নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিততে হলে গড়তে হতো রেকর্ড। জো রুট আর জস বাটলারের সেঞ্চুরিতে সেপথে ভালোই এগিয়েছিল ইংল্যান্ড। শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন ৫৫ রান। এই সময়ই ওয়াহাব রিয়াজ নামক জাদুর কাঠিয়ে ভোজভাজির মতো পাল্টো গেল পাকিস্তান।
পর পর দুই ওভারে নিলেন জোড়া উইকেট, হাঁটলেন ক্যাচ আর ফিল্ডিং মিসের মহড়ার উল্টো পথে। দুর্দান্ত দুটি ক্যাচে ফেরালেন বাটলার আর জোফরা আর্চারকে। তাতেই ১৪ রানের জয় পেল ১৯৯২ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ট্রেন্ট ব্রিজে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৩৪৮ রান তোলে ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তান। যা এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ দলীয়। জবাবে শেষ পর্যন্ত খেলেও ৩৩৪ রানেই থামে ৯ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড।
ওয়াহাবের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরল পাকিস্তান
আগের বলে ফিরিয়েছেন থিতু হয়ে যাওয়া মঈন আলীকে, পরের বলেই কিস ওকসকে ফিরিয়ে ম্যাচে পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রন এনে দিলেন ওয়াহাব রিয়াজ।
৪৮ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩২০। জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ১২ বলে ২৮।
সেঞ্চুরি করে এবার ফিরলেন বাটলার
একটু আগেই এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন জো রুট। সেই একই পথে হেঁটে একই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি দেখলো বিশ্ব। বাটলারও দেখেছেন তিন অঙ্কের দেখা। তবে চার মেরে শতক পূর্ণ করেই ফিরে গেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক।
মোহাম্মদ আমরির বলে শর্ট থার্ডম্যানে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে তালুবন্দী হবার আগে ৯টি চার ও ২টি ছক্কার ৭৬ বলে খেলেছেন ১০৩ রানের ঝড়ো ইনিংস।
স্কোর : ৪৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২৯১।
মঈন আলীকে জীবন দিলেন সরফরাজ
৪ রানে ফিরে যেতে পারতেন মঈন আলী। সাদাব খানের বলে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে গিয়েছিল উইকেটরক্ষক সরফরাজের হাতে। সেটিতো তালুবন্দী করতে পারেন ই নি, লাইন মিস করে উল্টো এগিয়ে যাওয়া মঈনকে স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগও হাতছাড়া করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
স্কোর : ৪১ ওভার শেষে ইংল্যান্ড ২৬৩। বাটলার এগিয়ে যাচ্ছেন সেঞ্চুরির পথে, অপরাজিত আছেন ৮৫ রানে। রেকর্ড গড়ে জিততে স্বাগতিকদের চাই ৫২ বলে ৮৪ রান।
প্রথম সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে ফিরলেন রুট
এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে চেয়েছিলেন আগ্রাসী হতে। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পরের বলেই মেরেছিলেন চার। তবে সেই আগ্রাসন থামিয়ে পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।
থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো সাদাব খানের হাতে তালুবন্দী হবার আগে খেলে গেছেন ১০৭ রানের ঝলমলে ইনিংস। ১০৪ বলের ইনিংসটি ১০টি চার ও একটি ছক্কায় মোড়ানো। তবে অপরপ্রান্ত ঠিকই আগলে খেলে চলেছেন জস বাটলার। অপরাজিত আছেন ৭৫ রানে।
৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২৫০।
রুটের ব্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি
এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেতে পারতেন বেন স্টোকস। প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেতে পারতো এবারের বিশ্বকাপ। কিন্তু দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১১ রানের ইনিংসে ৮৯ রানেই থামতে হয়েছিল এই ইংলিশ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে।
তবে সেই স্বাগতিকদের হাতেই এলো দ্বাদশ আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় লক্ষ্য তাড়ায় ঝড়ো সেঞ্চুরিটি তুলে নেন জো রুট। ৯৭ বলে শতক তুলে নিয়েছেন এই টপ অর্ডার। এটি ওয়ানডেতে তার ১৫তম সেঞ্চু্রি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেছেন জস বাটলার, অপরাজিত আছেন ৭২ রানে।
৩৭.২ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারানো শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২৩৮।
রুট-বাটলারে দুইশ’ পার
জো রুট আর জস বাটলারের ব্যাটে দুইশ’ পার করেছে ইংল্যান্ড। ৯০ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন তারা। সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে রুট, বাটলার ফিফটি তুলে অপরাজিত আছেন ৫৭ রানে।
৩৪ ওবার শেষে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২১১।
বাটলারের অর্ধশতকে পথ খুঁজছে ইংল্যান্ড
ইংলিশ ব্যাটসম্যান জস বাটলারের ব্যাটে পথ খুঁজছে ইংল্যান্ড। জো রুটের পর ফিফটি তুলে এখন পর্যন্ত ৩৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত আছেন। জো রুট খেলছেন ৮৩ রানে।
স্কোর-৩১ ওভারে ১৯৯/৪।
জ্বলে উঠেছে রুট-বাটলার জুটি
স্টোকসের বিদায়ের পর ক্রিজে জ্বলে উঠেছেন রুট (৭৯*)-বাটলার (৪০*) জুটি। এই দুই ব্যাটসম্যানে আশার আলো দেখছে ইংল্যান্ড। ধীরে ধীরে বিধ্বংসী হয়ে উঠছে এই জুটি। এখন অবধি তারা যোগ করেছে ৬৫ রান।
স্কোর- ৩০ ওভারে ১৮৭/৪।
স্টোকসের বিদায়ে চালকের আসনে পাকিস্তান
ইংলিশ বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসের (১৩) বিদায়ে চালকে আসনে পাকিস্তান। অভিজ্ঞ স্পিনার শোয়েব মালিকের বলে উইকেটরক্ষক সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিরিয়নের পথ ধরেন তিনি। জো রুটের (৫৫*) সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার (১*)।
দলীয় সংগ্রহ ২২ ওভারে ৪ উইকেটে ১২০ রান।
রুটের হাফ সেঞ্চুরিতে শতরান পেরুল ইংল্যান্ড
প্রথম উইকেট পতণের পর ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ইংল্যান্ড দলের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ জো রুট (৫০*)। তিনি তখন থেকে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলছেন। একের পর এক উইকেট পতণের পর ১৮তম ওভারে দলীয় ১০০ রান পেরিয়েছে ইংল্যান্ড। তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আছেন স্টোকস (১০*)।
স্কোর-১৯ ওভারে ১১১/৩।
হাফিজের শিকার মরগান
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মরগান করেছিলেন ৫৭ রান। কিন্তু রান তাড়ার ম্যাচে মাত্র ৯ রানেই হাফিজের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন ইংলিশ অধিনায়ক। রুটের (৩৬*) সঙ্গে জুটি বাঁধতে নেমেছেন বেন স্টোকস (০*)। নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিযন্ত্রণ পাকিস্তানের হাতে। জযের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ২৬৩ রান।
স্কোর- ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৬ রান।
বেয়ারেস্টোকে ফেরালেন ওয়াহাব
আগের ওভারে খেয়েছিলেন দুটি চার। এ ওভারে খেলেন আরও একটি চার। কিন্তু কাজের কাজটা ঠিকই করলেন ওভারের শেষ বলে। উইকেটরক্ষক সরফরাজের হাতে ক্যাচ তলে দিতে বাধ্য করলেন বেয়ারেস্টোকে (৩২)। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই পথের কাঁটা উপড়ে দিলেন ওয়াহাব। ব্যাটিংয়ে রুটকে (১৯*) সঙ্গ দিতে এসেছেন অধিনায়ক মরগান (০*)। রেকর্ড রান তাড়া করতে হলে এই দুই ব্যাটসম্যানকে বড় ইনিংস খেলা ছাড়া বিকল্প নেই।
স্কোর-৯ ওভারে ২ উইকেটে ৬০ রান।
দলীয় পঞ্চাশ রানে ইংল্যান্ড
রুট (১৯*)-বেয়ারেস্টোর (২৬*) ব্যাটে ৫০ রান করেছে ইংল্যান্ড। শুরুতে জেসন রয়ের (৮) বিদায়ের পর এই দুই ব্যাটসম্যান বেশ ঠান্ডামাঠায় খেলছেন। রেকর্ড রান তাড়া করতে এই দুই ব্যাটসম্যানকে অনেকদূর ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে হবে। এখন অবধি সেটাই করে যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
স্কোর ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৫৪ রান।
জেসন রয়কে ফেরালেন শাদাব
বিধ্বংসী ওপেনার জেসন রয়কে (৮) ফিরিয়ে দিলেন শাদাব খান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তাকে আউট করেন শাদাব। আরেক ওপেনার জনি বেয়েরেস্টোর (৫*) সঙ্গে খেলতে ক্রিজে এসেছেন জো রুট (৫*)।
দলীয় সংগ্রহ ৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৮ রান।
ইংল্যান্ডকে ৩৪৯ রানের লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান
হাফিজের ৮৪, বাবরের ৬৩ ও সরফরাজের ৫৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। এই ম্যাচ জিততে হলে ইংল্যান্ডকে রেকর্ড গড়ে জিততে হবে। ইতিপূর্বে ৩২৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতাই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।
তবে বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই প্রতি ম্যাচে গড়ে তিনশ, সাড়ে তিনশ রান তাড়া করে জিতেছে। কিন্তু বিশ্বকাপের আলাদা চাপ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ভালো করতে হবে জয়ের জন্য। নতুবা ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে যাবে সরফরাজদের। প্রথম জয়ের জন্য বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে নিজেদের পুরোটাই দিতে হবে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ীদের। এছাড়াও বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ারও একটি সুযোগ পাকিস্তানের সামনে। এখন পর্যন্ত দুটি দলই জিতেছে ৪টি করে ম্যাচ।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দুটো্রই রেকর্ড পাকিস্তানের দখলে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলো পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৩৪৮/৮ (৫০ ওভার) (ইমাম ৪৪, ফখর ৩৬, বাবর ৬৩, হাফিজ ৮৪, সরফরাজ ৫৫, আসিফ ১৪, মালিক ৮, ওয়াহাব ৪, হাসান ১০*, শাদাব ১০*; ওকস ৭১/৩, আর্চার ৭৯/০, মঈন ৫০/৩, উড ৫৩/২, স্টোকস ৪৩/০, রশিদ ৪৩/০)
জোড়া উইকেট ইংল্যান্ডের
মাত্র ১ ওভারের ব্যবধানে দুই উইকেট তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ বোলার উড আসিফের (১৪) উইকেট তুলে নেয়ার পরে ওভারে সরফরাজকে (৫৫) ফেরান ওকস। এই দুই উইকেট পতনের পর রানের গতি কিছুটা কমে যায়।
সেঞ্চুরি হলো না হাফিজের
সেঞ্চুরি করতে পারলেন না হাফিজ। ৬২ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মার্ক উডের বলে ওকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।অবশ্য দলীয় রান ভালোই এগিয়ে দিয়ে গেছেন তিনি। তিনি ক্রিজে থাকলে রানের গতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হতেন, সন্দেহ নেই।
স্কোর-৪৩ ওভারে ২৭৯/৪।
হাফিজ-সরফরাজে বড় সংগ্রহের আভাস
দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ক্রিজে থেকে বড় স্কোরের আভাস দিচ্ছেন। হাফিজ (৬৪*) ও সরফরাজ (২৭*) জুটি পঞ্চাশ পেরিয়েছে। এই জুটি দীর্ঘায়িত হলে বড় সংগ্রহের দিকেই যাবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলায় অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী সরফরাজের দল। যদিও সেই সিরিজের সবকয়টি ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান, তবে কন্ডিশনে নিচেদের মানিয়ে নেয়া শিখেছে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
স্কোর-৪০ ওভার ২৫২/৩।
মঈনের তৃতীয় শিকার বাবর, হাফিজের ফিফটি
ধৈর্য পরীক্ষায় অনেকক্ষণ সফল হলেও শেষে মঈন আলীর বলে ধৈর্যহারিয়ে ফেলেন বাবর (৬৩)। মঈনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। পাকিস্তান ইনিংসের তিনটি উইকেটই দখল করলেন মঈন। বাবরের বিদায়ের পর হাফিজের (৫০*) সঙ্গ দিতে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক সরফরাজ (১*)। ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যক্তিগত ৩৭তম অর্ধশত রান পূর্ণ করেছেন হাফিজ।
দলীয় সংগ্রহ ৩৪ ওভারে ৩ উইকেটে ২১০ রান।
বাবরের ফিফটিতে এগুচ্ছে পাকিস্তান
প্রথম উইকেট পতণের পরই মাঠে নেমেছিলেন বাবর (৫৬*)। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিপক্ষ দলের সব বোলরকে ঠিকঠাক সামলে যাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আছেন হাফিজ (২০*)। তিনিও খুব দেখেশুনেই খেলছেন। বাবর-হাফিজ জুটি এখন পর্যন্ত যোগ করেছে ৫৯ রান।
স্কোর-২৯ ওভারে ২ উইকেটে ১৭০ রান।
পাকিস্তানকে এগিয়ে নিচ্ছেন বাবর-হাফিজ
পাকিস্তানের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাবর (৩১*) ও হাফিজ (১৭*) জুটি। এরমাঝে একটি জীবনও পেয়েছেন হাফিজ। ব্যক্তিগত ১৪ রানে তার সহজ ক্যাচ মিস করেন জেসন রয়।
স্কোর-২৫ ওভারে ১৪১/২।
আবারো মঈনের আঘাত
দারুণ খেলতে থাকা ইমামকে (৪৪) ফিরিয়ে দেন মঈন আলী। এর আগে ফখর জামানকেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই স্পিনার। দুই ওপেনার ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে ইংল্যান্ড। বাবর আজমের (২৪*) সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ (৫*)।
দলীয় স্কোর-২১ ওভারে ২ উইকেটে ১১৯।
দলীয় শতরানে পাকিস্তান
ওপেনিং জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাবর আজমকে (২০*) নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ইমাম (৪৩*)। দলীয় ১৮তম ওভারেই একশত রানের সংগ্রহে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
স্কোর-১৯ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০৮ রান।
ফখরকে ফেরালেন মঈন
বড় ওপেনিং জুটির সমাপ্তি ঘটলো ফখরের (৩৬) বিদায়ে। মঈন আলীর বলে তাকে স্ট্যাম্প আউট করেন উইকেটরক্ষক বাটলার। বিদায় নেয়ার আগে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের ভিত তৈরি করে দিয়েছেন ফখর জামান। দলীয় ৮২ রানের মাথায় তিনি আউট হলেন। ক্রিজে ইমামের (৩৮*) সঙ্গে জুটি বাঁধতে এসেছেন বাবর আজম (৭*)।
স্কোর-১৬ ওভার ৯০/১।
এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান
ফখর (৩৬*) ও ইমামের (৩৭*) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারার পর যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছেন এই দুই ওপেনার। ইংলিশ অধিনায়ক এখন পর্যন্ত চারজন বোলার ব্যবহার করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউই সুবিধা করতে পারেনি।
স্কোর-১৪ ওভারে ৮২/০।
পাকিস্তানের দুর্দান্ত সূচনা
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছে পাকিস্তান। নিজেদের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে খেলে মাত্র ৭.২ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ করে ফখর (৩০*)-ইমাম (২৪*) জুটি। ইনিংসের ৮ম ওভারে আর্চারের বলে ইমামকে আউট করতে রিভিউ নেন ইংলিশ অধিনায়ক। রিভিউর সময় দেয়া যায় বলটি ইমামের ব্যাটে লেগে প্যাডে স্পর্শ করেছে। এর ফলে এই ম্যাচে ইংলিশদের একমাত্র রিভিউটি নষ্ট হয়।
স্কোর-৮ ওভারে বিনা উইকেটে ৬২ রান।
পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো ইংল্যান্ড
টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলেছেন, টসে জিতলে তিনিও বোলিং বেঁছে নিতেন। ইংল্যান্ড দলে পরিবর্তন এসেছে একটি। লিয়াম প্যাঙ্কেটের পরিবর্তে দলে এসেছেন মার্ক উড। অন্যদিকে পাকিস্তান দলে পরিবর্তন দুইটি। আসিফ আলী ও শোয়েব মালিক দলে এসেছেন এবং বাদ পড়েছেন ইমাদ ও হারিস।
পাকিস্তান স্কোয়াড: ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, শাদাব খান, হাসান আলী, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির।
ইংল্যান্ড স্কোয়াড: জেসন রয়, জনি বেয়ারেস্টো, জো রুট, এউইন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), মঈন আলী, ক্রিস ওকস, জেফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড।
পাকিস্তানের সামনে অগ্নিপরীক্ষা
টানা ১১ ম্যাচে হারা পাকিস্তান দলের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে। তার ওপর আজকে প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইংল্যান্ড। কঠিন চ্যালেঞ্জকে বাড়তি রোমাঞ্চকর করে তুলছে আজকের ভেন্যু। কারণ খেলাটি হচ্ছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং স্বর্গ ট্রেন্ট ব্রিজে। এখানেই দুইবার ওয়ানডের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েছে মরগানরা। তাই এই মাঠে সরফরাজদের পুরনো রেকর্ড তাদের আত্মবিশ্বাস আরও তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে।
ইংলিশদের দাপুটে প্রথম ইনিংসটা ছিলো ২০১৬ সালে। পাকিস্তানের বিপক্ষেই তারা করেছে ৩ উইকেটে ৪৪৪ রান। আবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ২০১৮ সালে করেছে ৬ উইকেটে ৪৮১ রান। স্বস্তিদায়ক পরিসংখ্যান ইংল্যান্ডের সামনে আর পাকিস্তানের সামনে অপেক্ষা করছে এক অগ্নি পরীক্ষা।
পরিসংখ্যান:
সাম্প্রতিক ফর্ম ও বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে চাঙ্গা মনোভাব নিয়ে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে টানা ১১ ম্যাচ হেরে জয়ের সন্ধানে নামবে পাকিস্তান। কন্ডিশন ও ফর্মের বিচারে এগিয়ে ইংল্যান্ড। মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে স্বাগতিরাই। কিন্তু বিশ্বকাপে মুখোমুখি লড়াইয়ে উভয় দলের অবস্থানই সমান।
ওয়ানডেতে:
ম্যাচ: ৮৭
ইংল্যান্ড জয়ী: ৫৩
পাকিস্তান জয়ী: ৩১
পরিত্যক্ত: ৩
বিশ্বকাপে:
ম্যাচ: ৯
ইংল্যান্ড জয়ী: ৪
পাকিস্তান জয়ী: ৪
পরিত্যক্ত: ১
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।