গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল অফিসার নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অসঙ্গতীর যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীণ বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফলাফল বাতিলের যে দাবি করা হয়ে তা অযৌক্তি এবং পুনঃপরীক্ষা গ্রহনের কোন অবকাশ নেই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বাতিল ও পুনঃপরীক্ষার দাবিতে যে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান- মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে একটি বিশেষ কক্ষে প্রশ্নপত্র খোলার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রশ্নপত্র মডারেশন, মুদ্রণ এবং প্যাকিং ও সীল করার জন্য গঠিত কমিটি অত্যন্ত সতর্কতা ও গোপনীয়তার সাথে তাঁদের কার্যক্রম সুসম্পন্ন করেন। ওই কমিটিতে ভিসি এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। তাঁদের উপস্থিত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত আবেদনের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ এর উর্ধ্বে অনেক প্রার্থীর নাম বৈধ তালিকায় রয়েছে এ কথা সার্বিকভাবে সত্য নয়। এ ধরণের ২ জন প্রার্থীর (যাদের বয়স ৩২ এর উর্ধ্বে) আবেদন ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে এসেছে। একজনের আবেদন প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের সময় ধরা পড়ায় তার আবেদন লিখিত পরীক্ষার পূর্বেই বাতিল করা হয়। অন্য প্রার্থী তার বয়সের প্রকৃত তথ্য গোপন করে আবেদন করে এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার এধরণের ইচ্ছাকৃত অনৈতিক কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষক ও কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন নিয়মনীতি অনুসরণ করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রশ্নপত্র মডারেশন, মুদ্রণ, প্যাকিং ও সীল করতে গঠিত কমিটিতে ভিসি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা ভিসি’র পিএস-২ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
ডেন্টালের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন বিতরণের সময় কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে এবং পরীক্ষার হলেই ডেন্টালের প্রশ্নপত্র যথাযথভাবে সরবরাহ করা করা হয়। তাই এ নিয়ে কোনো ধরণের বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ নাই। এছাড়া ফলাফল প্রকাশের আগেই পরীক্ষার রোল নম্বরসহ যে তালিকা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেটা ভিত্তিহীন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২২ মার্চ তারিখে অনুষ্ঠিত মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার দিন থেকে ফল প্রকাশের দিন (১২ মে) পর্যন্ত এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কোনো ধরণের অনিয়ম বা অসঙ্গতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফলাফল প্রকাশের পর কিছু সংখ্যক অকৃতকার্য প্রার্থী ফলা বাতিলের যে দাবি করেছে, তা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক। ফলাফল বাতিল বা পুনঃপরীক্ষা গ্রহণের কোনো সুযোগ নাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।