নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিস গেইলের ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষই ধরে নেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর প্রায় আড়াই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ঠিক আগমুহূর্তে ওয়ানডেতে ফিরে শুরু করেন ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’। আর এখন আছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে নামার অপেক্ষায়। লম্বা বিরতির পর আবারও জাতীয় দলে ফেরাটা সম্ভব হয়েছে তার ভক্তদের কারণেই।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে গেইল ফেরেন ক্যারিবিয়ানদের ওয়ানডে দলে, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগমুহূর্তে। জিম্বাবুয়েতে হওয়া বাছাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল পর্ব নিশ্চিত করে এই ওপেনার কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো এক বছর। সেটা চলতি বছরে আরও উঁচুতে নিয়ে গেছেন ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। বছরের শুরুর দিকে ইংলিশদের বিপক্ষে খেলা চার ওয়ানডেতে দুটো সেঞ্চুরির সঙ্গে গেইলের আছে দুটো হাফসেঞ্চুরি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শেষে গেইল ক্যারিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপে নামার অপেক্ষায়। ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়ানডেতে অভিষেকের পর তিনি খেলেছেন সব বিশ্বকাপে। তবে এবারের আসরটি খেলা হচ্ছে তার ভক্তদের কারণে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা ‘পিটিআই’কে তেমনটাই জানিয়েছেন বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর ৩০ মাস বাইরে থাকা, এরপর ফিরে এসে আরেকটি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া- মাঝের এই জার্নিটা ভক্তদের জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন গেইল। তার ভাষায়, ‘সত্যি বলছি (আমি এটা করেছি) ভক্তদের জন্য, মোটেও মিথ্যা বলছি না। কয়েক বছর আগেও মনে হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে আমার। তখনই ভক্তরা এসে আমাকে বলেছিল ‘যেও না’। তারাই আসলে আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমি জানি কোনোকিছু একেবারে শেষ হয়ে যায় না। আশা করেছি, আমি তাদের আরও কিছু খেলা উপহার দিতে পারব। ওটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাকে বিশ্বকাপ জয়ের পথে ঠেলে দিয়েছে।’
যদিও গেইল কখনও কল্পনাও করেননি ৫টি বিশ্বকাপ খেলবেন, ‘কখনও ভাবিনি এমন কিছু হবে, কিন্তু সময় দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি এত বিশ্বকাপ খেলব, অথচ সেটাই হচ্ছে। লোকজন আমাকে আরও দেখতে চায়, আর সেটাই আমাকে আরও ভালো করার চেষ্টা করতে সাহায্য করে।’
২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দুটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপের জয়ের স্বাদ পান নি। তাই নিজের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘২০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, আসলেই সময় অনেক তাড়াতাড়ি চলে যায়। আমি কোনদিন কল্পনাও করিনি যে এতোগুলো বিশ্বকাপ খেলব। আমি ধারাবাহিক পারফর্মার ছিলাম, এটাই তার প্রমাণ। এটাই আমাকে সামনের পথে যেতে সাহায্য করেছে এবং আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। বিগত কয়েকবছর ধরে যে পরিশ্রম করেছি, যা এখন কাজে আসছে। মানুষ আপনাকে যতবেশী খেলতে দেখতে চাইবে, আপনি ততবেশী নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতে থাকবেন।’
এবারের বিশ্বকাপে গেইলই সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়েই ক্যারিবিয়ানদের দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপ শিরোপা জেতাতে চাইবেন এই ক্যারিবিয়ান। পহেলা জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে উইন্ডিজরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।