মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে নয়া দিল্লির গুরুগ্রাম শহরে এক মুসলিম তরুণের মাথার টুপি খুলে নিয়ে তাকে জয় শ্রী রাম গাইতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ওই তরুণ তখন মসজিদ থেকে ফিরছিলেন। শনিবার রাতে গুরুগ্রামের সদর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দুস্থান টাইমস।
হয়রানির শিকার হওয়া ওই মুসলিম তরুণের নাম মোহাম্মদ বরকত আলম (২৫)। তিনি জানান, তিনি শনিবার তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একদল অচেনা ব্যক্তি তাকে আটকিয়ে তার মাথার টুপি খুলে নেয় ও তাকে ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘জয় ভারত মাতা কি জয়’ গাইতে বাধ্য করে। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে অভিযোগে স্লোগান গাওয়ার অংশটুকু উল্লেখ করা হয়নি।
আলম দিন কয়েক আগেই বিহারের বেগুসারাই থেকে গুরুগ্রামে থাকতে যান। তিনি জানান, রাত ১০:১৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বরকত বলেন, মসজিদ থেকে ফেরার সময় চার জন মানুষ মোটরসাইকেলে করে ও দুই জন পথচারী আমার পথ আটকায়। একজন আমায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমায় বলা হয়, এই এলাকায় টুপি পড়ে ঘোরা যাবে না। টুপিটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আমি তাকে জানাই, আমি মসজিদ থেকে ফিরছি। আমি টুপিটি খুলতে চাইনি। তখন তিনি আমায় ফের মারলেন ও টুপিটি খুলে নিলেন।
আলম অভিযোগ করেন, পথচারীদের একজন তাকে চড় মেরেছে। তিনি প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানে কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি। তিনি বলেন, একজন আমায় লাঠি দিয়ে বারবার মেরেছে। আমায় ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ গাইতে বলেছে। আমি না করলে, আমার শুকরের মাংস খাইয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।
আলম জানান, কেবল পায়ে হেঁটে আসা ব্যক্তিরাই তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। মোটরসাইকেলে করে আসা ব্যক্তিরা কিছু করেনি। কিন্তু একসময় তিনি কাঁদতে শুরু করলে, তারা পালিয়ে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন রাতেই আলমের ভাই তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গুরুগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজিব যাদভ জানায়, শনিবার রাতে ওই মুসলিমের ওপর হামলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত অনুসারে, দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্কের পর তাকে মারধর করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।