রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আর দুই দিন পড়ে মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল ফিতর। অথচ নীলফামারীর সৈয়দপুরে কৃষকদের ঘরে ঈদ আনন্দ নেই। কারণ ধানের দাম নেই। আর ধানের দাম না থাকায় কৃষকরা তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের কেনাকাটাও করতে পারছে না। কৃষক পরিবারগুলোর ঈদ কেনাকাটায় ভাটা পড়েছে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত পাঁচ-ছয় দিন আগে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হয়েছে। কিন্তু তারপরও কৃষকদের কাছে সরাসরি ধান কেনা হচ্ছে না। কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে মজুত করছেন মজুদদার ও মিল মালিকরা। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে প্রতি মণ মোটা চালের ধান ৪০০ টাকা এবং সরু ধান ৫২০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। তাই কৃষকরা ধান বিক্রি করে ঈদের কেনাকাটা করতে পারছেন না।
উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউপির ব্রক্ষত্তর গ্রামের হালিমদার রহমান জানান, এবারে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর তা দেখে মহাখুশি কৃষক পরিবারগুলো। তাদের মনে আশা ছিল এবার ধান কাটামাড়াই শেষে তা বিক্রি করে ভালো দাম মিলবে। আর তা দিয়ে ঈদে পরিবার পরিজনদের ঈদের কেনাকাটা সারবেন। ঈদ পালন হবে ভালোভাবেই। কিন্তু ধানের দাম না থাকায় তাদের সে আশায় যেন গুঁড়েবালি। অথচ আর কয়েকদিন পর ঈদ। কিন্তু ধান কৃষকের ঘরে আসার পূর্ব মুর্হূতেই ধানের দাম কমে যাওয়ায় ঈদের কেনাকাটা নিয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন তারা।
বাজারে ধানের মূল্য পড়ে যাওয়ায় ঈদের বাজারে কৃষক পরিবারের সদস্যদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। ঈদ বাজারে যারা কেনাকাটা করছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষই হচ্ছে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী পরিবারের। শহরের নিউ ক্লথ মার্কেট, সৈয়দপুর প্লাজা, সুপার মার্কেট ও শহীদ ডা. সামসুল হক সড়কে তৈরি পোশাকের দোকানগুলো ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র মিলেছে।
শহরের অত্যাধুনিক সুপার মার্কেট সৈয়দপুর প্লাজার তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী মো. আইনুল হক জানান, ধানের ভালো ফলনের খবরে আমরা ব্যবসায়ীরা ফুরফুরে মেজাজে ছিলাম। মনে করেছিলাম এবারে ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে ঈদ-উল-ফিতর। কেনাবেচায় হবে বাজিমাত। কিন্তু ধানের দাম না থাকায় আশার আলোয় কালো মেঘ জমে হতাশা ভর করেছে।
আসন্ন ঈদ ও ধানের বাজার নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুরের কৃষক নেতা রুহুল আলম জানান, ধান কাটা মাড়াইয়ের মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারিভাবে ন্যায্য মূল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হলে ধানের বাজারে এমন ধস নামতো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।