নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তিন ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়াল আগের ম্যাচে বিধ্বস্ত হওয়া পাকিস্তান। মোহাম্মদ হাফিজ, বাবর আজম ও সরফরাজ আহমেদের ব্যাটে চড়ে গড়ল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। নটিংহ্যামে গতকাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৪৮ রান করে পাকিস্তান। ১ রানের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ স্পর্শ করতে পারেনি তারা। এবারের আসরেও এপর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। আগের সেরাটি ছিল একদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করা বাংলাদেশের ৬ উইকেটে ৩৩০। টানা দ্বিতীয় জয়ের জন্য এউইন মরগ্যানের দলকে গড়তে হবে বিশ্বকাপে লক্ষ্য তাড়ার রেকর্ড। এমন মাঠে তারা এই লক্ষ্য পেয়েছে যেখানে তারা দুইবার ভেঙেছে ওয়ানডেতে দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। একবার করেছিল ৪৪৪, অন্যবার ৪৮১।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়ার কীর্তি আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল তারা। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের রান তাড়ার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০০৭ আসরে জিতেছিল ৩০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায়।
উপমহাদেশের দলগুলোকে নিয়ে এক মজায় নেমেছিল দলগুলো। মেঘলা আকাশ পেয়েই বাউন্সার আর গতি দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করছিল। টপ অর্ডারে ধস নামার পর সবারই থরহরিকম্প অবস্থা। সে অবস্থা কাটাতে কাটতেই ম্যাচ নিয়ে সব অনিশ্চয়তা উধাও। প্রথমে পাকিস্তান, এরপর শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান একই পথে হেঁটেছে। বাংলাদেশই প্রথম চিত্রপট পাল্টাতে বাধ্য করলেন গতপরশু।
পাকিস্তানকেও পেস দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুংকার দিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ট্রেন্ট ব্রিজে ইমাম-উল-হক ও ফখর জামানের ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা হয় ভালো। যথারীতি আক্রমণাত্মক ছিলেন ফখর। দেখেশুনে খেলছিলেন ইমাম। কঠিন সময় পার করে দিয়ে অফ স্পিনার মইন আলির বলে ফিরেন তারা। শুরু থেকে সাবলীল ছিলেন বাবর। একটু নড়বড়ে ছিলেন হাফিজ। তবে ধীরে ধীরে জমে উঠে তৃতীয় উইকেট জুটি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন বাবর। চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৬৩ রান করা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন মঈন।
সরফরাজের সঙ্গে আরেকটি ভালো জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন হাফিজ। আট চার ও দুই ছক্কায় ৮৪ রান করা হাফিজকে থামিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন মার্ক উড। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি সরফরাজ। পাকিস্তান অধিনায়ক ৪৪ বলে ৫ চারে করেন ৫৫ রান। শেষের দিকে নিয়মিত উইকেট হারালেও সবার ছোট ছোট অবদানে ৩৪৮ পর্যন্ত যায় পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।