নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নাথান কোল্টার নাইল, নাকি বাজে আম্পায়ারিং, কার কাছে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ? কার্লোস ব্রাফেটের উত্তর শুধুই ‘বাজে আম্পায়ারিং’। জরিমানার ভয়ে উইন্ডিজ অলরাউন্ডার মুখে কুলুপ আঁটলেও ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং ধুয়ে দিয়েছেন আম্পায়রদের। সত্যিই গতপরশু রাতে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজে ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল যথেষ্ট দৃষ্টিকটু। এই আক্রোশের সবচেয়ে বড় শিকার দলের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস গেইল। নিজেদের ইনিংসের প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে তিন-তিনবার আঙুল তুলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি।
গেইল প্রথম রিভিউটি নেন তৃতীয় ওভারে। মিচেল স্টার্কের পঞ্চম বলে কট বিহাইন্ডের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন এই ওপেনার। তাতে দেখা যায়, ব্যাটে বলই স্পর্শ করেনি। স্টাম্প ছুঁয়ে কিপারের কাছে গিয়েছিল বল, তবে বেল পড়েনি। পরের বলে এবার জোরালো এলবিডব্লিউয়ের আবেদন। তাতেও সম্মতিসূচক মাথা নাড়লে রিভিউ নেন ব্যাটিং দানব। বেঁচে যান তাতে।
তবে পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে ফের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তোলেন গ্যাফানি। রিভিউ নিলেও ‘আম্পায়ারস কল’ নামের বিষয়টি এবার আর তাঁকে বাঁচতে দেয়নি। তবে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় গেইল যে বলে আউট হয়েছেন, সেটি করার আগে স্টার্ক করেছেন বিশাল এক নো বল। ক্রিজের অনেক বাইরে পা ফেললেও গ্যাফানির চোখ এড়িয়ে গেছে তা। এমনকি ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যেত বল। গ্যাফানির ‘আক্রোশের’ মাশুল দিলেন গেইল, মাশুল দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে ফ্রি-হিট পাওয়ার কথা, সেখানে গেইলকে ফিরতে হলো প্যাভিলিয়নে! এমন বাজে আম্পায়ারিং শেষবার কবে দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া!
ম্যাচ শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন ব্রাফেট। কিন্তু জরিমানা গোনার ভয়ে হতাশাটা ঠিক পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেননি, ‘আমি জানি না এ নিয়ে কথা বললে আমার জরিমানা গুনতে হবে কি না, কিন্তু আমি মনে করি আজ (বৃহস্পতিবার) আম্পায়ারিং খুব হতাশাজনক ছিল। আমরা যখন বোলিং করছিলাম, তখনও মনে হয়েছিল কিছু ওয়াইডের সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গেছে। অবশ্যই এক ওভারে তিনটি ভুল সিদ্ধান্ত আরও হতাশার। ২৮০ রানের টার্গেটে এমন ভুল সিদ্ধান্তে ক্রিসের (গেইল) আউট হওয়ায় আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত সূচনাটা পাইনি। ও এমন ব্যাটসম্যান যে একাই ১৮০ রান করার সামর্থ্য রাখে। তবে আম্পায়ারদের যা মনে হয়েছিল তখন তা-ই করেছেন, তাঁরা তাঁদের সর্বোচ্চটুকুই করেছেন।’ তবে আম্পায়ার গ্যাফানির সিদ্ধান্ত কতটা ‘হাস্যকর’ ছিল, সেটি বলতে কোন দ্বিধা করেননি ব্রাফেট, ‘ড্রেসিংরুমে টিভিতে ব্যাপারটা দেখে আমরা খুব হাসছিলাম। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি বলব দিনটা আমাদের ছিল না।’
জরিমানার ভয় তো নেই মাইকেল হোল্ডিংয়ের! তাই মুখ বন্ধ রাখার প্রশ্নই ওঠেনা তার। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি তাই ধুয়ে দিয়েছেন আম্পায়রদের। ক্যারিবিয়ান এই বোলিং কিংবদন্তির ভাষায় ম্যাচে আম্পায়ারিং ছিল জঘন্য। ম্যাচে স্কাই টেলিভিশনের অন্যতম ধারাভাষ্যকার ছিলেন হোল্ডিং। মাঠের দুই আম্পায়ার নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানি ও শ্রীলঙ্কার রুচিরা পালিয়াগুরুগের সমালোচনা করেন তিনি। গেইলের আউটের পর সে সময় ধারাভাষ্যে থাকা ৬৫ বছর বয়সী হোল্ডিং বলেন, ‘এই ম্যাচের আম্পায়ারিং জঘন্য।’
একই ম্যাচে রিভিউ নিয়ে দুইবার বাঁচেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারও। তবে তিনি আম্পায়ারদের ওই সিদ্ধান্তগুলোকে দেখছেন অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে।
ব্যাক্তিগত কোন আক্রোশ থেকেই কি এমনটা করেছেন গ্যাফানি? এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত জানা যাবে না কোনো দিন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ঠিকই তাকে নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। বিশ্বকাপের মতো আসরে এমন ভুল সমর্থকদের জন্য তো বটেই, যেকোনো দলের জন্যই মানা কষ্টের। গেইল আউট না হলে ম্যাচের ফলাফলটা ভিন্নও হতে পারত। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তাই পরাজয়টা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।