মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনী স্বেচ্ছায় পরবর্তী অর্থবছরে তাদের জন্য বাজেট বরাদ্দ কমাতে রাজি হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে নানা দিক থেকে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হয়। এ অবস্থায়ও সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগে আমি তাদের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ।”
তবে বাজেট কমে গেলেও দেশের প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা ব্যবস্থায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে মঙ্গলবার এক টুইটে জানান পাকিস্তানের আইএসপিআর’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।
তিনি বলেন, “আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের হুমকির কার্যকর জবাব দেওয়া অব্যাহত রাখবো।”
আগামী ১১ জুন ইমরান সরকার তাদের ২০১৯-২০ সালের বাজেট পেশ করবেন।
এনডিটিভি জানায়, বিশ্বে বাজেটে সেনাবাহিনীর জন্য বড় বরাদ্দ দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ২০তম। ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর জন্য দেশটির বাজেট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার।যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে।
পাকিস্তানে গত কয়েকবছর ধরে মুদ্রা সংকট চলছে। যা ইমরান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে নতুন করে আরো ছয়শ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
যদিও আইএমএফ’র মূলনীতির সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক হওয়ায় তাদের চুক্তি আটকে আছে। পাকিস্তান আইএমএফ থেকে নেওয়া আগের ঋণ ঠিকমত পরিশোধ করতে পারছে না।
অনেক বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী নেতাদের আশা দেশটি আইএমএফ থেকে আরও একটি তহবিল পাবে, যদি পায় তবে গত ছয় বছরের মধ্যে তা দ্বিতীয়বার হবে।
পাকিস্তান এরই মধ্যে দেশটির বড় ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চীন এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে। ধুঁকতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে আরো একশ’ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
এ অবস্থায় ব্যয় কমানো ছাড়া দেশটির সরকারের হাতে আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু এর আগে কোনো বেসামরিক সরকার সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ কমানোর সাহস দেখাতে পারেনি।
পাকিস্তানের রাজনীতির লাগাম অনেকাংশে তাদের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর হাতে। তাই সেনা অভ্যূত্থানের আশঙ্কায় কেউ উত্তেজনা বাড়াতে চায়নি।
কিন্তু ইমরান খানের সঙ্গে শুরু থেকেই সেনাবাহিনীর সুসম্পর্ক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।