নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গতি দিয়ে ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন পেসাররা। সেই ভিতে দাঁড়িয়ে উড়ন্ত শুরু করলেন গেইল, গড়লেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এমনই এক ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে গুড়িয়ে আইসিসি ২০১৯ বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল নটিংহ্যামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কটরেল, হোল্ডার, রাসেল, থমাসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ২১.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে গেইলের উড়ন্ত ফিফটিতে মাত্র ১৩.৪ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়রা।
এমন মাঠে দাপট দেখালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা যেখানে বেশিরভাগ সময় রাজত্ব করেন ব্যাটসম্যানরা। তবে কন্ডিশন থেকে সহায়তা পেলে যে ট্রেন্ট ব্রিজের ব্যাটিং স্বর্গেও ব্যাটসম্যানদের ভোগানো সম্ভব তা দেখালেন পেসাররা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের সামনে। শুরু থেকেই প্রকট হয়ে উঠে শর্ট বলে ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা। সেটা দারুণভাবে লাগিয়েছেন জেসন হোল্ডার, ওশানে থমাস, আন্দ্রে রাসেলরা। তৃতীয় ওভারে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। শেলডন কটরেলের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে কিপারের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরেন ইমাম-উল-হক। আন্দ্রে রাসেলের বাউন্সার ফখর জামানের হেলমেটের গ্রিলে লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে। ১২ রানে একবার জীবন পাওয়া বাবর আজম টানতে পারেননি পাকিস্তানকে। বেশিক্ষণ টিকেননি অধিনায়ক সরফরাজ। অনেকটা সময় ক্রিজে থাকা মোহাম্মদ হাফিজ ফিরেন ওশান টমাসের গতিময় বাউন্সারে।
একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া দলকে তিন অঙ্কে নিয়ে যান ওয়াহাব রিয়াজ। তাকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে ১০৫ রানে থামিয়ে দেন থমাস। বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এটাই দেশটির সর্বনিম্ন। গত বিশ্বকাপে ক্রাইস্টচার্চে করা ১৬০ ছিল তাদের আগের সর্বনিম্ন। বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন মাত্র ২১ ওভার ৪ বল টিকে পাকিস্তানের ইনিংস। প্রথমবারের মতো তাদের ৩০ ওভারের নিচে গুটিয়ে দেওয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান টমাসের। ২৭ রানে ৪ উইকেট নেন গতিময় এই পেসার। অধিনায়ক হোল্ডার ৩ উইকেট নেন ৪২ রানে।
ছোট রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পথ দেখান গেইল। ৩৪ বলে তিন ছক্কা ও ছয় চারে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনারকে ফেরান মোহাম্মদ আমির। তবে তার আগে হাসান আলীকে পর পর দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটি একান্তই নিজের করে নিয়েছেন এই মারকুটে ওপেনার। ৩৭টি করে ছক্কা মেরে এর আগে দক্ষিন আফ্রিকান সাবেক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে এতদিন ভাগাভাগি করেছেন গেইল। বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন নিকোলাস পুরান। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা সিলেট সিক্সার্সের হয়ে বিপিএল মাতানো এই ব্যাটসম্যানে অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩৪ রানে।
বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে দুইশ বল বাকি থাকতে হারে পাকিস্তান। বল বাকি থাকার দিক থেকে তাদের সবচেয়ে বড় হার ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরেছিল ১৭৯ বল বাকি থাকতে।
২৬ রানে ৩ উইকেট নেন আমির। খরুচে বোলিং করে উইকেটশূন্য থাকেন হাসান আলি ও ওয়াহাব রিয়াজ। দারুণ বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেওয়া থমাস জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ২১.৪ ওভারে ১০৫ (ইমাম ২, ফখর ২২, বাবর ২২, হারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ওয়াসিম ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩*; কটরেল ৪-০-১৮-১, হোল্ডার ৫-০-৪২-৩, রাসেল ৩-১-৪-২, ব্র্যাথওয়েট ৪-০-১৪-০, থমাস ৫.৪-০-২৭-৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৩.৪ ওভারে ১০৮ (গেইল ৫০, হোপ ১১, ব্রাভো ০, পুরান ৩৪*, হেটমায়ার ৭*; আমির ৬-০-২৬-৩, হাসান ৪-০-৩৯-০, ওয়াহাব ৩.৪-১-৪০-০)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ওশানে থমাস (উইন্ডিজ)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।