Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আশা দেখাচ্ছে উইকেট

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু আজ

ইমরান মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ভারত, পাকিস্তান এরপর শ্রীলঙ্কা- দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশই যখন বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়ে গেছে, তখনই বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের আদি ভূমিতেই মেলে টাইগারদের বিশ্বকাপ টিকেট। প্রথম আসরেই বিশ্বকে জাত চেনায় বুলবুল-নান্নুরা। সে ধারায় আজ ওয়ানডে ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিধর দল বাংলাদেশ। এবারও ভেন্যু সেই ইংল্যান্ড।

সময়ের স্রোতে চড়ে দ্বাদশ বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। দলে আছেন সিনিয়র এমন পাঁচ ক্রিকেটার যারা প্রত্যেকেই দশ বছরের বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পার
করে দিয়েছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিম খেলতে যাচ্ছেন চতুর্থ বিশ্বকাপ। মাহমুদউল্লাহ খেলবেন তার তৃতীয় বিশ্বকাপে। এই পাঁচজনই যে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের মূল চালিকাশক্তি হবেন, তা বহু আগে থেকেই
চূড়ান্ত। এবারের বিশ্বকাপে তাদের সঙ্গে গোটা দলের টোটাল পার্ফরম্যান্স নির্ভর করবে বেশ কিছু সুযোগ ব্যাটে-বলে এক করার মাধ্যমে। যার শুরুটা হতে যাচ্ছে আজ। প্রতিপক্ষ দক্ষিন আফ্রিকা। যেখান থেকে শুরু হয়েছে এবারের আস সেই লন্ডনের ওভালে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়।

বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই পেসের ঝাঁজে মাত করে আলো কেড়েছেন জোফরা আর্চার। যাকে ইংল্যান্ডের এক্স-ফ্যাক্টর বলতে দ্বিমত নেই কারো। পরের দিন তো গতির এক্স-ফ্যাক্টর ওয়ান,
টু, থ্রি... সবই দেখেছে বিশ্ব। হোল্ডার, রাসেল, থমাসদের গতিতে কচুকাটা হয়েছে
পাকিস্তান। সেই ধারাবাহিকতা ছিল গতকালও। দুপুরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের পেসত্রয়ীতে বিদ্ধস্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ান পেসে চুর হয়েছে আফগানিস্তানও।

বাংলাদেশের ভান্ডারে কি এমন কোন এক্স-ফ্যাক্টর আছে? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রহস্য রেখে দিলেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। যেন আগের দিন ফাফ ডু প্লেসিসের দেয়া উত্তরটা আওড়াচ্ছিলেন মনে মনে। খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি, তাই আর্চারের অ্যাকশন নিয়েও অতোটা কাঁটাছেড়া হয়নি বলেই না কী তার এমন দাপট!

ইংল্যান্ডের কাছে ম্যাচ হেরে এমনটাই বলছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। সেই
প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যে উইকেটে খেলেছে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা, সেই উইকেটেই ম্যাচ। এটিই আশা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ দলের। ব্যবহৃত উইকেট আরেকটু মন্থর হতে পারে, বাংলাদেশ দলের ধরনের সঙ্গে যা মানিয়ে যেতে পারে দারুণভাবে।

ওই ম্যাচের উইকেট যথারীতি ব্যাটসম্যানদের জন্য ভালো ছিল। তবে যতটা ব্যাটিং স্বর্গ ইদানিং ইংল্যান্ডে দেখা যায়, ততটা ছিল না। তাই বয়ে যায়নি রানের জোয়ার। পেস ও স্পিন, দুটিতেই সহায়তা মিলেছে খানিকটা। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ইংল্যান্ডের জফরা আর্চার। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররাও খারাপ করেননি। উইকেট খানিকটা ছিল মন্থর, ভালো করেছেন স্পিনাররাও।

আগের দিন অনুশীলনে গিয়ে বাংলাদেশের দল জানতে পেরেছে, খেলা একই উইকেটে। দলের প্রতিনিধি হয়ে ওভালের সংবাদ সম্মেলনে আসা বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের কণ্ঠে তাই আশার সুর। যদিও দুই ম্যাচের মাঝে বিরতি ছিল ২ দিন। তবে বোলিং কোচের ধারণা, উইকেট বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) যে উইকেটে খেলা হয়েছে, সেখানেই হবে আমাদের ম্যাচ। তা হলে আমার জন্য ভালো। ওভালে সাধারণত ভালো

ক্রিকেট উইকেট থাকে, ভালো স্কোর হয়। ভালো একটি ম্যাচ হবে বলে ধারণা করছি আমি। উইকেটের আচরণ ভালো থাকার কথা। পেস-স্পিন, দুটিই সহায়তা পাবে বলে মনে হচ্ছে। গতকাল আমরা দেখেছি কেমন ছিল আচরণ, তাই ভালো ধারণা পাচ্ছি রোববার কেমন থাকতে পারে। দুই দিন পর (আজ) ম্যাচ, খেলা হবে ব্যবহৃত উইকেটে, এসব বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রথমে আমাদের যা করতে হবে, দ্রুত উইকেট পড়ে ফেলতে হবে। তবে চতুর্থ দিনের উইকেটের মতো হলে (যদি টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনের উইকেটের মতো থাকে) আবার প্রথম ম্যাচের মতো আচরণ করবে না। সেটাও দ্রুত বুঝে ফেলতে হবে। তবে এখনও বেশ ভালো উইকেট মনে হচ্ছে।’

ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসী ব্যাটিং থামাতে অধিনায়কদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারেন লেগ স্পিনাররা। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রায় প্রতিটি দলই তাই অন্তত একজন করে লেগ স্পিনার তৈরি করে রেখেছে, ব্যতিক্রম কেবল বাংলাদেশ। পেস আক্রমণ দিয়েই সাফল্যের খোঁজে এবার অভিজ্ঞ দলটি। আর্চারের মতো প্রোটিয়াদের ভড়কে দেওয়া অস্ত্র কি

বাংলাদেশের আছে? বোলিং কোচ ওয়ালশ কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দিলেন উত্তর গোপন রেখে, ‘(এক্স ফ্যাক্টর)...সেটা তো আমাদের গোপন অস্ত্র! আমরা চাই না প্রতিপক্ষ সেটা জেনে যাক ও তাকে টার্গেট করা শুরু করুক। আমাদের দলে বেশ কজন আছে, খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন। নির্দিষ্ট দিনে, কন্ডিশন বুঝে আমরা দেখিয়ে দেব।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য ছিল গত আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা। এবার মাশরাফিদের লক্ষ্য সেমিফাইনাল। সেই স্বপ্নের শুরুটা কেমন হয় সেটিই দেখা অপেক্ষায় গোটা দেশ।



 

Show all comments
  • রনি ভাই ২ জুন, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    ফলাফল যেটাই আসুক না কেনো, জিতলেও বাংলাদেশ হারলেও বাংলাদেশ। আমরা সব সময় তোমাদের সাথে আছি, ইনশাআল্লাহ জয় আমাদের হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Milton ২ জুন, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    প্রত্যাশার চাপ একটু বেশি হবে। তবে স্বাভাবিক থেকে খেলতে পারলে বাংলাদেশ টিম অনেক দূর পৌঁছবে তাতে সন্দেহ নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Syed Sajid Islam ২ জুন, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    Win or Lose ..... We will always support you Bangladesh :)
    Total Reply(0) Reply
  • সৈকত ফকির ২ জুন, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেলা দেখছি। 'বাংলাদেশ কোনোভাবেই ফেবারিট না' এই কথা মানতে রাজি নই। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল। চার বছর পর অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পাশাপাশি নবীনরাও এখন বেশ ভালো খেলছে, তাই সবাই এবার বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল আশা করছে। মানুষ আশায় বাঁচে, ১৯৯৯ সালে কেউ আশা করেনি বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো দলকে হারাবে যে দল সেই বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল। আজ বিশ বছর পর বাংলাদেশের, বিশ্বের যেকোনো দলকেই হারানোর ক্ষমতা আছে। সুতরাং, এবার সবাই খুব স্বাভাবিক কারণেই বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখছে, কারো ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য নয়। যেকোনো প্রতিযোগীতায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা চাপ থাকে, চাপ সামাল দিয়ে এগিয়ে যেতে না পারলে যেকনো প্রতিযোগীতায়ই টিকে থাকা মুশকিল। তাই বলবো, যদি কেউ চাপ সহ্য করতে না পারে তার উচিত প্রতিযোগীতা থেকে সরে দাঁড়ানো। নিজেকে চাপ মুক্ত করার জন্য লক্ষ্য কোটি মানুষকে নিরাশ হতে বলাটা কোনোভাবেই ন্যায্য কোনো দাবি হতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Maruf Ahmed ২ জুন, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    মনে করার কি আছে? আমি মনে করি আমাদের এই দলের শিরোপা জেতার সামর্থ্য আছে, ভয়ডরহিন ক্রিকেট খেলতে হবে। পঞ্চপান্দবের সাথে তরুন রা জলে উঠলে যে কোন কিছু হতে পারে, শুভকামনা থাকল মাশ্রাফির দলের জন্য
    Total Reply(0) Reply
  • জুলকার নাইন ২ জুন, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    স্পিডস্টার ভস মাশরাফি যদি দুদান্ত ফর্ম ধরে রাখে তাহলে বিশ্বকাপ জেতা বাংলাদেশের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র
    Total Reply(0) Reply
  • Sheraaz Khan ২ জুন, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    এশিয়ার দেশগুলা যেভাবে বাশ খাচ্ছে আপনেরা দয়া করে শুধু মানসম্মান নিয়ে ফিরে আসেন সেটাই বিশ্বকাপ জেতার সমান।
    Total Reply(0) Reply
  • Mostafa Golam ২ জুন, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
    আমি ০০১% ও আস্থা রাখতে পারতেছিনা, সেখানে আপনি বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনার কথা বলছেন, এটা দিবাস্বপ্ন ছাড়া আরও কিছু না। যেখানে Sri Lanka র মতো দল নিউজিল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পড়ে নাই। তবে সবার পরে সত্য কথা আমি বাংলাদেশের ১০০% সাপোর্টার,
    Total Reply(0) Reply
  • Shakil ২ জুন, ২০১৯, ২:৩২ পিএম says : 0
    আগের চেয়ে বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো দল।আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ একদিন বিশকাপ জিতবে,,,,কারণ বাংলাদেশ সব দলকে হারানোর যোগ্যতা আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Afridi Irshad ২ জুন, ২০১৯, ৩:০১ পিএম says : 0
    বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেলা দেখছি। 'বাংলাদেশ কোনোভাবেই ফেবারিট না' এই কথা মানতে রাজি নই। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল। চার বছর পর অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পাশাপাশি নবীনরাও এখন বেশ ভালো খেলছে, তাই সবাই এবার বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল আশা করছে। মানুষ আশায় বাঁচে, ১৯৯৯ সালে কেউ আশা করেনি বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো দলকে হারাবে যে দল সেই বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল। আজ বিশ বছর পর বাংলাদেশের, বিশ্বের যেকোনো দলকেই হারানোর ক্ষমতা আছে। সুতরাং, এবার সবাই খুব স্বাভাবিক কারণেই বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখছে, কারো ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য নয়। যেকোনো প্রতিযোগীতায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা চাপ থাকে, চাপ সামাল দিয়ে এগিয়ে যেতে না পারলে যেকনো প্রতিযোগীতায়ই টিকে থাকা মুশকিল। তাই বলবো, যদি কেউ চাপ সহ্য করতে না পারে তার উচিত প্রতিযোগীতা থেকে সরে দাঁড়ানো। নিজেকে চাপ মুক্ত করার জন্য লক্ষ্য কোটি মানুষকে নিরাশ হতে বলাটা কোনোভাবেই ন্যায্য কোনো দাবি হতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ ক্রিকেট

১৬ জুলাই, ২০১৯
১৫ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ