গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সরকারিভাবে সাশ্রয়ী দামে নিত্য প্রয়োজনীয় ৬ পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সারাদেশে ১৭৪পি ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজধানীতে ২৫টি স্পটে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এসব ট্রাকে সব ধরনের পণ্য নেই চাহিদা মোতাবেক। ফলে লম্বা লাইনে দ্াড়িয়ে কাঙ্খিত পণ্য না পেয়ে অনেককেই ফেরত যেতে হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্রির কথা থাকলেও দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়েছে টিসিবি পণ্য।
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি এবং রমজানে বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় টিসিবি খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করছে।
জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ২৫টি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। চলবে আগামী ঈদুল ফেতরের আগের দিন পর্যন্ত।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে সারাদেশে ১৭৪টি স্থানে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ২৫টি ট্রাক এবং চট্টগ্রাম শহরে ১০টি ট্রাক থাকবে। অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে ৫টি করে ট্রাক থাকবে। বাকি জেলাগুলোতে ২টি করে ট্রাক থাকবে।
ঢাকার মধ্যে প্রেস ক্লাব, সচিবালয় গেট, ফকিরাপুল বাজার, শান্তিনগর বাজার, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, শাহজাহানপুর বাজার, বাসাবো বাজার, যাত্রাবাড়ি মোড়, কাপ্তান বাজার, মিরপুর ১২ নম্বর, ছাপড়া মসজিদ ও পলাশী বাজার, ঝিগাতলা বাজার, খামারবাড়ী ও ফার্মগেট, মহাখালী বাজার, রামপুরা বাজার, বনশ্রী বাজার, আগারগাঁও বাজার, শেওড়াপাড়া বাজার, মিরপুর-১০ গোল চত্বর, কচুক্ষেত বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, উত্তরার আব্দুল্লাহপুর বাজার ও মিরপুর কালশী মোড় বাজারে বিক্রি হবে টিসিবির এই পাঁচ পণ্য।
খোলা বাজারের ট্রাকে লাল ব্যানারে লেখা হয়েছে টিসিবি’র পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় করা হয়। চিনি (দেশি) প্রতি কেজি ৪৮ টাকা, মসুর ডাল (কানাডা) প্রতি কেজি ৮৯.৯৫ টাকা, সয়াবিন বোতল (৫ লিটার) প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৭০ টাকা ও খেজুর প্রতি কেজি ৯০ টাকা।
এছাড়া ওজন দেখে নেওয়ার জন্য ওই ব্যানারে আরও লেখা হয়েছে, ওজন দেখে নিবেন। পরবর্তীতে কোন অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না।
ট্রাকের বিক্রেতারা জানান, আজ ট্রাকে বিক্রির জন্য ২০০ কেজি মসুর ডাল, ৮০০ কেজি ছোলা, ৫০ কেজি খেজুর, ৪০০ কেজি চিনি ও ৩০০ লিটার সয়াবিন তেল এনেছিলাম। এসব পণ্যের গুণগত মান ভাল। গুণমান নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় অনেকে ফিরে গেছেন। এজন্য পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো উচিত। মালামাল না থাকলেও আমরা ৫টা পর্যন্ত এখানে থাকবো।
তিনি বলেন, ২৫টি ট্রাকে টিসিবি’র পণ্য নিয়ে বিক্রির জন্য বের হওযার কথা শুনেছিলাম। তবে কয়টা বের হয়েছে জানি না। হয়তো দু/একটি কম হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।