বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনসিডিলের ভয়াল থাবা কোনভাবেই রুখে দেয়া যাচ্ছে না। র্যাব, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চেষ্টার কমতি নেই। খুব কম দিনই আছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সীমান্তে ফেনসিডিলসহ চোরাচালানী আটক হয় না। তারপরেও ভারত থেকে সর্বনাশা ভারতীয় ফেনসিডিল ঢুকছেই। মাঝে কিছুদিন যশোরসহ এ অঞ্চলের কয়েকটি মাদকস্পট গুড়িয়ে দেওয়া, বন্দুকযদ্ধে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হওয়া, মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দেওয়া ছাড়াও বহুমুখী তৎপরতায় ‘মাদক ব্যবসা’ গুটিয়ে নেয় মাদক সম্রাটরা। আবার শুরু হয়েছে পুরোদমে।
ওপারের একাধিক সূত্র জানায়, শুধুমাত্র বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ভারতে ফেনসিডিল তৈরি হয়, ভারতে কেউ সেবন করে না। গোটা অঞ্চলের সব জেলায় একযোগে অভিযানের অভাবে এবং সীমান্ত ওপারের উৎস বন্ধ না হওয়ায় মাদক নির্মূলের সম্ভাবনা ক্ষীণ। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎস বন্ধ না করে যতরকম ব্যবস্থা নেওয়া হোক শূন্যের কোঠায় আসবে না। বিজিবি’র সূত্র জানায়, প্রায়ই দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় ফেনসিডিল পাচারসহ সীমান্তের অপরাধ নিয়ে। তারপরেও ফেনসিডিল আসছে এটি প্রমাণিত।
যশোর ও খুলনা বিজিবি’র তথ্যানুযায়ী গত এক সপ্তাহে শুধুমাত্র যশোর সীমান্তের ফেনসিডিল উদ্ধার ও চোরাচালানী আটকের চিত্র বলে দিচ্ছে ফেনসিডিল ঢুকছেই। খুলনা ২১ বিজিবি’র অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকারের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার যশোরের পুটখালী সীমান্তের পশ্চিম বারপোতা মাঠ থেকে ৫শ’ ৪০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল আটক করা হয়। যশোর ৪৯বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সেলিম রেজা দেওয়া তথ্যানুযায়ী গত বৃহস্পতিবার যশোর ৪৯ বিজিবি বেনাপোল ৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ফেনসিডিল পাচারকারী বেনাপোলের মহিশাডাঙ্গা গ্রামের ওমর ফারুককে আটক করে। গত সোমবার বেনাপোলের টেংরাইল পোস্ট হতে মালিকবিহীন ৭শ’৫০ বোতল ফেন্সিডিল এবং শাহজাদপুর বিওপি কর্তৃক ৯৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। আটক চোরাচালানীর নাম দুলাল সরদার (৩৮)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কাজুরিয়া গ্রামের মো. জুলফিকার সরদারের পুত্র। এর আগের দিন ১২ মে’১৯ খুলনা বিজিবি যশোরের পুটখালী সীমান্তের উত্তরপাড়া ইটের সলিং রাস্তা থেকে ৫৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ একজনকে আটক করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, বহুদিন ধরেই মাদকাসক্তদের সিংহভাগই নেশার জন্য ফেনসিডিল সেবন করে আসছে। এর মাত্রা মাঝেমধ্যে কম হয় আবার বাড়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইয়াবা। সীমান্তে দায়িত্বরত একজন বিজিবি কর্মকর্তা জানান, প্রায় প্রতিদিনই ফেনসিডিল আটক হচ্ছে কমবেশী। তারপরেও আসছে ভারত থেকে। তার মতে, ফেনসিডিল চোরাচালান মামলাগুলোর তদন্তের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে না। যথাযথ তদন্ত না হওয়া ও দুর্বল চার্জশীট আর সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে আটক সিংহভাগ ফেনসিডিল চোরাচালানী আইনের ফাঁকফোকরে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।