Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদের সবচেয়ে বড় বিনোদন ইত্যাদি

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

প্রতিবারের মত এবারেও ছোট পর্দার বড় আকর্ষন থাকবে হানিফ সংকেতের ইত্যাদিইত্যাদি এখন ঈদের অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। সব অনুষ্ঠান ছাপিয়ে একটি মাত্র অনুষ্ঠান ইত্যাদির প্রতি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে দর্শকের। কোন নির্দিষ্ট বয়স বা শ্রেণীর জন্য নয়, সব বয়সী, সব শ্রেণী পেশার মানুষের জন্যই ইত্যাদি। তাই ইত্যাদিকে বলা হয় গণমানুষের অনুষ্ঠান। গত ৩০ বছর ধরে এত চ্যানেলের হাজারো অনুষ্ঠানের ভীড়ে এখনও দর্শক জরিপে শীর্ষে অবস্থান করে দর্শকপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি বিষয় বৈচিত্র্য, ধারণস্থান, মানবিক প্রতিবেদন, শিক্ষা-তথ্য-বিনোদন সর্বোপরি দর্শকপ্রিয়তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই নুতন নুতন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। বর্ষাকালে উন্মুক্ত স্থানে করা সম্ভব নয় বলে এবারও ঈদের ইত্যাদি ধারণ করা হয়েছে মিরপুর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে। ইনডোর স্টেডিয়ামের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ স্থান জুড়ে নির্মাণ করা এঅবারের পর্বের নান্দনিক সেট। বরাবরের মত এবারও ইত্যাদি শুরু করা হয়েছে,‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ’ এই গানটি দিয়ে। একসময় ঈদ অনুষ্ঠানমালায় এই গানটি ছিল একরকম অবহেলিত। ইত্যাদি গত তিন দশক ধরেই হাজার হাজার মানুষ নিয়ে ঢাকায় ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আঙ্গিকে এই গানটি পরিবেশন করে আসছে। যে কারণে এখন ঈদের সময় সব চ্যানেলেই এই গানটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়। নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় এবারে নৃত্যে-ছন্দে-আনন্দে চিরচেনা এই গানটি পরিবেশন করবেন সুখ্যাত নৃত্য জুটি শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপা। তাদের সঙ্গে রয়েছে নৃত্যাঞ্চলের শতাধিক নৃত্য শিল্পী। এবারের ঈদ ইত্যাদিতে একটি দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন নন্দিত শিল্পী এ্যান্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎ ও শফি মন্ডল। গানটি লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যান। গানটির চিত্রায়নে শিল্পীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর শতাধিক শিক্ষার্থী। রয়েছে ছন্দে-সুরে একটি ব্যতিক্রমী আড্ডা। এ ধরণের ব্যতিক্রমী বিষয় ইত্যাদি ছাড়া কোন অনুষ্ঠানে দেখা যায় না। এবারের আড্ডায় দর্শকরা দেখবেন তারকাদের মুখে মুখে ছড়া আর ছন্দ-কত খানি তুলে আনে সময়ের দ্ব›দ্ব। আর এই ব্যতিক্রমী আড্ডায় অংশগ্রহণ করেছেন অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, চঞ্চল চৌধুরী, মম ও ঈশিতা। এর সঙ্গীতায়োজন করেছেন নাভিদ পারভেজ। ঈদ ইত্যাদির নানান চমকের একটি হচ্ছে দর্শক প্রিয় ৪ জন অভিনয় তারকাকে নিয়ে একটি বিষয় ভিত্তিক গান ও নৃত্য। আর নৃত্যগীতে এই পর্বটিকে প্রাণবন্ত করেছেন চিত্রতারকা ফেরদৌস, পূর্ণিমা ও এই প্রজন্মের সিয়াম এবং পূজা। গানটিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মেহেদী। নৃত্য পরিচালনায় মামুন।ঈদের জন্য ইত্যাদির ভিন্নরকম উদ্ভাবন মিউজিক্যাল ড্রামা। গত এক দশক ধরেই ঈদ ইত্যাদিতে তারকা শিল্পীদের অংশগ্রহণে নির্মিত হয় এই মিউজিক্যাল ড্রামা। আর প্রতি ঈদেই এই পর্বে যুক্ত হয় নিত্য-নুতন সব বিষয়। এবারের মিউজিক্যাল ড্রামার বিষয়বস্তু কী দেখার জন্য ঈদ ইত্যাদি প্রচার পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। আর এতে অভিনয় করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনয় তারকা-ঈমন, নিরব, সাঈদ বাবু, নিপূণ, সারিকা এবং এই প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনা। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ফরিদ আহমেদ ও নাভিদ পারভেজ। ব্যতিক্রমী উপস্থাপনায় আরব্য উপন্যাসের একটি গল্পের আদলে তৈরী করা হয়েছে এবারের দলীয় সঙ্গীত। এবার এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় তারকা মীর সাব্বির, আনিসুর রহমান মিলন ও নাদিয়া। তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন ইত্যাদির নিয়মিত নৃত্যশিল্পীরা। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মেহেদী। শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অনুষ্ঠান ধারণই নয়-প্রায় দুই যুগ ধরে ইত্যাদিতে বিদেশি নাগরিকদের দিয়েও আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, বিভিন্ন গ্রামীণ খেলাধুলা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এর ফলে বিদেশিদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের সংস্কৃতি। এবারের বিদেশি পর্বে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রায় অর্ধ শতাধিক বিদেশি নাগরিক অংশগ্রহণ করেছেন। নাচ-গান ও গ্রামীণ জীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তুখোড় অভিনয় সমৃদ্ধ এবারের পর্বের বিষয় কী? ঈদের পরদিন ইত্যাদির প্রচারের সময়ই জানতে পারবেন। প্রতিবারই ইত্যাদির দর্শক নির্বাচন প্রক্রিয়া থাকে ভিন্ন রকম। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রতিটি দর্শকের হাতে সময়কে ঘিরে একটি করে ব্যতিক্রমী উপকরণ দিয়ে সেখান থেকে বাছাই করা হয়েছে দর্শক পর্বের জন্য ৪ জন দর্শক। উল্লেখ্য অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের জন্য লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এই উপকরণগুলি তৈরী করা হয়েছে। আর এই পর্বেই দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন অভিনেতা অপূর্ব ও মিথিলা। অভিনেতা-অভিনেত্রী না হয়েও নির্বাচিত দর্শকরা তাৎক্ষণিকভাবে অপূর্ব ও মিথিলার সঙ্গে চমৎকার অভিনয় করেছে। ভাগ্নের গোমর ফাঁস করে দিয়েছেন মামা কিন্তু কিভাবে? আর নাতি এবার নানীর উপর বেশ উত্তেজিত কিন্তু কি কারণে? এসবই জানা যাবে ইত্যাদি প্রচার হলে। এছাড়া ঈদকে ঘিরে ডজনখানেক বিদ্রুপাত্মক রসালো নাট্যাংশ রয়েছে এবারের পর্বে। লাইফ না লাইভ? ভান করার ফান, ডিজিটাল ভিক্ষুক, ফাইল পেতে মাইকিং, অ্যাপসে আপস, টি শার্টে আর্ট, অদৃশ্য হয়ে যাবার দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরো কয়েকটি নাট্যাংশ রয়েছে। ইত্যাদির শিল্প নিদের্শনা করেছেন যথারীতি মুকিমূল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন রানা সরকার ও মামুন মোহাম্মদ। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, স্পন্সর করেছে কেয়া কস্মেটিকস্ লিমিটেড। ইত্যাদি একযোগে প্রচার হবে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে-এ ঈদের পর দিন রাত ১০:২০ মিনিটে।



 

Show all comments
  • MD Islam ১ জুন, ২০১৯, ২:২৬ এএম says : 0
    আমি নিয়মিত ইত্যাদির দর্শক, এই পর্বও দেখবো ইনশায়াল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • মাজহার মাহবুব ১ জুন, ২০১৯, ২:২৭ এএম says : 0
    আমার মতে বাংলাদেশের সেরা সুষ্ঠু ধারার বিনোদন ইত্যাদি। ইত্যাদির জন্য শুভ কামনা রইলো।
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুল ইসলাম ১ জুন, ২০১৯, ২:২৮ এএম says : 0
    ইত্যাদি মানেই হানিফ সংকেত। আমার খুব প্রিয় একজন উপস্থাপক।
    Total Reply(0) Reply
  • সোয়েব আহমেদ ১ জুন, ২০১৯, ২:২৮ এএম says : 0
    ইত্যাদিতে সবসময় নতুন নতুন কিছু থাকে এবং সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়। যে দিক থেকে ইত্যাদির কোনো জুড়ি নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • MD.Nurul Islam babu ১ জুন, ২০১৯, ৪:৪৮ এএম says : 0
    I like this program from my childhood.
    Total Reply(0) Reply
  • MD.Nurul Islam babu ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৪ পিএম says : 0
    I like this program from my childhood.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ