মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে পদত্যাগের পর তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন দেশটির বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তার পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাজিদ জাভিদ ছাড়াও বিশেষভাবে এগিয়ে রয়েছেন বরিস জনসন, জেরেমি হান্ট, ডোমেনিকান রব, মাইকেল গভ ও আন্দ্রে লিডসাম। সাজিদ জাভিদ যদি টেরিজা মে’র স্থলাভিষিক্ত হন, তবে তিনিই হবেন দেশটির প্রথম কোনো মুসলমান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যারা এগিয়ে রয়েছেন তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হল-
সাজিদ জাভিদ: বৃটেনের সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান ও ফরাসী বার্তা সংস্থা এএফপির মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় সাজিদ জাভিদের নাম এসেছে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক এ বিনিয়োগ ব্যাংকার। ক্যারিবীয় অভিবাসী শিশুদের ওপর একটি কেলেঙ্কারি ভালোভাবে সামাল দিয়ে ৪৯ বছর বয়সী এ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
পাকিস্তানি অভিবাসী বাস-চালকের সন্তান সাজিদ জাভিদ একটি আধুনিক, বহু-সংস্কৃতি ও মেধাভিত্তিক ব্রিটেনের প্রতিচ্ছবি। অর্থনৈতিকভাবে উদারপন্থী সাজিদ জাভিদ ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসে যোগ দিতে যাওয়া এক কিশোরীর নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তিনি উদারপন্থীদের সমালোচনার শিকার হয়েছেন। এক পাকিস্তানি মুসলমান অভিবাসীর ঘরে ল্যানক্যাশায়ারের রোচড্যালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বরিস জনসন: সাজিদ জাভিদের পরেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে রয়েছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন। লড়াইয়ের দৌড়ে থাকছেন বলে তিনি ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছেন। ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। কিন্তু তখন শেষ মুহূর্তে এসে মাইকেল গভ সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে রাষ্ট্রীয় শীর্ষ পদটি পেতে তিনি ব্যর্থ হন। জনসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন টেরিজা মে। কিন্তু কূটনৈতিক হঠকারিতার কারণে তিনি সমালোচিত হন।
তবে কনজারভেটিভ দলের তৃণমূলে তিনি একজন ক্যারিশম্যাটিক ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় সাপ্তাহিক কলামের মাধ্যমে তিনি নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে চেষ্টা করছেন। ব্রেক্সিটপন্থী প্রভাবশালী ব্যাকবেঞ্চার জ্যাকব রিইস-মগের সমর্থন থাকায় এবার তার আশান্বিত হওয়ার কারণ আছে। কিন্তু নিজের বাজে ব্যবহারের জন্য দলের ভেতরেই তার বহু শত্রু তৈরি হয়ে গেছে।
জেরেমি হান্ট: ২০১৬ সালের গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে নিজের সমর্থন জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। কিন্তু ব্রাসেলসের নেয়া পদক্ষেপগুলোকে ঔদ্বত্যপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। সাবেক এই ব্যবসায়ী অনবরত জাপানি ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি স্থিতিশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।
গত বছরে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জেরেমি হান্ট। কথা ও আচরণেও পরিমিতবোধ সম্পন্ন। শান্ত মেজাজের হান্ট ব্রিটিশ মন্ত্রিপরিষদে আস্তে আস্তে নিজের প্রভাব আরও মজবুত করেছেন। টেরিজা মে’র পদত্যাগের পর নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন হান্ট।
ডমিনিক রব: কারাতে ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়া ডমিনিক রব ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবের বিরোধী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনের অধীন ২০১৫ সালে সরকারে যোগ দেয়ার পর মন্ত্রিত্বের সিড়ি দ্রুতই অতিক্রম করেছেন ডমিনিক। তিনি ব্রেক্সিটের সমর্থক এবং ২০১৬ সালে গণভোটের পর নতুন মন্ত্রিসভায় বিচারমন্ত্রীর হন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ব্রেক্সিট সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। কিন্তু সরকারের বাইরে থাকলেও নিজের প্রচারমুখী অবস্থান এখনো বজায় রেখেছেন। কর্মীদের ভাড়া করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সাক্ষাতকার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মাইকেল গভ: বেক্সিট প্রচারক মাইকেল গভ ২০১৬ সালের নেতৃত্বের লড়াইয়ে প্রাথমিকভাবে জনসনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানিয়েছেন তিনি। এতে দুজনই টেরিজা মে’র কাছে হেরে যান। এ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়ার পর তিনি বলে, ক্যারিশমা বলতে যা বোঝায়, তার আমার নেই। ২০১৭ সালের জুনে তিনি পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি ঘোষণার কারণে বিভিন্ন সময়ে তিনি পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন। টেরিজা মে’র পতনের পর ৫১ বছর বয়সী গভ তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ভাবছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।