নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটি-দুটি নয়, ছয়টি ফাইনাল খেলেও প্রত্যেকবার প্রতিপক্ষের হাতে ট্রফি উঠতে দেখার নির্মম সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্ত সপ্তমবারের ফাইনালে প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই ট্রফি জয়ের আনন্দে মেতেছে টাইগাররা। গতপরশু সৌম্য-মোসাদ্দেকের ব্যাটিংয়ে নিজেদের সপ্তম ফাইনালে ‘লাকি সেভেন’ হয়েই ধরা দিয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি।
ইতিহাসে ঢুকে যাওয়া দিনে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের সামনে আনন্দের বন্যা। সেই বন্যার ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার গায়ে। মুশফিক, সাব্বির অভিনন্দন জানালেন অধিনায়ককে। লাল-সবুজ বাংলাদেশের প্রথম শিরোপাটা মাশরাফির হাতেই ওঠা উচিত ছিল। পরশু ম্যালাহাইডে সেটাই উঠলও।
বরাবরই বাংলাদেশের বিজয় সঙ্গীত হিসেবে ড্রেসিং রুমে গাওয়া হয় যে গান, সেই ‘আমরা করব জয়’ কোরাসও ধরা হয়নি এবার।
একটি কারণ অবশ্য ছিল ফেরার তাড়া। বৃষ্টিতে এমনিতেই ম্যাচ অনেক দেরিতে শেষ হয়েছে। মাশরাফি, তামিম ইকবালসহ দলের কয়েকজনের ছিল ফ্লাইট ধরার তাড়া। মাশরাফি দিন চারেকের ছুটিতে দেশে ফিরছেন পরিবারকে সময় দিতে। মাঠ থেকেই ছুটতে হয়েছে বিমানবন্দরে। তামিম পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন দুবাইয়ে। আর ত্রিদেশীয় সিরিজের যারা বিশ্বকাপ দলে নেই, তারা ফিরছিলেন দেশে।
এছাড়াও অন্যদের ছিল হোটেলে ফেরার তাড়া। শনিবারই ডাবলিন থেকে লন্ডন হয়ে তাদের গন্তব্য লেস্টার। তাদের গোছগাছ, লাগেজ গুছিয়ে জমা দেওয়ার ঝামেলা ছিল। হোটেলে ফিরে কেক কাটা কিংবা অন্য কোনো আয়োজনও ছিল না। হয়তো দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই ট্রফি ধরা দিতে দিতেই আরও উঁচুতে চড়ে গেছে প্রত্যাশার পারদ!
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২৪ ওভারে ২১০ রান। কঠিন তো অবশ্যই। কিন্তু ম্যাচ জেতার পর অধিনায়ক মাশরাফি জানালেন কখনোই বিশ্বাস না হারানোর কথা, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। তাই লক্ষ্যটা একটু বড় থাকলেও আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, আমরা পারব।’
এই জয়ের আনন্দ এখানেই থামিয়ে দিতে চান না মাশরাফি। এই জয়কে কেবল শুরু বলে বিশেষায়িত করলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক, ‘এই অনুভূতি অসাধারণ। আমাদের মাত্র শুরু হলো। আশা করি এমন ট্রফি জয়ের ধারাবাহিকতা থাকবে। আমরা ৬ বার ফাইনাল জিততে পারিনি। সপ্তমবারের এসে সফল হলাম। এই মুহূর্তে এর চেয়ে ভালো কোন অনুভূতি আর হতে পারে না।’
সৌম্য সরকারের ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে মোসাদ্দেকের ঝড়ো ইনিংসে অনেক আকাক্সক্ষার জয় তুলে নেয় মাশরাফির দল। মোসাদ্দেক ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রæততম হাফসেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। ওমন ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরাও হন তিনি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এই দুই ক্রিকেটারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন মাশরাফি, ‘চাপের মধ্যে ওরা যেভাবে রান তুলেছে, এটাই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সৌম্য-মোসাদ্দেকের ইনিংসের তুলনা হতে পারে না।’
ত্রিদেশীয় সিরিজে শিরোপা জয় এখন সেই আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ। গতকালই ইংল্যান্ডের বিমানে যা সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশ দলের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।