Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে বিদ্যুতে আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) শতভাগ বাস্তবায়ন নিয়ে আশঙ্কা পড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কাজের ধারাবাহিকতা বলছে, গত সাত বছর ১০০ ভাগ বা এর কাছাকাছি, কখনও ১০০ ভাগের বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আর এবার গত এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৬৯ ভাগ। নির্ধারিত সময়ে বাকি ৩০ ভাগ এডিপি বাস্তবায়ন প্রায় কঠিন বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন ইনকিলাবকে জানান, কোনোভাবে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে যদি এমন হয় যে, সারাবছর ধীর গতিতে কাজ করে বছর শেষে হঠাৎ করেই দ্রুত কাজ করে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখানো হয়, সেটি খুবই ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে যদি ১০০ ভাগ নাও হয়, তাতেও সমস্যা নেই। তবে একশ’ ভাগ করার চেষ্টা করতে হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের, হিসাব অনুযায়ী, ১০ মাসে ৬৯ ভাগ কাজ শেষ কয়েছে। অর্থাৎ প্রতিমাসে গড়ে ৬ দশমিক ৯ ভাগ কাজ হয়েছে। সেই হিসাবে কাজ হলেও মে এবং জুন মিলিয়ে কাজ হওয়ার কথা ১৩ দশমিক ৮ ভাগ। অর্থাৎ শেষ হওয়া ৬৯ ভাগের সঙ্গে ১৩ দশমিক ৮ ভাগ যোগ করলে কাজ হবে ৮২ দশমিক ৮ ভাগ। তবু অর্থবছর শেষে এক পঞ্চমাংশের কাছাকাছি কাজ অসম্পন্নই থেকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অথচ গত সাত অর্থবছরে দেশের সব বিভাগের মধ্যে রেকর্ড ১০০ ভাগের বেশি কাজ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
গত ২০১১-১২ অর্থবছরে এডিপিতে ৫৬ প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। ওই বছর এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৯ দশমিক ৬১ ভাগ। এরপর ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ৬১ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৮ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। তখন এডিপি বাস্তবায়ন হয় ১০১ ভাগ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬৯ প্রকল্পে ৭ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ হয় ৯৯ দশমিক ৮৫ ভাগ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৭১ প্রকল্পে ৮ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ হয় ১০০ দশমিক ৬৫ ভাগ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭৭ প্রকল্পে ১৫ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ হয় ১০০ দশমিক ২৫ ভাগ।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮৮ প্রকল্পে ১৬ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ হয় ১০২ দশমিক ৯৮ ভাগ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৯৬ প্রকল্পে ২৪ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ হয় ১০৩ দশমিক ৪৬ ভাগ। কিন্তু এবারই প্রথম সেই রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এডিপি বাস্তবায়ন ৮০ ভাগের কিছুটা বেশি হতে পারে। আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎখাতে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৮৩৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিতে বিদ্যুৎ বিভাগের জিওবি খাতে চাহিদা ছিল ২১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে পাওয়া গেছে ১৪ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। চাহিদার তুলনায় ৬ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা কম। যদিও বলা হচ্ছে বিগত অর্থবছরের তুলনায় এডিপি বরাদ্দ ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা বেশি।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন ইনকিলাবকে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের এডিপি বরাদ্দ এবার বেশি। সেটি খরচ করাও একটি বড় কাজ। আশা করছি, বাজেটের আগেই সব টাকা খরচ করে প্রতিবারের মতো আমরা ১০০ ভাগই কাজ করে দেখাতে পারবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এডিপি

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ