Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদ মার্কেট ধরতে ঝুট কাপড়ের সামগ্রী তৈরিতে শ্রমিকদের ব্যস্ত সময় পার

প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় ঝুট কাপড়ের তৈরিতে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গার্মেন্টস পণ্যের মজুত গড়ে তুলতে ঝুট কাপড়ের তৈরি এসব পণ্য সামগ্রী দেশের বাজার ছাড়িয়ে বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতো। কিšুÍ গত এক বছর ধরে রফতানি করে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মালিকেরা এবারের ঈদে দেশিও বাজারের জন্য গড়েছেন বড় ধরনের মজুত। ফেলে দেয়া গার্মেন্টস শিল্পের ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি গার্মেন্টস সামগ্রীর নীলফামারী  জেলার সৈয়দপুরে রয়েছে কয়েকশ ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শিল্প কারখানা। এসব গার্মেন্টস পণ্য বিদেশে রফতানি করে আয় হত প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। এসব ক্ষদ্র শিল্প কারখানায় কাজ করে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক। অসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পরিবার-পরিজনদের সাথে ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করার জন্য এসব শ্রমিকরা এখন দিনরাত কাজ করছেন। অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায়। অপর দিকে গার্মেন্টস মালিকরা, ঈদে ভালো ব্যবসা আশায় প্রচুর স্টক গড়ে তুলেছেন। এখনো আশানুরূপ বেচাকেনা শুরু না হলেও  তারা আশা করছেন ১৫ রমজানের পর থেকে ভালো বেচাকেনা শুরু হবে। সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শিল্প মালিক গ্রুপের  ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এক সময় আমরা ঝুট কাপড়ের গার্মেন্টস সামগ্রী ভারত ও নেপালে পাঠিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছি। কিন্তু গত এক বছর ধরে  রফতানি করে আমরা  লোকশানের সম্মুখীন হয়েছি। সামনে ঈদুল ফিতর। এই লোকসান পুশিয়ে নিতে আমরা দেশিও বাজারের জন্য প্রচুর পরিমাণে পণ্যের মজুদ গড়ে তুলেছি। এখনো  বেচা বিক্রি শুরু হয়নি। আশা করছি ১৫ রমজানের পর থেকে বেচা কেনা শুরু হয়ে যাবে। সৈয়দপুর শহরে দুইটি গার্মেন্টস সমিতির অধিনে প্রায় তিনশ ঝুট গার্মেন্টস কারখানায় প্রায় দশ হাজার শ্রমিক কাজ করে বলে তিনি জানান। ঝুট কাপড় দিয়ে পোশাক তৈরি করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার। দেশের বাজার দখল করে এসব পোশাক এখন যাচ্ছে ভারত, নেপাল ও ভুটানে। সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া, পুরাতন বাবুপাড়া, গোলাহাট, ঘোড়াঘাট, বাঁশবাড়ি, নিয়ামতপুর, কয়ানিজপাড়া, নয়াটোলাসহ বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা। মুলত : পাকিস্তান আমল থেকেই সৈয়দপুরে ঝুট কাপড় দিয়ে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করে আসছে। কিন্তু ২০০২ সাল থেকে এর পরিধি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়। গড়ে ওঠে রফতানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিকরা জানান, তারা ঢাকার মিরপুর, কালিগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের বড় বড় পোশাক কারখানাগুলো থেকে ঝুট কাপড় সংগ্রহ করে এনে এসব পোশাক তৈরি করা হয়। এরপর সুই-সুতার মাধ্যমে দর্জি কারিগররা তা নিখুঁতভাবে তৈরি করে থাকেন। এরপর দেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। তারা জানান, এ শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন ২০১১-১২ অর্থবছরে স্থানীয় এনসিসি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ শতাংশ সুদে ব্যবসায়ীদের মাঝে দেড় কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। কারিগরদের দক্ষতা বাড়াতে দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। সৈয়দপুরের বাণিজ্যিক শহরে প্রায় ২২টি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এসব ব্যাংক সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করলে ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিকরা উপকৃত হবে এবং এর সম্প্রসারণ আরও ঘটবে বলে আশা করেন সচেতনমহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ মার্কেট ধরতে ঝুট কাপড়ের সামগ্রী তৈরিতে শ্রমিকদের ব্যস্ত সময় পার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ