বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বুদ্ধ পূর্ণিমায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় চট্টগ্রামের বৌদ্ধ মন্দিরসহ ও তাদের সব ধর্মীয় স্থাপনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরী ও জেলায় ৩৫৫টি বৌদ্ধমন্দিরকে ঘিরে মোতায়েন করা হচ্ছে ছয় হাজারেরও বেশি পুলিশ। মন্দিরে থাকছে চার স্তরের নিরাপত্তা। শনিবার বুদ্ধ পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমায় উগ্রবাদি হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করে পুলিশ সদর দফতর এরইমধ্যে সারাদেশের ইউনিটগুলোতে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এই সতর্কবার্তা আমলে নিয়ে শুক্রবার বিকেল থেকেই চট্টগ্রামের বৌদ্ধমন্দিরগুলোতে পুলিশ মোতায়েন শুরু হয়। প্রতিটি মন্দিরের প্রবেশ পথে আর্চওয়ে বসানো হচ্ছে। এক সাথে যাতে অনেকে ভেতরে যেতে না পারে সে জন্য প্রবেশ পথ সীমিত করা হচ্ছে।
নন্দনকাননের বৌদ্ধমন্দিরের প্রধান ফটকে বাঁশ দিয়ে সরু প্রবেশ পথ তৈরী করা হচ্ছে। বিকাল থেকেই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নগরীতে ৩১টি বৌদ্ধ মন্দিরে বুদ্ধ পূর্ণিমার প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নগরীর নন্দনকানন, কাতালগঞ্জ এবং চান্দগাঁওয়ের মন্দিরগুলোকে নিরাপত্তার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, শ্রীলংকায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই আমরা সতর্ক আছি। এখন যেহেতু আরেকটা হুমকির বিষয় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে, আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা থাকবে। আশা করি, ধর্মীয় এই উৎসবটা আমরা নির্বিঘেœ এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারব।
সিএমপির নগর বিশেষ শাখার উপ কমিশনার মো. আব্দুল ওয়ারিশ খান জানান, নগর পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম, সোয়াত, বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট, নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম, মোবাইল টিম এবং রিজার্ভ ফোর্সসহ অতিরিক্ত আড়াই হাজার পুলিশ বৌদ্ধমন্দিরগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া থানা থেকে আরও প্রায় ৫০০ পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। সিএমপির গোয়েন্দ শাখার এডিসি (জনসংযোগ) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশও মাঠে থাকবে। ধর্মীয় এই উৎসবে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে সে জন্য পুলিশ সতর্ক থাকবে।
চট্টগ্রাম জেলার ১৬ উপজেলায় ৩২৪টি মন্দিরে বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠান হবে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ মন্দিরকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মন্দিরকে ঘিরে গতকাল বিকেল থেকে বিশেষ সর্তকর্তা জারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল। জেলায় সংশ্লিষ্ট থানা এবং রিজার্ভ ফোর্স মিলিয়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও জানান। থানার ওসি এবং জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারদের সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে পুলিশের পাশাপাশি নগরী ও জেলায় র্যাবের টিমও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এ জন্য ১৬টি টহল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এএসপি মো. মাশকুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।