মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্লেয়ারসহ অবৈধ ইরাক যুদ্ধে জড়িত সবার বিচার হওয়া উচিত : করবিন
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাক যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ব্রিটেনের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করা হবে না। যদিও অভিযোগ করা হয় ওই যুদ্ধে ব্রিটেনের অংশগ্রহণ ছিল অবৈধ। তদন্তকারী চিলকোট রিপোর্টের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, এতে নির্দোষ কাউকে অভিযুক্ত করা হবে না। আগামী জুলাই মাসে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে। এতে বৈধ-অবৈধ বিষয়ে কোনো কিছু থাকবে না। এই রিপোর্টের বিষয়ও সেটা নয়। বরং রিপোর্টে ওই যুদ্ধে ব্রিটেনের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্তগুলো পরিষ্কার করে দেয়া হবে। যুক্তরাজ্যের জোরালো সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ইরাক যুদ্ধে চার বছরে দেড় থেকে ৬ লাখ ইরাকি নিহত হয়েছে। লেবার দলীয় নেতা জেরেমি করবিন বলেন, তিনি নিশ্চিতভাবে জানেন যে ইরাক যুদ্ধ ছিল অবৈধ এবং মিস্টার ব্লেয়ারসহ যারাই এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত। টনি ব্লেয়ার ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
করবিন ওই যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলেন এবং পক্ষে-বিপক্ষে ভোটও নিয়েছিলেন। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে করবিন বলেন, টনি ব্লেয়ার যদি যুদ্ধাপরাধ করেন, তবে তিনিসহ যারাই এ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা ছিল অবৈধ যুদ্ধ এবং আমি নিশ্চিত, তৎকালীন জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানও ওই যুদ্ধকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং পরে তিনি এর ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন।
২০০৯ সালে ব্লেয়ারের উত্তরসূরি গর্ডন ব্রাউনের সময় থেকে সংগৃহীত দেড় লাখ নথিপত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে দুই কোটি ৬০ লাখ শব্দের চিলকোট তদন্ত রিপোর্ট। আগামী ৬ জুলাই এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
ব্লেয়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, অপ্রকাশিত রিপোর্টের ব্যাপারে আমরা কোনো মন্তব্য করব না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ার বলেছিলেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সংকটকে ততটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবেননি এবং এমন অবস্থায়ই ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, যে যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের পতন হয়েছিল।
অনেকেই মনে করেন, ইরাক যুদ্ধই পরোক্ষভাবে ওই অঞ্চলে আইএসের উত্থানে ভূমিকা রেখেছে। এ সপ্তাহে ইয়োগোভ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি ব্রিটিশ নাগরিক ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনকে জড়িত করার ব্যাপারে টনি ব্লেয়ারকে কখনই ক্ষমা করতে পারবে না। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।