পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শেয়ারবাজারকে পতন থেকে ফেরাতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হলেও তার কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। বরং টানা দরপতন অব্যাহত রয়েছে। সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে চরম লেনদেন খরা। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। শেয়ারবাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জানুয়ারি মাসে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থান হয়। প্রায় এক মাস টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। কিন্তু জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে এসে ছন্দপতন ঘটে শেয়ারবাজারে। দেখা দেয় টানা দরপতন। এরপর একে একে সাড়ে ৩ মাস কেটে গেলেও দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি শেয়ারবাজার। ফলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শেয়ারবাজারের সমস্য সমাধানে সংশ্লিদের নির্দেশ দেয়া হয়। সরকারের উপর মহলের নির্দেশে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক।
শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে এমন নানামুখী উদ্যোগ নেয়ার পরও দরপতন অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২১৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে নেমে গেছে।
মূল্যসূচকে এই পতনের দিনে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে প্রায় তার তিনগুণের। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির। মূল্যসূচক ও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পাশাপাশি ডিএসইতে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। বাজারটিতে ২০১৮ সালের ২৫ মার্চের পর সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
মঙ্গলবার টাকার অঙ্কে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৫১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩০৫ কোটি ৩ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।