Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হালদা দূষণরোধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

বর্জ্য ফেলে সংলগ্ন খাল ও হালদা নদী দূষণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাউজানের ছাত্তারঘাট এলাকায় ‘হালদা নদীর উভয় তীর সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শন এবং স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ এ নির্দেশ দেন সচিব। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এশিয়ান পেপার মিল হালদা দূষণ করছে। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রোকন উদ দৌলা উপস্থিত ছিলেন।

পরে রোকন উদ-দৌলা সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এশিয়ান পেপার মিলে ইটিপি নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইনকে অনুরোধ করা হয়েছে মামলা করতে। বিষয়টি সমন্বয় করতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সচিব মহোদয়।

২৫ মে রাতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে মা মাছ। সে রাত থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেন ডিম আহরণকারিরা। ২৬ মে সকালের পরিস্থিতি জানিয়ে হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, তাদের ইটিপি কার্যকর নয়। তারা ভারি বর্ষণের অপেক্ষায় থাকে। বৃষ্টি হলেই বর্জ্য সংলগ্ন খালে ফেলে দেয়। পানি সম্পদ সচিব পরিবেশ আইনে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ার রাতেই এশিয়ান পেপার মিল থেকে বর্জ্য ফেলা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা মাদারি খাল ও কাটাখালি খাল হয়ে হালদা পৌঁছে যায়। গত কয় বছরে মাদারি খালের মাছ কয়েকবার মরে ভেসে উঠেছে। ১০-১২ বছর ধরে এ অবস্থা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হালদা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ