গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, মিছিল আর গানে ঈদ আনন্দ উদযাপন করেছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।
এই ঈদ আনন্দ মিছিল এখন থেকে প্রতিবছরই হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
রোজার ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ সড়কের হোটেল আল রাজ্জাকের সামনে থেকে শুরু হয় ঈদ আনন্দ মিছিল।
ঢাকা নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠনের এই আয়োজনে পুরান ঢাকার বাসিন্দা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ছাড়াও অংশ নেন বংশাল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ঢাকা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক শহিদ হোসেন সাঈদ।
শিশু, নারী-পুরুষ, কিশোর-যুবক, পাড়ার প্রবীণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কেউ ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে, কেউ পায়ে হেঁটে অংশ নেন আনন্দ মিছিলে।
আল রাজ্জাক হোটেলের সামনে থেকে মিছিলটি বংশাল, নাজিরাবাজারের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, “পুরান ঢাকার কোনো ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানকে হারিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। যেসব সংগঠন এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান পালনে এগিয়ে আসবে নগরের পক্ষ থেকে তাদেরকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।
“আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংস্কৃতি, পারিবারিক বন্ধন আমরা অক্ষুন্ন রাখব। ঈদ আনন্দের এই মিছিল প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায়, অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে পড়বে।”
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর রোজার ঈদের পরের দিন ‘ঈদ আনন্দ মিছিল’ করে আসছিলেন পুরান ঢাকার বাসিন্দরা। উদ্যোগের অভাবসহ নানা কারণে ১৫ বছর এই আয়োজন বন্ধ ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।