নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : পেস বোলার ফরহাদ রেজার হাতে বল, তা দেখেও কী সাহসই না দেখালেন মোসাদ্দেক! শেষ ওভারে জয়ের জন্য যখন টার্গেট ১১ রান, তখন একটু ঝুঁকিই নিয়ে মাথা থেকে হেলমেট খুলে তা ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। বোলারকে বিভ্রান্ত করার এই পরিকল্পনায় সফল মোসাদ্দেক। হেলমেটহীন ব্যাটসম্যানকে ভয় পাইয়ে দিতে করবেন বোলার শর্ট বল, এমন ধরে নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক এবং নিজের সেই কৌশলেই জিতেছেন বলে জানিয়েছেন আবাহনীর ম্যাচ উইনারÑ‘আমি একটি কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। লক্ষ্য ছিল ওনাকে (ফরহাদ রেজা) শর্ট বল করতে প্রলুব্ধ করা। হেলমেট থাকলে রেজা ভাই হয়তো চিন্তা করতো ইয়র্কার দেয়ার। শেষদিকে ইয়র্কার খেলা খুব কঠিন। এজন্য আমি হেলমেট খুলে ফেলেছিলাম। ধরেই নিয়েছিলাম জিদের বশে ফরহাদ রেজা ভাই আমাকে বাউন্সার মারবে, সেটাই করেছেন তিনি।’
দলে এক ঝাক তারকা, প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান থাকতে বর্তমান রানার্স আপ দল প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবাহনী জিতেছে ২০ বছর বয়সী এক পুঁচকের ব্যাটিংয়ে। শুরু থেকে টুয়েন্টি-২০ ছন্দে করেছেন ব্যাটিং! তার কারণটাও জানিয়েছেন মোসাদ্দেকÑ‘ব্যাটিংয়ে নামার আগে আমি ভেবেছিলাম, এই ম্যাচ যদি কেউ শেষ করতে না পারে। তাহলে আমিই দায়িত্ব নিয়ে শেষ করবো। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি জয়ী হয়েছি। ব্যাটিংয়ে নামার আগে হিসেব করে দেখেছি, কম বলে বেশি রান করতে হবে। সেভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ক্রিজে নেমেছি। চিন্তা করেছি, আমাকে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে। বিশ্বাস রেখেছি শেষ পর্যন্ত খেললে হয়তো ম্যাচটা আমরা জিতবো।’
মোহামেডানের কাছে বাজেভাবে হেরে দলটির ভবিষ্যৎ নিয়েই আবাহনী অধিনায়ক তামীম করেছিলেন সন্দেহ পোষণ। হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে উপর্যুপরি ২টি বড় ম্যাচ জিতে সেই তামীমই এখন সুপার লীগের স্বপ্ন দেখছেনÑ‘সর্বশেষ দুটি ম্যাচে আমরা জয় পেয়েছি। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করবে তা। সামনে আমাদের আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। সুপার লিগ নিশ্চিত করতে হলে আমাদের বাকি দুটি ম্যাচেও জিততে হবে।’ শেষ ২ বল থ্রিলারে জিতে আবাহনী যেভাবে বাঁধভাঙ্গা উৎসব করেছে, তা যেনো শিরোপা জয়ের উৎসবকেও মানাবে হার। তামীম নিজে পর্যন্ত উচ্ছ¡াস ধরে রাখতে পারেননি, অন্য টিমমেটদের সঙ্গে দিয়েছেন মাঠের মধ্যে ভো দৌড়! নিজের এই আবেগের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন তামীমÑ‘আজ (গতকাল) আমাদের অনেক বড় একটি ম্যাচ ছিল। আবেগ মাঝে মাঝে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ম্যাচটি জিতে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।’ রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ের কারণ হিসেবে মোসাদ্দেকের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন তামীমÑ‘দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে মোসাদ্দেক। পুরো ইনিংসটাতে সে গভীরভাবে চিন্তা করেছে। ৩-৪ ওভার আগে ভুল শট খেলে আউটও হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ বের করেছে মোসাদ্দেক। মোসাদ্দেকের কাছ থেকে অন্যদের শেখার আছে।’
কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল মিশন শেষে ঢাকায় ফিরে বিশ্রাম না নিয়েই দলের প্রয়োজনে খেলেছেন সাকিব। তার এই অন্তর্ভুক্তিটাই আবাহনীকে বদলে দিয়েছে বলে মনে করছেন তামীমÑ‘অবশ্যই সাকিবের অন্তর্ভুক্তি প্রভাব ফেলেছে। খেলার চেয়ে সাকিবের অন্তর্ভুক্তিই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওকে কাছে পাওয়ায় ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।