মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর এলাকায় আইএসের আত্মঘাতী বোমায় বেশ কয়েকজন সরকারি সেনা হতাহত। জবাবে দক্ষিণ ফালুজায় ইরাকি বাহিনীর হেলিকপ্টার হামলা
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর দখলে থাকা ফালুজা শহর পুনরুদ্ধারে অগ্রসর হচ্ছে সরকারি বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফালুজার নিকটবর্তী কারমা শহরটি এখন ইরাকি বাহিনীর দখলে। তবে ফালুজার অভ্যন্তরে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে বলে খবরে বলা হয়েছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ফালুজার আইএস কমান্ডার মাহের আল-বিলাওয়িসহ বেশ কয়েকজন আইএস সদস্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় নিহত হওয়ার পরই ইরাকি বাহিনী ফালুজা দখলে অভিযান শুরু করে।
ইরাকের কারমা শহরে অবস্থানকারী বিবিসির প্রতিনিধি জিম মুইর জানিয়েছেন, ইরাকি বাহিনী ফালুজা দখলে বিশাল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। উত্তর ফালুজায় আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন ইরাকি সেনা সদস্য হতাহত হয়েছেন। এর বিপরীতে দক্ষিণ ফালুজায় হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরাকি বাহিনী। কারমা শহরটি এখন সম্পূর্ণভাবে ইরাকি বাহিনীর দখলে রয়েছে বলে জিম জানিয়েছেন। ফালুজা পুনরুদ্ধারে ইরাকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে শিয়া মিলিশিয়া এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীগত সশস্ত্র বাহিনী। গত সোমবার থেকে বাগদাদের ৪০ মাইল দূরবর্তী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর দখলে থাকা ফালুজা পুনরুদ্ধারে ইরাকের সেনাবাহিনী অগ্রসর হয়। সেদিনই ইরাকি সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মাধ্যমে ফালুজার অধিবাসীদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করে। আর যারা শহর ছাড়তে পারবেন না, তাদের বাড়ির ওপর সাদা পতাকা লাগিয়ে রাখার আহ্বান জানানো হয়ে। পাশাপাশি, ইরাকের বিমানবাহিনী ফালুজায় বিমান থেকে লিফলেটও বিতরণ করে। তাতে শহরের বাসিন্দাদের সেনাবাহিনীর তৈরি করা নিরাপদ গলি দিয়ে শহরের বাইরে চলে আসার আহ্বান জানানো হয়। তবে ইরাকের একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট আহমেদ আল-দুলাইমি জানান, আইএস যোদ্ধাদের একটি দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে ফালুজা শহরের কোনো বাসিন্দা যদি ঘর ছেড়ে কোথাও চলে যান কিংবা সাদা পতাকা উত্তোলন করেন তবে তাদের হত্যা করা হবে। পাশাপাশি ধারণা করা হচ্ছে, তারা ফালুজার নিরীহ অধিবাসীদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এর আগে জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ১০ হাজার পরিবার শহরটিতে আটকে রয়েছে। তারা ইরাকি সেনাবাহিনী, শিয়া মিলিশিয়া, বিভিন্ন গোষ্ঠীগত সশস্ত্র বাহিনী এবং আইএসের মধ্যে ক্রসফায়ারে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপরদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ফালুজা এলাকার আইএসের এক গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে। তবে কখন তাকে হত্যা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। জোটের মুখপাত্র স্টিভ ওয়ারেন বলেন, ফালুজায় আইএসের কমান্ডার মাহের আল-বিলাবিসহ ৭০-এর বেশি শত্রু যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। ওয়ারেন বলেন, দুই দিন আগে আইএস কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তবে এক ইরাকি কর্মকর্তা ও এক স্থানীয় কর্মকর্তা গত সপ্তাহে তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন। হাজার হাজার ইরাকি সৈন্য ফালুুজা পুনর্দখল করে নিতে গত ২২-২৩ মে অভিযান শুরু করে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের ইরাকি পরিচালক নসর মুফলাহি বলেন, ফালুুজার পরিস্থিতি দিন দিন গুরুতর হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।