরাফিবাহিনী। তাই জয়ের আশা মোটেও অমূলক নয়। কার্ডিফ কি সেই সুখস্মৃতি আরও একবার মনে করিয়ে দেবে? অন্তত সেই আশায় বুক বেঁধে আছে ১৬ কোটি বাংলাদেশী। লাল-সুবজ পতাকা ওড়ানোর জন্য তারা প্রস্তুত।
ইংল্যান্ড দল বিশ্বকাপে নিঃসন্দেহে ফেভারিট। তবে আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ বাংলাদেশকে তারা কিভাবে মোকাবেলা করে সেটাই দেখার বিষয়।
পরিসংখ্যান:
স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে স্বাভাবিকভাবে ম্যাচে এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচ দেখার পর স্বস্তিতে নেই ইংলিশ শিবির। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করে হেরেছে টাইগাররা। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলে নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে মরগানের দল।
মোট ম্যাচ জয়ের পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ড ঢেড় এগিয়ে আছে বাংলাদেশের তুলনায়। কিন্তু বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে:
ম্যাচ: ২০
ইংল্যান্ড জয়ী: ১৬
বাংলাদেশ জয়ী: ৪
বিশ্বকাপে:
ম্যাচ: ৩
বাংলাদেশ জয়ী: ২
ইংল্যান্ড জয়ী: ১
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।