Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জমে উঠছে চন্দনাইশের ঈদ মার্কেট

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে এম. এ. মোহসিন | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৯, ১২:১৮ এএম

পবিত্র রমজান মাস শেষ হয়ে আসছে, আর ঘনিয়ে আসছে ঈদ উৎসব। মুসলমানদের এই বৃহৎ ধর্মীয় আয়োজনে ধনী-দরিদ্র সবাই উৎসব মুখর। টানা একমাস পবিত্র রমজানের রোজা শেষে ঈদের উৎসরে আনন্দ পাওয়ার জন্য প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের নতুন পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এই ঈদের পোশাক পরিচ্ছেদ কেনার জন্য দিনের বেলায় রোজা রেখে আবার অনেকে রাতের বেলায় বিভিন্ন মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে বেড়িয়ে পড়েন। রোজা যতই কমছে ততই ঈদ ঘনিয়ে আসছে। ফলে দিনে-রাতে উপজেলার মার্কেটগুলো কেনাকাটায় ভিড় বাড়ছে। কেনাকাটায় জমজমাট হয়ে ওঠছে উপজেলার সব কয়টি মার্কেট।

উপজেলার মার্কেটগুলোর মধ্যে দোহাজারী হাজারী মার্কেট, খানপ্লাজা, গাছবাড়িয়া খাঁনহাট, গণি সুপার মর্কেট, ছিদ্দিক বাছুরা মার্কেট, হাজী এ্যানু মিয়া মর্কেট, রিভাইন প্লাজা, বৈলতলী ইউনুচ মার্কেট, বরমা ধামাইরহাট মার্কেট বেশ জমজমাট।

উপজেলার প্রসিদ্ধ মার্কেট খানপ্লাজার ক্রেতা সৈয়দ মো. আকতার হোসেন জানান, অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও দোহাজারীর মার্কেটগুলো ঈদের আগ মুহূর্তে জমে ওঠেছে। তবে পোশাকের মূল্য বেশিও নয় আবার তত কমও নয়।

অন্য এক ক্রেতা আব্দুল মালেক সওদাগরের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এ বছরের প্রচণ্ড গরমেও মার্কেটে কেনাকাটা চলছে উৎসব মুখর। এসব মার্কেটে বিশেষ করে মহিলাদের শাড়ি ও থ্রিপিচ এবং কসমেটিক বা প্রসাধনী দোকানে মহিলা ক্রেতার ভিড় বাড়ছে।

আলিফ ফ্যাশনের মালিক শাহাদাৎ হোসেন শাহেদ বলেন, উপজেলার সর্বত্র নতুন নতুন মার্কেট হয়েছে। প্রতিটি মার্কেটে ঈদকে সামনে রেখে রমরমা ও জটজমাট। ক্রেতাদের কেনাকাটার ভিড় জমতে শুরু হয়েছে। অপর দিকে পুরুষদের পাঞ্জাবী ও লুঙ্গি এবং শিশু কিশোর ও যুবকদের রকমারি শার্ট পেন্টের কেনা কেটার ধূম চলছে।

ঈদের দিন যত ঘরিয়ে আসছে ততই আবার নতুন জুতা সেন্ডেলের দোকানেও কেনাকেটার ভিড় দেখা যাচ্ছে। গাছবাড়িয়া সরকারি হাই স্কুলের শিক্ষক মো. শাহীন আলম বলেন, প্রবাসী সরকারি চাকরিজীবী ও বিভিন্ন বেসরকারি কর্মচারীগণ ও অনেকে রোজার প্রথম থেকে কেনাকেটা করলেও বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকরা থাকিয়ে আছেন মে মাসের সরকারি অংশের বেতন ভাতা ঈদের আগে পাচ্ছেন কিনা ? এই সব শিক্ষকদের পরিবারে হয় তো অনেকে বেতন বোনাস পেয়ে পরিবার পরিজনের জন্য ঈদের নতুন নতুন কাপড় ও পণ্য সামগ্রী ক্রয় করবেন।

বিশিষ্ট সমাজ সেবক সেলিম চৌধুরী জানান, গরীব অসহায় এতিম ও দুস্থ পরিবারে সদস্যগণ থাকিয়ে আছেন রমজানের ঈদে ধনীরা শহর থেকে গ্রামে কবে এসে তাদের যাকাতের টাকা পাচ্ছে তা নিয়ে পরিবার পরিজনের ঈদের পোশাক কেনাকেটা করবেন। আবার একেবারে নিত্যান্ত গরীব পরিবারে অনেকে ঈদের দিন সকালে ফিতরার টাকা নিয়ে ও ঈদের নামাজের আগেবাগে তাদের ছেলে সন্তানের জন্য নতুন পোশাক কেনার মার্কেটে দৌড়-ঝাপ শুরু হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ