নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টানা দুটি হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করার ধাক্কা সামলে ওঠা কঠিন হবে। আজ পাকিস্তান মরিয়া লড়াই করবে জেতার জন্য। কিন্তু যে পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজেই খাবি খেয়েছে, টুর্নামেন্টের শীর্ষ ফেবারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে কি পারবে? এখন পর্যন্ত অবশ্য ব্যাটিংয়ে বেশ আশাই জাগাচ্ছে পাকিস্তান। কে জানে, হয়তো শোয়েব আখতারের পরামর্শ মেনে পথ চলেছে বলেই এই বদল! তো কী বলেছেন, শোয়েব? বলেছেন, বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে খেলতে হবে কীভাবে। জিততে চাইলে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে হবে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে এসেছিলেন শোয়েব আখতার। সেখানেই পাকিস্তান-আফগানিস্তানের প্রথম দুই ম্যাচ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়ার প্রথম দল, যারা এটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে ৫০ ওভার পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান নিয়ে খেললে, কোনো সমস্যা হবে না। কতজন কত কিছু বলছে। কেউ বলছে অস্ট্রেলিয়ার কী দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ। হ্যাঁ ওদের কামিন্স-স্টার্ক আছে। কিন্তু এ ছাড়া আর কেউ আছে? কোল্টার-নাইল, জামপার মতো দুই-তিনজন আছে, বোলার হিসেবে যাদের সবাই সমীহ করে, কিন্তু এমন না যে ভয় পায়। তাদের বিপক্ষে তাই আফগানিস্তানের এমন খেলার কোনো মানে হয় না। আফগানিস্তান অন্তত যদি মাথাটা খাটিয়ে খেলতে পারত! কিছুটা পরিণতবোধ নিয়ে খেললে ওরাও অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে বসতে পারত।’
বাংলাদেশের প্রশংসা করে শোয়েব বলেছেন, ‘বাংলাদেশ কিন্তু এ ধরনের ভুল করেনি। ওরা বেশ অনায়াসে ইনিংস নির্মাণ করেছে। ধীরে ধীরে জুটি গড়ে তুলেছে। এমন নয় কোনো একজন ব্যাটসম্যান দেড় শ-দুই শ রানের ইনিংস খেলেছে। একের পর এক ছোট ছোট জুটি গড়ে তুলেছে তারা। পাকিস্তানও প্রথম ম্যাচে একই ভুল (আফগানিস্তানের) করেছিল। তারা কোনো ছোট ছোট জুটি গড়ার দিকে মনোযোগ দেয়নি। অথচ বাংলাদেশ কিন্তু ওভাবেই ৩৩০ রানের স্কোর করে ফেলল।’
কাল দক্ষিণ আফ্রিকার হেরে যাওয়াটাকে অঘটনও বলতে রাজি নন শোয়েব, ‘খেলার মাঝপথে আমি একটা স্টুডিওতে ছিলাম। তখন বলছিলাম, যদি বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জেতে, ভাইজান, এটা কোনো অঘটন হবে না। এখন বাংলাদেশ একটা পরিপূর্ণ দল। ওরা এখন এমন একটা দল, অধিনায়কসহ ওদের বেশ কিছু বোলার পুরো ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেনি, তবু ওদের সমস্যা হয়নি। তবু ওরা প্রতিপক্ষকে অলআউট করার সামর্থ্য রাখে, প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার সামর্থ্য রাখে।’
বাংলাদেশের মূল শক্তি যে ব্যাটিং, সেটিও বলেছেন শোয়েব, ‘ওদের ব্যাটিং লাইন আপটা কী লম্বা দেখুন। আট নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান। আমি বলব, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়াটা ওদের জন্য মোটেও অঘটন নয়। ওরা যদি এত ভালোভাবে শুরু করে পারে, বাকি এশীয় দলগুলো, বিশেষ করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে বুঝতে হবে, এটা এশিয়ার বাকি দলগুলোরও টুর্নামেন্ট। মাঠে নামলাম বাজে শট খেলে আউট হয়ে গেলাম, তা করা চলবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।