নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বছর ঘুরে এসেছে আরেকটি বিশ্বকাপ। আবারও বিশ্ব ক্রিকেট আগামী চার বছরের জন্য নির্ধারণ করবে তার সেরা দলটি। এবারের আসরটির মাহাত্ব্য হচ্ছে ক্রিকেট ফিরেছে তার ‘ঘরে’। ক্রিকেটের আদিবাস ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বসতে যাচ্ছে ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের দ্বাদশ আসর। এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সাক্ষী হয় ইংরেজরা। আরেকটি আসরের আগে একবার ঘুরে আসুন ইতিহাসের পাতা থেকে, যেখানে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে আগের ১১ বারের চ্যাম্পিয়নদের নাম।
বিশ্বকাপ ১৯৭৫
দল সংখ্যা : ৮
ম্যাচ সংখ্যা : ১৫
স্বাগতিক : ইংল্যান্ড
ভেন্যু সংখ্যা : ৬
ফরম্যাট : দুই গ্রুপের রাউন্ড-রবিন। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনাল। প্রতি ইনিংস ৬০ ওভারের।
চ্যাম্পিয়ন : ওয়েস্ট ইন্ডিজ
রানার্স-আপ : অস্ট্রেলিয়া
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : ক্লাইভ লয়েড (উইন্ডিজ, ১০২ রান)
দর্শক অংশগ্রহণ : ১ লাখ ৫৮ হাজার
প্রাইজ মানি : বিজয়ী দল ৪ হাজার পাউন্ড, রানার্স-আপ ২ হাজার পাউন্ড, সেমিফাইনালে পরাজিত ১ হাজার পাউন্ড।
বিশ্বকাপ ১৯৭৯
দল সংখ্যা : ৮
ম্যাচ সংখ্যা : ১৫
স্বাগতিক : ইংল্যান্ড
ভেন্যু সংখ্যা : ৬
ফরম্যাট : দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল সেমিফাইনালে।
চ্যাম্পিয়ন : ওয়েস্ট ইন্ডিজ
রানার্স-আপ : ইংল্যান্ড
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : ভিভ রিচার্ডস (উইন্ডিজ, ১৩৮* রান)
ফাইনালে দর্শক উপস্থিতি : ২৫ হাজার
বিশ্বকাপ ১৯৮৩
দল সংখ্যা : ৮
ম্যাচ সংখ্যা : ২৭
স্বাগতিক : ইংল্যান্ড
ভেন্যু সংখ্যা : ১৫
ফরম্যাট : চার দলের দুটি গ্রুপ। প্রতি দল একে অনন্যের সঙ্গে দুই ম্যাচে মুখোমুখি। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে। বিজয়ী দল ফাইনালে।
চ্যাম্পিয়ন : ভারত
রানার্স-আপ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : মহিন্দার অমরনাথ (ভারত, ১২/৩ ও ২৬ রান)
ফাইনালে দর্শক উপস্থিতি : ২ লাখ ৩২ হাজার ৮১
বিশ্বকাপ ১৯৮৭
দল সংখ্যা : ৮
ম্যাচ সংখ্যা : ২৭
ফরম্যাট : চার দলের দুটি গ্রুপ। প্রতি দল একে অনন্যের সঙ্গে দুই ম্যাচে মুখোমুখি। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে। বিজয়ী দল ফাইনালে।
চ্যাম্পিয়ন : অস্ট্রেলিয়া
রানার্স-আপ : ইংল্যান্ড
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া, ৭৫ রান)
প্রাইজ মানি : বিজয়ী দল ৩০ হাজার পাউন্ড, রানার্স-আপ দল ১২ হাজার পাউন্ড, সেমিফাইনালিস্ট দল ৬ হাজার পাউন্ড।
দর্শক উপস্থিতি : ১ লাখ ৫৮ হাজার
বিশ্বকাপ ১৯৯২
দল সংখ্যা : ৯
ম্যাচ সংখ্যা : ৩৯
স্বাগতিক : অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড
ফরম্যাট : লিগ স্টেজের পর শীর্ষ চার দল নিয়ে সেমিফাইনাল, এরপর ফাইনাল।
চ্যাম্পিয়ন : পাকিস্তান
রানার্স-আপ : ইংল্যান্ড
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : ওয়াসিম আকরাম (৩৩ রান ও ৩/৪৯)
ম্যাচ অব দ্য সিরিজ : মার্টিন ক্রো (নিউজিল্যান্ড, ৪৫৬ রান)
ফাইনালে দর্শক উপস্থিতি : ৮৭ হাজার ১৮২
বিশ্বকাপ ১৯৯৬
দল সংখ্যা : ১২
ম্যাচ সংখ্যা : ২৬
স্বাগতিক : ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা
ফরম্যাট : ছয় দলের দুই গ্রুপ। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ চার দল কোয়ার্টার ফাইনালে, এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
মাসকট : গুগলি
চ্যাম্পিয়ন : শ্রীলঙ্কা
রানার্স-আপ : অস্ট্রেলিয়া
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : অরভিন্দ ডি সিলভা (১০৭* রান ও ৩/৪২)
ম্যান অব দ্য সিরিজ : সনাথ জয়সুরিয়া (২২১ রান ও ৭ উইকেট)
বিশ্বকাপ ১৯৯৯
দল সংখ্যা : ১২
ম্যাচ সংখ্যা : ৪২
ভেন্যু সংখ্যা : ২১
স্বাগতিক : ইংল্যান্ড
ফরম্যাট : দুই গ্রুপের শীর্ষ তিনটি করে দল নিয়ে সুপার সিক্স। প্রতি দল অন্য গ্রুপের দলের সঙ্গে মুখোমুখি। পয়েন্ট বেটিলের শীর্ষ দুই দল ফাইনালে।
চ্যাম্পিয়ন : অস্ট্রেলিয়া
রানার্স-আপ : পাকিস্তান
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : শেন ওয়ার্ন (৪/৩৩)
ম্যান অব দ্য সিরিজ : ল্যান্স ক্লুজনার (২৮১ রান ও ১৭ উইকেট)
বিশ্বকাপ ২০০৩
দল সংখ্যা : ১৪
ম্যাচ সংখ্যা : ৫২
স্বাগতিক : দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া
ভেন্যু সংখ্যা : ১৫
ফরম্যাট : সাত দলের দুই গ্রুপ। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ তিনটি করে দল নিয়ে সুপার সিক্স, শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালে।
চ্যাম্পিয়ন : অস্ট্রেলিয়া
রানার্স-আপ : ভারত
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : রিকি পন্টিং (১৪০* রান)
ম্যান অব দ্য সিরিজ : শচীন টেন্ডুলকার (৬৭৩ রান ও ২ উইকেট)
প্রাইজ মানি : মোট ৪.৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার, বিজয়ী দল ২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, রানার্স আপ দল ৮ লাখ ইউএস ডলার।
দর্শক সংখ্যা : ৬ লাখ ২৬ হাজার ৮৪৫
বিশ্বকাপ ২০০৭
দল সংখ্যা : ১৬
ম্যাচ সংখ্যা : ৫১
স্বাগতিক : ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ভেন্যু সংখ্যা : ৮
ফরম্যাট : চার দল করে চারটি গ্রুপ। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল নিযে সুপার এইট। শীর্ষ চার দল নিয়ে সেমিফাইনাল।
চ্যাম্পিয়ন : অস্ট্রেলিয়া
রানার্স-আপ : শ্রীলঙ্কা
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (১৪৯ রান)
ম্যান অব দ্য সিরিজ : গ্লেন ম্যাকগ্রা (২৬ উইকেট)
প্রাইজ মানি : মোচ ৫ মিলিয় ইউএস ডলার। বিজয়ী দল ২.২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, রানার্স-আপ ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
দর্শক উপস্তিতি : ৪ লাখ ৩ হাজার
টিভি দর্শক : ২ বিলিয়নের বেশি
বিশ্বকাপ ২০১১
দল সংখ্যা : ১৪
ম্যাচ সংখ্যা : ৪৯, ৩৭ দিন
স্বাগতিক : বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা
ভেন্যু সংখ্যা : ১২
ফরম্যাট : সাত দলের দুই গ্রুপ। প্রতি দলের শীর্ষ চার দল নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল।
চ্যাম্পিয়ন : ভারত
রানার্স-আপ : শ্রীলঙ্কা
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : এমএস ধোনি (৯১* রান)
ম্যান অব দ্যা সিরিজ : যুবরাজ সিং (৩৬২ রান ও ১৫ উইকেট)
ফাইনালে দর্শক উপস্থিতি : ৪২ হাজার
বিশ্বকাপ ২০১৫
দল সংখ্যা : ১৪
ম্যাচ সংখ্যা : ৪৯, ৪৩ দিন
স্বাগতিক : অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড
ভেন্যু সংখ্যা : ১৪
ফরম্যাট : সাত দলের দুটি গ্রুপ পর্ব। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ চার দল নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল।
চ্যাম্পিয়ন : অস্ট্রেলিয়া
রানার্স-আপ : নিউজিল্যান্ড
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : জেমস ফাকনার (৩/৩৬)
ম্যান অব দ্য সিরিজ : মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া, ২২ উইকেট)
ফাইনালে দর্শক উপস্থিতি : ৯৩ হাজার ১০৩
বিশ্বকাপের যত ব্যক্তিগত রেকর্ড
ব্যাটিং
সর্বোচ্চ রান : ২,২৭৮, শচীন টেন্ডুলকার (ভারত, ১৯৯২-২০১১)
এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান : শচীন টেন্ডুলকার ৬৭৩ (ভারত, ২০০৩)
সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি : শচীন টেন্ডুলকার ৬ (ভারত, ১৯৯২-২০১১)
সর্বোচ্চ গড় : এবি ডি ভিলিয়ার্স ৬৩.৫২ (দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০০৭-২০১৫)
সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংস : মার্টিন গাপটিল ২৩৭* (নিউজিল্যান্ড, ২০১৫), প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সর্বোচ্চ জুটি : ক্রিস গেইল ও মার্লন স্যামুয়েল ৩৭২ (২০১৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজ), প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে
বোলিং
সর্বোচ্চ উইকেট : গ্লেন ম্যাকগ্রা ৭১ (অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯৬-২০০৭),
সেরা গড় (কমপক্ষে ১০০০ বল) : গ্লেন ম্যাকগ্রা ১৮.১৯ (অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯৬-২০০৭)
সেরা স্ট্রাইক রেট (কমপক্ষে ১০০০ বল) : লাসিথ মালিঙ্গা ২৩.৮ (শ্রীলঙ্কা ,২০০৭-২০১৫*)
সেরা ইকোনমি (কমপক্ষে ১০০০ বল) : অ্যান্ডি রবার্টস ৩.২৪ (উইন্ডিজ, ১৯৭৫-১৯৮৩)
সেরা বোলিং ফিগার : গ্লেন ম্যাকগ্রা ৭/১৫ (অস্ট্রেলিয়া, ২০০৩), প্রতিপক্ষ নামিবিয়া
এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট : গ্লেন ম্যাকগ্রা ২৬ (অস্ট্রেলিয়া, ২০০৭)
ফিল্ডিং
সর্বোচ্চ ডিসমিসাল : কুমার সাঙ্গাকারা ৫৪ (শ্রীলঙ্কা, ২০০৩-২০১৫)
সর্বোচ্চ ক্যাচ : রিকি পন্টিং ২৮ (অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯৬-২০১১)
বিশ্বকাপে যত দলীয় রেকর্ড
সর্বোচ্চ স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ৪১৭/৬ (২০১৫), প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান
সর্বনি¤œ স্কোর : কানাডা ৩৬ (২০০৩), প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা
সবচেয়ে বেশি জয় : অস্ট্রেলিয়া ৭৪% (৮৪ ম্যাচে ৬২ জয়)
টানা জয় : অস্ট্রেলিয়া ২৭ ম্যাচ (২০ জানু ১৯৯৯-১৯ মার্চ ২০১১)
সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন : অস্ট্রেলিয়া ৫ বার
টানা চ্যাম্পিয়ন : অস্ট্রেলিয়া ৩ বার (১৯৯৯-২০০৭)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।