Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান উ. কোরিয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘের সা¤প্রতিক প্রতিবেদনকে একতরফা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, অতীতের মতোই মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সাজানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার জনগণের জীবন যদি কঠিন হয়ে উঠে থাকে তাহলে তা ২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। খবরে বলা হয়, দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকেরা বঞ্চনা, দুর্নীতি ও নিপীড়ন চক্রের ফাঁদে পড়ছেন বলে জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রতিবেদনে কিম জং উন-এর সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করা তোলা হয়েছে।

এই অব্যবস্থাপনার কারণে সেখানকার মানুষ মৌলিক প্রয়োজন মেটাতেও হাসফাঁস করছে। তবে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন ক্ষুব্ধ হয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। জেনেভায় উত্তর কোরিয়ার মিশন থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলা হয়েছে, এই ধরনের প্রতিবেদন মিথ্যা উদ্ভাবন থেকে বেশি কিছু নয়...সবসময়ই তারা তথাকথিত দেশত্যাগীদের বর্ণনার ভিত্তিতে এসব প্রতিবেদন তৈরি করে। এসব দেশত্যাগীরা জীবিকা উপার্জনের জন্য বা প্রলোভনে পড়ে বা কারাগার থেকে মুক্তি পেতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে’। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশত্যাগ করা ২১৪ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি ‘অধিকারের মূল্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। বাবার মৃত্যুর পর ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা নির্বাচিত হন কিম জং রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ