পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা মুসলমানদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। তাই শত বাধা, ভোগান্তি বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে প্রতি ঈদেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে রাজধানীবাসী। তবে ঈদে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত মানুষকে পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি-বিড়ম্বনা। শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে ট্রেনে-বাসে সবাই ছোটে নাড়ির টানে। রেলপথে ভোগান্তি কমাতে ট্রেনের টিকিট এবারই প্রথম ৫০ শতাংশ অনলাইনে অর্থাৎ অ্যাপের মাধ্যমে দেয়ার পরিকল্পনা করে রেলওয়ে। এজন্য গত মাসে ‘রেলসেবা’ নামে একটি অ্যাপও চালু করা হয়। যার দায়িত্বে রয়েছে বহুল সমালোচিত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেড বাংলাদেশ। প্রথম চালু করা এই অ্যাপের বিষয়ে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখের নয়। অ্যাপসটি সঠিকভাবে কাজ করছে না জানিয়ে প্রথম থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে যাত্রীরা।
ঈদের আগ মূহুর্তে সিএনএস এর কারণে হাজার হাজার টিকিট প্রত্যাশিদের ভোগান্তিতে পড়তে হলো। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে এসে অ্যাপের মাধ্যমে কাঙ্খিত টিকিট দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, সিএনএসের ব্যর্থতার দায় আমরা এড়াতে পারি না। তাই অবশ্যই সিএনএসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী বলেন, অ্যাপসে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএসের সঙ্গে ২০০৭ সাল থেকে চুক্তি। এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আর বাড়ানো হবে না। অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিটসেবা বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, এবার কার্যক্রমে ভিন্নতা রয়েছে। অ্যাপসে ৫০ শতাংশ টিকিট দেওয়া হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, যে সেবা পাওয়ার কথা, সেই কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। এটা দুঃখজনক। যাতে ভবিষ্যতে বিড়ম্বনা না হয়, ঈদের পর আমরা ব্যবস্থা নেবো।
জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে কাজ করছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেড বাংলাদেশ। কাউন্টারে রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা ও অনলাইনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে প্রতিষ্ঠানটি। গতমাসে ‘ ‘রেলসেবা’ নামে টিকিট বিক্রির যে অ্যাপ চালু হয়েছে, সেটিরও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে তারা। তবে এসব সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে জমা পড়ছে বিস্তর অভিযোগ। রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ‘সার্ভারে ত্রুটি’, ‘বিক্রি শুরুর আগেই টিকিট শেষ’, ‘টিকিট না দিয়েই টাকা কেটে রাখা’-প্রতিদিন এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে জমা পড়ছে। এসব অভিযোগের কোনো সুরাহা না করেই গতকাল শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি।
জানা গেছে, সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছে. তখন থেকেই দেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ খাত রেলওয়ের ই-টিকেটিং কার্যক্রম চালাচ্ছে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস)। সেবা তো দূরে থাক, অদক্ষ এই কম্পানি এখন রেলযাত্রীদের বিরক্তি আর হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু অদক্ষতাই নয়; কম্পানিটির কর্মীরা জড়িয়ে পড়েছেন দুর্নীতিতে। সিএনএসের সর্বশেষ সংযোজন রেলসেবা অ্যাপ নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সারাদেশে রেল ছড়িয়ে দেওয়ার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমান রেলমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বেশ কিছু রুটের টিকিট ছাড়ার আগেই সেগুলো কাটা হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এর সঙ্গে সিএনএসের অসাধু কর্মীরা জড়িত। এর আগে গত বছর নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিপুল সংখ্যক টিকিটসহ মোকছেদুল ইসলাম বিদ্যুৎ নামে সিএনএসের স্থানীয় প্রতিনিধিকে আটক করেছিল রেলওয়ে থানা পুলিশ। পরে ভোক্তা অধিকার আইনে তার শাস্তিও হয়েছিল। তাছাড়া ঈদ বা লম্বা কোনো ছুটির আগে সিএনএসের ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যাওয়া তো সাধারণ ঘটনা।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, অনলাইনে যদি টিকিট থেকেও থাকে, তবে সেটা পেতে গেলে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। অনলাইন হলেও ২৪ ঘণ্টা টিকিট কাটতে পারেন না যাত্রীরা। প্রতি টিকিটের চার্জ হিসেবে ২০টাকা করে বাড়তি কেটে নেয় সিএনএস। যদি কেউ একসঙ্গে ৪টি টিকিটও কাটে; তাহলেও তাকে ৮০ টাকা বাড়তি প্রদান করতে হয়। অথচ, দেশে বেশ কিছু ইন্টারনেট পেমেন্ট গেটওয়ে আছে, যেগুলো প্রায় বিনামূল্যে কিংবা খুব স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ট্রানজেকশনের সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু সিএনএসের কারণে এভাবেই পকেট কাটা যাচ্ছে যাত্রীদের।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, ‘রেলসবা’ নামক রেলের অ্যাপ দিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টিকিট কাটতে পারছেন না যাত্রীরা। কিন্তু পেমেন্ট হিসেবে ঠিকই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এসব টাকা আদৌ ভুক্তভোগীরা ফেরত পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বাবুল মন্ডল নামের একজন অভিযোগ করেছেন, সিএনএএস গত ডিসেম্বরে তার কার্ড থেকে টাকা কেটে নিয়েছে, অথচ টিকিট পাননি তিনি। টাকা ফেরত পেতে বাবুল ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এখন ব্যাংকে গেলে বলে সিএনএসবিডি টাকা ফেরত দেয়নি।
ভুক্তভোগিরা জানান, ইন্টারফেস দেয়া হয়েছে অ্যাপে। এতে প্রবেশ করতে গেলে বারবার লগিন করতে হয়। ট্রেনের অভ্যন্তরের ছবির যে অপশন দেওয়া আছে, তাতে সব ট্রেনের একই ছবি দেখায়। আর ধীরগতির জন্য অ্যাপটি হয়ে উঠেছে বিরক্তিকর। রেলওয়ে ফ্যানস ফোরামের একজন সদস্য বলেন, বোঝাই যায়, কোনোরকম করে লোকদেখানো একটা অ্যাপ বানিয়ে তা রেলওয়েকে গছিয়ে দিয়েছে সিএনএস। গত ২৮ এপ্রিল অ্যাপটি লঞ্চ করার পর এখনও পর্যন্ত কোনো আপডেট দিতে পারেনি কোম্পানিটি। ওই ব্যক্তি বলেন, দেশের ডেভেলপাররা এর চেয়ে ভালো ইন্টারফেসের অ্যাপ তৈরি করছে; যার ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ প্লে স্টোরে রয়েছে।
তবুও এই কম্পানি দিয়েই চলছে রেলের ডিজিটালাইজেশন। শুধু রেল সেক্টর নয়, বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ে ডিজিটাল সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পুরনো। রেলের অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে হাতে গোনা কয়েকটি ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড এবং মোবাইল ট্রানজেকশনের সুযোগ আছে। কিন্তু দেশের অন্যান্য অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েগুলো ২০টির বেশি কার্ড এবং মোবাইল পেমেন্টের সুযোগ দিচ্ছে। সেখানে সিএনএসের কল্যাণে রেল পড়ে আছে অনেক পিছিয়ে। যাত্রীরা তাদের সুবিধামতো পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করতে পারছেন না। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্বেও রয়েছে সিএনএস। অর্থনীতির লাইফলাইন বলে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন মহাসড়কে যানজটের অন্যতম প্রধান কারণও এই সিএনএস। টোল আদায় করতে গিয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টির ঘটনা প্রতিদিনের।
যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের টিকিটে যাত্রীর নাম সংযোজনের বিষয়টি বারবার পিছিয়ে গেছে এই সিএনএসের কারণে। টিকিটে তাদের লোগো রাখার জন্য কেম্পানিটি দীর্ঘদিন গড়িমসি করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের চাপে তাদের আপত্তি ধোপে টিকেনি। তবে তাদের লোগো এখনও বহাল তবিয়তে টিকিটের নিচে রয়ে গেছে। অর্থাৎ, রেলের স্বার্থের ক্ষতি হলেও সিএনএসের স্বার্থ ঠিকই রক্ষা হচ্ছে। যাত্রীদের দাবি, এই অদক্ষ কম্পানির সঙ্গে অবিলম্বে সম্পর্ক ছিন্ন করুক রেলওয়ে। নাহলে এভাবে যাত্রী হয়রানি চলতেই থাকবে।
দুর্নীতি ধরতে গতকাল বুধবার কমলাপুর রেল স্টেশনে সিএনএসের সার্ভার রুমে অভিযান চালায় দুদক। দুদকের অভিযান প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, তারা কারো সঙ্গে যোগসাজশ করে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করছে কিনা, তা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ দিবসগুলোতে পরিবহন সক্ষমতার চেয়েও বেশি যাত্রী থাকে। তাই বিশেষ দিবস নজর দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ঈদে যাতে যাত্রীদের কোনো বিড়ম্বনা না হয়, আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, যেহেতু অ্যাপসে সমস্যা হচ্ছে, তাই আসন থাকা সাপেক্ষে অবশিষ্ট টিকিট ২৭ মে বিক্রি করা হবে।
এদিকে, গতকাল কমলাপুর স্টেশনে টিকিটের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। ৩১ তারিখের রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাসান। তিনি বলেন, অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট থাকা সত্তে¡ও আমাদের স্টেশনে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। কারণ অ্যাপের মাধ্যমে কোনো টিকিট কাটা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছি। যদি সেবা নাই পাওয়া যায় তাহলে বড় বড় কথা বলে অ্যাপ নামিয়ে লাভ কী?
আরেক টিকিট প্রত্যাশী মাহমুদ হাসান বলেন, সকাল ৯টা থেকে টানা চেষ্টা করেছি অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটতে। কিন্তু টানা ২ ঘণ্টা চেষ্টা করেও টিকিট কাটতে না পেরে স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। তিনি বলেন, আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ৩১ মে রংপুর যেতেই হবে। রেল কর্তৃপক্ষের কথা আশ্বস্ত হয়ে ভেবেছিলাম এবার ভোগান্তি ছাড়া অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটব। কিন্তু সে আশা পূরণ হলো না। সেবার মান ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলো ঠিক না করে একটি মানহীন অ্যাপ বানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায় : পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রামে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি। প্রথম দিনে ৩১ মের টিকিটের জন্য প্রচন্ড ভিড় থাকলেও টিকিট পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও সেহেরি খেয়েই অনেকে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ান। তবে দুপুরের পর স্টেশন কিছুটা ফাঁকা হয়ে যায়। তখন কাউন্টারে এসেই টিকিট পেয়েছেন যাত্রীরা।
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে যারা টিকিট পেয়েছেন তাদের চোখেমুখে ছিল বিজয়ের হাসি। প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাবেন। এ যাত্রা যেন নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ হয় সেজন্য আগে থেকেই টিকিট কেটে রাখা। চাঁদা দেখা সাপেক্ষে ৫ অথবা ৬ জুন ঈদ। সে হিসেবে ঈদের অনেক আগে হওয়ায় ৩১ মের টিকিটের জন্য তেমন হাহাকার ছিল না। অ্যাপসসহ প্রায় ১২ হাজার টিকিট দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে অ্যাপস ব্যবহার করে অনেকেই টিকিট পাননি। সেখানে ব্যর্থ হয়ে অনেকে স্টেশনে এসে টিকিট সংগ্রহ করে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, এবারে টিকিট কালোবাজারি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাউন্টারে পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তার আগে তিনি স্টেশন ঘুরে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় যাত্রীরা তাকে তাদের বিভিন্ন অভিযোগের কথা জানান।
স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ১২ হাজার টিকিট দেয়া হবে। রেলওয়ের অ্যাপসে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার টিকিট ও বাকি ৬ হাজার টিকিট রেলস্টেশনে দেয়া হবে। এরমধ্যে ভিআইপি টিকিটও রয়েছে। আজ ২৩ মে দেয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে ২ জুনের, ২৫ মে ৩ জুনের এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট। এছাড়া ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট। সুবর্ণ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল সাতটায়, মহানগর এক্সপ্রেস ১২টা ৩০ মিনিটে, গোধূলী বিকেল ৩টায়, সোনার বাংলা বিকেল ৫টায়, মেইল এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১০টায়, তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।