নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
* অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ একমাত্র ক্লাব, যারা তিন বার ফাইনালে উঠেও একবারও শিরোপা জেতেনি।
* এ নিয়ে আটবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে, সাতবারই ফল নির্ধারণ হয়েছে টাইব্রেকারে।
* মিগুয়েল মুনোজের পর জিনেদিন জিদান একমাত্র ব্যক্তি যিনি রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতলেন। তবে ফরাসি কোনো কোচ হিসেবে তিনিই প্রথম।
* পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে আসরের ভিন্ন দুটি ফাইনালে গোল করলেন সার্জিও রামোস। বাকি চার জন হলেনÑরাউল, স্যামুয়েল ইতো, লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে ডিফেন্ডার হিসেবে রামোসই প্রথম।
* অরিয়েন রোবেনের পর (২০১২) একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আসরের ফাইনালে পেনাল্টি মিস করলেন অতোয়ান গ্রিজম্যান (পেনাল্টি শুটআউট বাদে)।
* কোচ হিসেবে ডিয়েগো সিমিওনের (২ বার) চেয়ে বেশিবার ফাইনালে হেরেছেন মার্সেলো লিপ্পি (৩ বার)।
* প্রথম বেলজিয়ান হিসেবে ফাইনালে গোল করলেন ক্যারাসকো।
স্পোর্টস ডেস্ক : আবারো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে কাঁদিয়ে ইউরোপ সেরার খেতাব দখলে নিলো রিয়াল মাদ্রিদ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় পেনাল্টিভাগ্যে নগর প্রতিদ্ব›দ্বীকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে একাদশতম বারের মতো ইউরো সেরার খেতাব জিতল বার্নাব্যুর দলটি।
পেনাল্টি শুটআউটে স্কোর বোর্ড যখন ৩-৩, তখন রিয়ালের হয়ে একে একে গোল করেন লুকাস, মার্সেলো ও গ্যারেথ বেল এবং অ্যাটলেটিকোর হয়ে গ্রিজম্যান, গাবি ও সাউল নিগুয়েজ। রিয়াল অধিনায়ক রামোস এসেও ভুল করলেন না (৪-৩)। কিন্তু অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেয় হুয়ানফ্রানের শট। বলটি ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। অথচ পুরো ম্যাচে কি দুর্দান্তই না খেলেছিলেন হুয়ানফ্রা। এই সময়ের জন্যেই যেন অপেক্ষা করছিল রিয়াল। গোল করলেই যখন স্বপ্নপূরণের হিসাব চ‚ড়ান্ত, তখনই এগিয়ে আসেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ঠাÐা মাথায় বল জড়িয়ে দিলেন জালে। মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে তখনই শুরু লস বøাঙ্কোসদের বাধ ভাঙা উল্লাসে। শিরোপার গায়ে তখন খচিত হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের নাম।
ডিয়েগো সিমিওনের ভাগ্যটা খারাপ বলতেই হয়। দু’দলের মধ্যকার শেষ দশ বারের সাক্ষাতে মাত্র একটি পরাজয়ের রেকর্ড নিয়ে মাঠে নেমেও কিনারা পেল না তার দল। ফলে তিন বছরে দুই-দুইবার ফাইনালে উঠেও হারতে হল। দু’বারই নগর প্রতিদ্ব›দ্বী রিয়ালের কাছে! আরো নির্দিষ্ট করে বললে দু’বারই তাঁর দলের স্বপ্নভঙ্গের কারণ হলেন একজন সার্জিও রামোস। দুই বছর আগের সেই ফাইনালে ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহুর্তে রামোসের হেডেই স্বপ্ন চুরমার হয়েছিল তাদের। এবারো ম্যাচের ১৫ মিনিটে সেই রামোসের গোলেই এগিয়ে যায় রিয়াল। আসলে অ্যাটলেটিকোর ভাগ্য পুড়ে অঙ্গার হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, যখন অতোয়ান গ্রিজম্যান পেনাল্টি মিস করলেন? সেসময় ম্যাচে সমতা আনতে পারলেই তো ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত। সেক্ষেত্রে ক্যারাসকোর ৭৯তম মিনিটের গোলটা হতে পারত তাদের জন্য ইতিহাস রচনার উপলক্ষ।
পুরো ম্যাচে বলের দখলেই শুধু এগিয়ে ছিলো অ্যাটলেটিকো। তাছাড়া গোলমুখী শট, লক্ষ্যে বরাবর শট, কর্নার, এমকি ফাউল করাতেও এগিয়ে ছিল রিয়াল। প্রথমার্ধের ঝিমুনি ঝেড়ে ফেলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই খেলার ধরন পাল্টে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে অ্যাটলেটিকো। ৪৭তম মিনিটে ফার্নান্ডো তোরেসকে পেপে ফাউল করলে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়ে যায় তারা। কিন্তু সুযোগটা নষ্ট করেন গ্রিজম্যান। এর পরেও অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে সুযোগ পেয়েছিলেন তারা। সুযোগ ছিল রোনালদো, বেল, বেনজামাদের সামনেও। কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য যে লেখা ছিল পেনাল্টি শুটআউটে।
মধ্যবিত্ত একটা দল নিয়েও দুইবার দলকে ফাইনালে ওঠানোও কি সফলতা নয় সিমিওনের জন্যে? অর্থে তো বটেই এমনকি যখনই কোনো খেলোয়াড়কে পরিণতভাবে গড়ে তোলেন তখনই সেই খেলোয়াড়ের ওপর চোখ পড়ে প্রভাবশালী দলের। আগত্য হারাতে হয় তাকে। এরপরও দলের সফলতায় চিড় থরেনি তাতে। আর্জেন্টাইন কোচ অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা, ‘যে দ্বিতীয় হয়ে শেষ করে, তাকে কেউ মনে রাখে না। দুটো ফাইনালে হারা একটা ব্যর্থতা। আমাদের এখন ঘরে ফিরে ক্ষতে প্রলেপ দিতে হবে।’ সমর্থকদের কষ্টটাও বুঝতে পারছেন তিনি। মাত্র তিন সপ্তার আগেও যে দলের সামনে ছিল ডাবল জয়ের হাতছানি তাদেরকেই মৌসুম শেষ করতে হল শূন্য হাতে। ‘জানি না, কোন হারটা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। যে লোকগুলো টাকা খরচ করে এখানে এসেছে তাদের কষ্ট দেখাটা আমাকে আসলেই পীড়া দিচ্ছে। তারা (সমর্থকরা) যেটা চেয়েছিল, সেটা দিতে না পারায় নিজেকে একটু অপরাধী মনে হচ্ছে। এটা সত্যিই ভীষণ পীড়াদায়ক।’ তবে হারের শোকে শিরোপা জয়ীদের অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি সিমেওনে, ‘প্রথমত রিয়ালকে অভিনন্দন-আরও একবার তারা আমাদের ওপরে থাকল; এবার অবশ্য পেনাল্টিতে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।