নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডে ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিশালী দল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই দলটি অচেনা হয়ে পড়ে। যে কারণে তাদের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ‘চোকার্স’ তকমা। তবে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে প্রোটিয়ারা। এমনটিই জানিয়েছেন দলপতি ফাফ ডু-প্লেসিস।
উপভোগের মন্ত্রে অতীতের মত চাপ দূরে সরিয়ে নিজেদের সেরা খেলাটা প্রদর্শন করে সাফল্য অর্জন করাই ডু প্লেসিসেদের লক্ষ্য, ‘অতীতের বিশ্বকাপগুলোতে সেরা দলের তকমা নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাফল্য হাতছাড়া হয় আমাদের। যে কারণে ‘চোকার্স’ শব্দটি আমাদের গায়ে এটে গেছে। তবে এবার আর কোনরকম চাপ নিয়ে নয়, উপভোগ্য ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা।’
১৯৯২ সাল থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফেভারিট না হয়েও, সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে তারা। এরপর আরও ছয়টি বিশ্বকাপে অংশ নেয় প্রোটিয়ারা। প্রতিটি বিশ্বকাপের ফেভারিটের তকমা গায়ে ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার। সেরা খেলোয়াড় স্কোয়াডে রেখে, খেলোয়াড়দের সেরা ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিলো প্রোটিয়ারা। কিন্তু কোনবারই সাফল্যে নিজেদের রঙ্গীন করতে পারেনি তারা। সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়াটাই এখন অবধি দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা অর্জন।
তবে এবার আর অতীতের মত নিজেদের ফেভারিট হিসেবে মানতে চান না দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডু-প্লেসিস। চাপকে দূরে রেখে নিজেদের খেলায় মনোযোগী হতে চান তিনি, ‘আগের বিশ্বকাপগুলোতে সুপারম্যানের মত পারফরমেন্স করতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের অনেক বেশি বিশেষজ্ঞ হতে হবে। আমরা যা করতে পারি, তার চেয়ে বেশি কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারিনি। অতীতে আমরা সেরাটা দিতে পারিনি, কারন আমরা চাপ নিয়ে খেলেছি। কিন্তু এবার আমরা কোন চাপ নিতে রাজি নই। আমরা নিজেদের ক্রিকেটকে উপভোগ করতে চাই।’
দু’বছর আগ থেকে বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা শুরু করেন বলে জানান ডু-প্লেসিস। সাফল্য পেতেই নিজেদের আসন্ন বিশ্বকাপের উজাড় করে দেয়ার কথা বলেন তিনি, ‘দু’বছর আগ থেকে বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের মানসিকভাবে তৈরি করতে থাকি। অধিনায়ক হিসেবে সাবেকদের চেয়ে বিশ্বকাপ নিয়ে আমি অনেক বেশি কথা বলেছি। কিন্তু এটি সত্যি, এখানেই আমরা অনেক বেশি ভালো পারফরমেন্স করতে পারি। তবে এখানে অনেক চাপ আছে, তবে আমি জানি কিভাবে চাপকে মোকাবেলা করতে হয়।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভালো পারফরমেন্স করতে হলে দলের খেলোয়াড়দের চাপমুক্ত রাখতে চান ডু-প্লেসিস।, ‘আমরা খেলোয়াড়দের চাপমুক্ত রাখতে চাই। যাতে তারা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারে। ইংল্যান্ডে আগামী দেড় মাস আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এজন্য খেলোয়াড়দের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং নিজেদের সেরাটাই মাঠে উজাড় করতে হবে।’
মূল লড়াইয়ে নামার আগে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ মে বিশ্বকাপের উদ্বোধণী দিনেই তাদের দিতে হবে বড় পরীক্ষা। হট ফেভারিট স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে প্রোটিয়ারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।