পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেমন থাকবে ঈদের দিনের সকালবেলায় আকাশের মতিগতি? এ নিয়ে সারা দেশের মানুষের মাঝে আলোচনা-পর্যালোচনা অবিরত চলছেই। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে মাহে রমজান ঊনত্রিশে হলে আগামীকাল ৫ জুন বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। রোজা ত্রিশে গেলে পরদিন ৬ জুন বৃহস্পতিবার হবে ঈদ। গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা গেছে, আকাশে মেঘ-বৃষ্টির ঘনঘটা আছে যথেষ্ট।
এরফলে বৃষ্টিভেজা হতে পারে বুধবার অথবা বৃহস্পতিবারে ঈদের সকালটি। রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ অনেক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে ঈদগাঁহ ও খোলা ময়দানে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠানে বিড়ম্বনা হতে পারে বৈ কী। এরজন্য ঈদ জামাত কমিটিগুলো নিচ্ছে বাড়তি প্রস্তুতি। অবশ্য বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির সাথেই কেটে যাচ্ছে দেশজুড়ে দুই মাস ধরে চলা অসহ্য গরমের যন্ত্রণা। রোজায় প্রায় মাসজুড়ে ছিল এবার তাপদাহ। এখন গ্রীষ্মের জ্যৈষ্ঠ মাস হলেও ঈদ কাটবে মেঘের ছায়ায় হিমেল হাওয়া আর বৃষ্টির শীতল পরশে।
এবারের ঈদে প্রায় সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি ঝরবে ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেছেন, সর্বশেষ প্রাপ্ত আবহাওয়ার বিন্যাস ও তথ্য-উপাত্ত অনুসারে এখন পর্যন্ত যে অবস্থাটা তাতে ঈদুল ফিতরের দিন সকালে আকাশ মেঘলা এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। অবশ্য আবহাওয়ার অবস্থার পরিবর্তনও হয়ে থাকে।
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ঈদের দিন (৫ বা ৬ জুন) ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে মেঘ-বৃষ্টিপাতের ঘনঘটা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা ছাড়াও সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে বেশি বৃষ্টিপাতের আভাস আছে। থেমে থেমে হতে পারে জৈষ্ঠ্যের এই বৃষ্টি। তবে উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি কম হতে পারে। সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি থাকতে পারে ঈদের পর আরও কয়েকদিন।
জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়) মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) জেঁকে বসতে পারে। আর এ মাসে সম্ভাবনা স্বাভাবিক হার ও পরিমানে। জুনের শুরুটা হয়েছে বৃষ্টি দিয়ে।
অবশ্য পূর্বাভাস অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে যদি লঘুচাপ-নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় তাহলে আবহাওয়ার অবস্থা পাল্টে যাবে।
আবহাওয়া বিভাগের চলতি (৩০ মে থেকে ৮ জুন) পূর্বাভাসে জানা যায়, এ সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত, অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
ঈদুল ফিতরের সকালে বৃষ্টি-বাদলের চিন্তা মাথায় রেখে বিভিন্ন স্থানে পাড়া-মহল্লায় ঈদ জামাত কমিটিগুলো মসজিদের ভেতরে-বাইরে এবং ঈদগাঁহ বা ময়দানে প্যান্ডেল টানিয়ে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় ঈদগাঁহে প্রধান ঈদ জামাত বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠিত হতে না পারলে যথারীতি বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান জামাতের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
দমকা ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত
দেশের অধিকাংশ জায়গায় গতকালও হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে। আজসহ আগামী এক সপ্তাহে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় বগুড়ায় ৬৭ মিলিমিটার।
এ সময় ঢাকায় ১৭, চট্টগ্রামে ৪, ময়মনসিংহে ৫৬, সিলেটে ১২, বরিশালে ৯, দিনাজপুরে ৪ মিলিমিটারসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। তবে খুলনা বিভাগে এ সময় বর্ষণ হয়নি। বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা কমে এসেছে। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩০.৪ এবং সর্বনিম্ন ২২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সমুদ্রের সমতল থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার ঊর্ধ্ব পর্যন্ত একটি সাইক্লোনিক ঘূর্ণিবাত বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর অবস্থান করছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এর পরের ৫ দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ূ (বর্ষা) টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।