Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অস্ট্রেলিয়াকে ভোগাল আফগানিস্তান

আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৯, ৬:১৬ পিএম | আপডেট : ১:০২ এএম, ২ জুন, ২০১৯

পাঁচবাবের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা প্রথম ম্যাচটা চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু করলো। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই ছিলো অজিদের দাপট। প্রথমে আফগানদের ২০৭ রানে আটকে দিয়ে পরে ব্যাটিংয়েও নিজের শক্তিমত্তার জানান দিলো অ্যারন ফিঞ্চের দল। টেস্ট ক্রিকেটের নবাগত দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫ ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

অ্যারন ফিঞ্চ (৬৬), উসমান খাজার (২০) ও একেবারে শেষে স্টিভেন স্মিথের (১৮) উইকেট তিনটিই বোলিংয়ে আফগানিস্তানের প্রাপ্তি। এছাড়াও হামিদ হাসানের কার্যকরী নিয়ন্ত্রিত বোলিং। এই অভিজ্ঞ আফগান বোলার উইকেট না পেলেও প্রতিপক্ষ শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। মুজিব মার খেয়েও শেষে উইকেট পেয়ে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন।

এছাড়া এবারের বিশ্বকাপে বেন স্টোকসের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় উঠেছেন ওয়ার্নার। দুজনের রানই ৮৯।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ২০৯/৩ (৩৪.৫ ওভার) (ফিঞ্চ ৬৬, ওয়ার্নার ৮৯*, খাজা ১৫, স্মিথ ১৮, ম্যাক্সওয়েল ০*; নাইব ৩২/১, মুজিব ৪৫/১, রশিদ ৫২/১, হামিদ ১৫/০, নবী ৩২/০, দৌলত জাদরান ৩২/০)।

আফগানিস্তান: ২০৭/১০ (৩৮.২ ওভার) (শাহজাদ ০, জাজাই ০, রহমত ৪৩, শহিদি ১৮, নবী ৭, নাইব ৩১, নাজিবুল্লাহ ৫১, রাশিদ ২৭, দৌলত ৪, মুজিব ১৩, হামিদ ১*; কামিন্স ৪০/৩, জাম্পা ৬০/৩, স্টোইনিস ৩৭/২, স্টার্ক ৩১/১, নেইল ৩৬/০)

ম্যাচসেরা: ডেভিড ওয়ার্নার।

খাজাকে ফেরালেন রশিদ

স্লো চলা ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়েছেন রশিদ খান। দুর্দান্ত এক গুগলিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন উসমান খাজাকে (১৬)। ২৫ ওভার শেষে দুই উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৫৬। ওয়ার্নারকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন স্টিভেন স্মিথ।

ওয়ার্নারের ফিফটিতে দেড়শ পেরুলো অস্ট্রেলিয়া

ফিঞ ফিরে যাবর পর একটু ধীরে চলো গতিতে এগুচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধীরলয়েই নিজের ফিফটি তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নারও। অপরাজিত আছেন ৬০ রানে। তাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসা উসমান খাজার সংগ্রহ ১৫।

২৫ ওভার শেষে ঐ এক উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৫৬।

অধিনায়কের হাতেই প্রথম ব্রেক থ্রু

উড়ন্ত শুরুটা হয়েছিল তার হাত ধরেই। মাঝে কিছুটা সাবধানী হলেও ৪২ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই ওপেনারকে (৪৯ বলে ৬৬) ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন গুলবাদিন নািইব।

তবে এরই মধ্যে একশ’ পেরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৮ ওভার শেষে এক উইকেট হারানো চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ ১০৩।

অস্ট্রেলিয়ার রাশ টানলেন হামিদ-জাদরান

ছোট লক্ষ্য তাড়া উড়ন্ত শুরু করেছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ-ডেভিড ওয়ার্নার। তবে সেই রানের লাগাম টেনে ধরেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও হামিদ হাসান। প্রথম ৫ ওভারে যেখানে ৩৫ রান নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, সেখানে পরবর্তী ৫ ওভারে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ ২০!

এই ৩০ বলে এসেছে মাত্র দুটি চার ও একটি ছক্কার মার। ১০ ওভার শেষে শিরোপাধারীদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৫। ফিঞ্চ অপরাজিত ৩৬ এবং ওয়ার্নার ব্যাট করছেন ১৭ রানে।

ফিঞ্চ-ওয়ার্নারে উড়ন্ত শুরু

লক্ষ্য মাত্র ২০৮। এবারের বিশ্বকাপে আগের ম্যাচগুলো থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সাত তাড়াতাড়ি ম্যাচ শেষের চেষ্টায় অস্ট্রেলিয়া। ঝড়ো উদ্বোধনী ঝুটিতে উড়ন্ত শুরু করেছে ৫ বারের বিশ্বচাম্পিয়নরা। 

৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৫। ফিঞ্চ ১৬ বলে ২৪, তুলনামূলক ধীর ওয়ার্নার অপরাজিত আছেন ১৫ বলে ১০ রান করে। নিউল্যান্ডস টেস্ট কেলেঙ্কারির পর এই প্রথম জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নেমেছেন সাবেক অধিনায়ক। তার সঙ্গী সেই একই কাণ্ডে নির্বাসিত থাকা স্টিভেন স্মিথও খেলছেন আজ।

২০৭ রানে অলআউট আফগানিস্তান

মুজিবকে বোল্ড করে আফগানদের শেষ উইকেট তুলে নিলেন প্যাট কামিন্স। মাত্র ৩৮.২ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে আফগানরা। ম্যাচ জিততে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ২০৮ রান। আফগান ইনিংসে একমাত্র অর্ধশত রান পেয়েছেন নাজিবুল্লাহ। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জন্য আতঙ্ক হয়েই ছিলেন। আগ্রাসী ব্যাটিং দেখিয়েছেন রশিদ খান ও মুজিব-উর-রহমান।

উল্লেখ্য, এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানে এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে দুইশত রান করে। এরআগে পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অলআউট হয় ১০৫ রানে এবং শ্রীলঙ্কা ১৩৬ রানে সবকয়টি উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

রশিদকে ফেরালেন জাম্পা

৭ উইকেট পতনের পর রশিদ (২৭) ও মুজিব (১২)* মাত্র ২.৩ ওভারে ৩৯ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু রশিদকে এলবিডব্লিউ করে সেই জুটি আর লম্বা করতে দেননি জাম্পা। শেষ উইকেটে মুজিবের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেছেন হামিদ হাসান (০)।

সস্কোর ৩৮ ওভারে ২০৭/৯।

আবারও কামিন্সের আঘাত

এক ওভারে স্টোইনিসের জোড়া উইকেট পতনের পরের ওভারেই আক্রমনে আসেন প্যাট কামিন্স। এসেই নতুন ব্যাটসম্যান দৌলত জাদরানকে সাঝঘরে পাঠিয়ে দেন এই অজি তারকা।

স্কোর ৩৫ ওভারে ১৬৬/৮।

নাজিবুল্লাহর প্রতিরোধ থামালেন স্টোইনিস

এক ওভারেই ক্রিজে সেট হওয়া দুই ব্যাটসম্যান নাইব (৩১) ও নাজিবুল্লাহকে (৫১) বিদায় করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুণরায় প্রতিষ্ঠিত করলেন স্টোইনিস। ওভারের প্রথম বলে নাইব ও পঞ্চম বলে নাজিবুল্লাহকে ফিরিয়ে দেন এ্ই অজি বোলার। দুই নতুন ব্যাটসম্যান রশিদ খান (১) ও দৌলত জাদরান (০) এখন ব্যাটিংয়ে আছেন।

দলীয় স্কোর ৩৪ ওভারে ১৬২/৭।

নাজিবুল্লাহর হাফ সেঞ্চুরিতে এগোচ্ছে আফগানরা

নাজিবুল্লাহর (৫০)* ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। তিনি ৭টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা মেরেছেন।

আফগানদের সংগ্রহ ৩৩ ওভার শেষে ১৬০/৫।

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আফগানরা

ম্যাচে নিজেদের অবস্থান তৈরিতে নাইব (২০)* ও নাজিবুল্লাহের (৩৭)* জুটি এখন পর্যন্ত কার‌্যকর ভূমি পালন করছে। নবীকে হারিয়ে ঝুঁকতে থাকা আফগানদের সংগ্রহে  ৯.৪ ওভারে ৫৭ রান যোগ করেছে এই জুটি।  ত্রিশতম ওভারে জাম্পার ওভার থেকে আসে ২২ রান। যেখানে ২টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিলো। এই প্রতিটি বাউন্ডারিই এসেছে নাজিবুল্লাহের ব্যাট থেকে। 

দলীয় স্কোর ৩০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান।

শতরান পেরিয়েছে আফগানিস্তান

৭৭ রানে ৫ উইকেট পতনের পর অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব (১৬)* ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের (১৫)* ব্যাটে শতরান পেরিয়েছে আফগানিস্তান। এই দুইজনই আফগানিস্তানের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। 

২৮ ওভার শেষে স্কোর ৫ উইকেটে ১০৭ রান।

নবীর বিদায়ে চাপে আফগানরা

রান আউট হয়ে পিরে গেলেন মোহাম্মদ নবী (৭)। রহমত শাহের বিদায়ের পর নবী ছিলেন দলের মূল ভরসা। কিন্তু অযথাই ফিল্ডারের হাতের কাছে বল রেখে রানের জন্য দৌড় দেন নবী। কিন্ত স্মিথ দ্রুততার সাথেই উইকেটরক্ষক ক্যারির কাছে বল থ্রো করে রান আউট করেন মোহাম্মদ নবীকে।

২১ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭৭ রান।

জাম্পার স্পিন বিষে ফিরলেন রহমত

দুর্দান্ত খেলতে থাকা রহমত শাহ (৪৩) জাম্পার বলে আউট হয়েছেন। ৬০ বল মোকাবেলা করে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জাম্পার স্পিন ধাঁধাঁয় শর্ট কাভারে স্মিথের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রহমত। 

দলীয় সংগ্রহ ২০ ওভারে ৪ উইকেট ৭৭ রান।

শহিদিকে ফেরালেন জাম্পা

শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তানের ইনিংস দেখেশুনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন শহিদি (১৮)। কিন্তু জাম্পার বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে গিয়ে দলকে কিছুটা চাপে ফেলে গেলেন শহিদি। রহমত শাহের (৩১)* সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন আফগানদের নির্ভরতার প্রতীক মোহাম্মদ নবী (১)।

আফগানদের সংগ্রহ ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৭ রান।

স্টার্ক-কামিন্সে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত সূচনা

প্রথম ওভারের ৩য় বলেই আফগান ওপেনার আহমেদ শাহজাদ (০) রানে স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। দ্বিতীয় ওভারে হযরতউল্লাহ জাজােইও (০) প্যাট কামিন্সের বলে উইকেটরক্ষ ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন। তারপর রহমত শাহ (২৬)* ও হাশমতউল্লাহ শহিদি (১৪)* এখন পর্যন্ত দেখেশুনেই খেলছেন।

দলীয় স্কোর ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৪৫ রান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ জানিয়েছেন, টস জিতলে তারও পছন্দ ছিলো প্রথমে ব্যাটিং করা। 

ডেভিড ওয়ার্নার ইনজুরি কাটিয়ে খেলবেন মূল একাদশে। বল টেম্পারিং কলেঙ্কারির ঘটনারি পর স্মিথ ও ওয়ার্নারের এটাই প্রথম আন্তর্র্জাতিক ম্যাচ।আফগান দলে খেলছেন অভিজ্ঞ পেসার হামিদ হাসান। আফগানদের মূল ভরসা তাদের স্পিন আক্রমন। রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান ও মোহাম্মদ নবী আজকের ম্যাচে আছেন। অন্যদিকে ফর্মে থাকা শন মার্শ, নাথান লায়ন, কেন রিচার্ডসন, এবং জেসন বেহারড্রনফ সুযোগ পাচ্ছেন না আজকের একাদশে।

পরিসংখ্যান:
অস্টেলিয়ার বিপক্ষে এখনও কোন ম্যাচ জিততে পারেনি আফগানরা। তবে আগের চেয়ে বর্তমান আফগান দল অনেক বেশি পরিণত ও শক্তিশালী।
ওয়ানডেতে:
ম্যাচ: ২
অস্ট্রেলিয়া: ২
আফগানিস্তান: ০

বিশ্বকাপে:
অস্ট্রেলিয়া: ১
আফগানিস্তান: ০

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্কোইনিস, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিন্স, ন্যাথান-কল্টার-নাইল, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা।

আফগানিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেটরক্ষক), হযরতউল্লাহ জাজাই, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শাহিদি, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব (অধিনায়ক), রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান, হামিদ হাসান, দৌলত জাদরান।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯

১৫ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ