বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বহুল প্রত্যাশিত দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র বৃহৎ মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে রুই জাতীয় (রুই, কাতাল, মৃগেল ও কালিবাইশ) মা মাছ ডিম ছেড়েছে। শনিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এ ডিম পাওয়া গেছে। ডিম আহরণকারী উত্তর মাদার্শা এলাকার মো. জামসেদ জানান, রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে হালদার বিভিন্ন অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু হয়।
রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রায় চারশ থেকে সাড়ে চারশ ডিম আহরণকারী গতকাল (রোববার) সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেন। আহরণকারীরা জানিয়েছে এবার গত বছরের চেয়ে কম ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার সংগ্রহের পরিমাণ ৭ হাজার কেজি। ডিম সংগ্রহের পর পরই ডিম আহরণকারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন হ্যাচারিগুলোতে। তবে এবার ডিম সংগ্রহের পরও আরো কয়েকটি কুয়ো খালি পড়ে আছে। বেজায় খুশি ডিম আহরণকারীরা, বিশেষ করে কুয়ো নিয়ে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ ডিম সংগ্রহ হলেও কুয়োর সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ ডিম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যার জন্য দুষছিলেন হ্যাচারি কমিটির লোকদের। এবার হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের উদ্যেগে ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে হ্যাচারিগুলো সংস্কারে পরিবর্তন হয় কুয়াগুলো। তাই সব মিলিয়ে এবার ডিম আহরণকারীরা খুশি।
এর আগে শুক্রবার বজ্রসহ প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি ঘোলা হয়ে ডিম ছাড়ার পরিবেশ তৈরি হয়। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকাল ও দুপুরে নমুনা ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মা মাছ। ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, এ বছর প্রতিটি নৌকায় গড়ে প্রায় ৫-৬ বালতি করে ৬টি নৌকায় প্রায় ৩৫ বালতি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। অংকুরি ঘোনা এলাকার বিধান বড়ুয়া জানান, তিনটি নৌকা দিয়ে গড়ে ৩-৪ বালতি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেছেন।
সূত্র জানায় হালদা থেকে ২০১৮ সালে ২২ হাজার কেজি, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৬ সালে ৭৩৫ (নমুনা ডিম) কেজি, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৮০০ কেজি এবং ২০১৪ সালে ১৬ হাজার ৫০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও অষ্টমী তিথিতে প্রবল পাহাড়ি ঢল ও শীতল আবহাওয়ায় কার্প জাতীয় মাছ নদীতে ডিম ছাড়ে।
প্রসঙ্গত, এবার চৈত্র বৈশাখ মাস শেষ হবার পর ডিম সংগ্রহকারীদের মনে শংকা দেখা দিয়েছিল হালদায় মা-মাছ ডিম দেবে কীনা? কারন মা-মাছ গুলো ডিম ছাড়ার জন্য যে পরিবেশ দরকার বিশেষ করে পাহাড়ি ঢল,মেঘের গর্জন,বৃষ্টি এসব কিছু এবার অনুকূলে ছিলনা বরং পরিবেশ ছিল তীব্র তাপদাহের। যারকারনে মা-মাছ ডিম ছাড়ার সে সূযোগ পায়নি। গত বৃহস্পতিবার থেকে সে পরিবেশ সৃষ্টি হলে শনিবার ও গতকাল রবিবার সকাল পর্যন্ত মা -মাঠ ডিম ছাড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।