নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : গোল হতে না দেওয়া যার প্রধান কাজ সেই রামোস এবারো ফাইনালে গোল করে হলেন ম্যাচ সেরা। আসর সেরার দৌড়ে তো ১৬ গোল করা রোনালদোর আসেপাশেও কেই নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ গোল বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্দোভস্কির। তাহলে রিয়ালের শিরোপা জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান কি রামেসের নাকি রোনালদোর? কিন্তু রামোস তো সেই আর এই ফাইনালেই শুধু গোল করলেন। তালে রোনালদো? সেটা কিভাবে সম্ভব? তার ১৬ গোলের ৬টি মালমো, ৫টি শাখতার দোনেৎস্ক, ৩টি ভল্ফসবুর্গ ও ২টি রোমার বিপক্ষে। পিএসজি, ম্যানচেস্টার সিটি ও অ্যাটলেটিকোর মত ইউরোপের লিগসেরা কোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্বে কথা বলেনি তার পা। তাহলে কে সেই নায়ক?
তিনি হলেন জিদান, জিনেদিন ইয়াজিদ জিদান। ৬ মাস আগেও যে দল ছিল উত্তল তরঙ্গে কান্ডারিহীন নৌকার মত, সেই দলকে পরশেই পাল্টে দিলেন ফরাসি তারকা। কোচিং পেশার শুরুতেই দেখালেন তার জাদু। বার্সেলোনর হয়ে পেপ গার্দিওলার শুরুটাও ছিল এমনই। এজন্য অবশ্য পুরো এক মৌসুম লেগেছিল গার্দিওলার। কিন্তু কোচিং ক্যারিয়ারের মাত্র ৫ মাসেরও কম সময়ে এমন সাফল্য পাবেন তা কি তিনি নিজেও ভেবেছিলেন? খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়র মাত্র সপ্তম উদাহরণ হলেন জিজু। কিন্তু খেলোয়াড় জিদানের নামের পাশে যে রয়েছে বিশ্বকাপ শিরোপারও উজ্জ্বল্য! তাঁকে তাই মহানায়ক বললেও কি ভুল হবে?
এ দিয়ে দলের শেষ তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাতেও জড়িয়ে থাকল তাঁর নাম। ২০০২ সালে লেভারকুসেনের বিপক্ষে জয়ের নায়ক এক যুগ পর ‘লা ডেসিমা’ জয়েও ছিলেন কার্লো আনচেলত্তির সহকারী। আনচেলত্তির সংক্ষিপ্ত সময়ের পর রাফায়েল বেনিতেজের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে এবার জিতলেন প্রধান কোচের ভ‚মিকায়। এমন স্বপ্ন কি তিনি কখোনো দেখতেন তিনি? ‘হ্যাঁ, এটা আমার একটা স্বপ্ন ছিল। সভাপতি যখন আমাকে কোচ হওয়ার সুযোগ দিলেন তখনই আমি জানতাম, আমরা বড় কিছু অর্জন করতে পারি।’ বলেন জিজু। এরপরের গল্পটা শুধুই সুখের। জিদান মন্ত্রে জেগে ওঠা রিয়াল সেই থেকে ২৭ ম্যাচ খেলে ২২টিতেই জয় পায়, হারে মাত্র দুই ম্যাচ। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়েও ফিরেছিল তারা। সবশেষ ১২ ম্যাচ জিতে শিরোপা লড়াই শেষ রাউন্ড পর্যন্ত নিয়ে যায় জিদানের দল। রিয়ালকে শেষ পর্যন্ত লা লিগার শিরোপা জেতাতে না পারলেও মৌসুমের সবচেয়ে বড় ট্রফিটা এনে দিয়ে নিজের নামটি ইতিহাসে লিখিয়ে নিয়েছেন জিদান।
কোচ হিসেবে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই জেতা প্রথম ফরাসি কোচ তিনি। আর তার আগে কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপ সেরার মুকুট জিতেছে মাত্র ছয় জন। ‘এটা অনেক বড়! আনচেলত্তি আমাকে বলেছিলেন, তিনি আশা করেন, আমি প্রধান কোচ হিসেবে শিরোপা জিততে পারব। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমার যদি কোচ হিসেবে জেতার সুযোগ হয়, তুমি দেখবে খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনাল জেতার মতো অনুভূতি এর তুলনায় কিছুই না’। তিনি ঠিকই বলেছিলেনÑএটা প্রচুর আনন্দের।’
উৎসবের নাম বার্নাব্যু
গতকাল এগারোতম শিরোপা নিয়ে শহরময় ঘুরে বেড়াবে রিয়াল মাদ্রিদের নায়কেরা। আনন্দভ্রমণের শুরুটা হবে মাদ্রিদ ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে। এরপর মাদ্রিদের প্রধান টাউন হল, মাদ্রিদের হেডঅফিস হয়ে ভ্রমণ শেষ হবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে। এর আগে বার্নাব্যুতে পার্টিতে অংশ নেবে দলের কুশলিরা। এবারের শিরোপা আইএস হামলায় নিহতদের উৎসর্গ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রতিক্রিয়া :
‘পেনাল্টি সব সময়ই লটারির মতো। আপনি কখনোই জানেন না কি হবে। তবে আমাদের দল বেশি অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে এবং আমরা সব পেনাল্টিতে গোল করে তা দেখিয়েছি। আমাদের জন্য এটা চমৎকার এক রাত।’Ñক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
‘আতলেতিকো ম্যাচটাকে দুর্দান্ত করেছে এবং আমরা তাদের জন্য কিছুটা দুঃখ অনুভব করছি। কিন্তু আপনাকে ফাইনালে তো জিততেই হবে।’Ñক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
‘আমি ভাবনায় তখন ছিল আমার বন্ধু, পরিবার, আমার গার্লফ্রেন্ড... যারা গ্যালারিতে বসে ভালো কি মন্দ সব সময় দিনের পর দিন আমার পাশে ছিল। এখন আমরা উদযাপন করব।’ Ñলুকাস ভেজকুয়েজ, স্ট্রাইকার, রিয়াল মাদ্রিদ।
‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতা ছিল আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ এটাকে বাস্তবে রূপ দেয়ায়।’ Ñকেইলর নাভাস, গোলরক্ষক, রিয়াল মাদ্রিদ।
‘সবচেয়ে ভালো বিষয়টা হল আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সামর্থ আছে। রিয়ালের অংশ হতে পেরে আমি খুশি।’ Ñহামেস রদ্রিগুয়েজ, মিডফিল্ডার, রিয়াল মাদ্রিদ।
‘এই জয়কে আমরা আমাদের সমর্থকদের সাথে উদযাপন করতে চাই।’ Ñড্যানিলো, ডিফেন্ডার রিয়াল মাদ্রিদ।
‘এমন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হয়ে শিরোপা জেতাটা সম্মানের।’ Ñজিনেদিন জিদান, কোচ, রিয়াল মাদ্রিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।