পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৩১ মে সউদী আরবে অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপান থেকে সউদী আরব যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি আগামী ২৮ মে ঢাকা ছাড়বেন। জাপান, সউদী আরব ও তৃতীয় আরেকটি দেশ সফর শেষে ঈদের পর দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জাপানের সবচেয়ে বড় মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিকেই প্রতি বছরের মতো এবারও টোকিওতে ‘ফিউচার অব এশিয়া’ অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। আগামী ৩০ ও ৩১ মে অনুষ্ঠিতব্য এ আয়োজনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিকেইয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মে সকালে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা। এরপর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন। একই দিন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডা. মাহাথির মোহাম্মদও বক্তব্য দেবেন ওই অনুষ্ঠানে। পরদিন অন্য একটি অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে অংশ নেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান ৪০তম ওডিএ (অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স) প্যাকেজের জন্য আলোচনা করছে। এই প্যাকেজের আওতায় জাপান আমাদের ২২০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে, যা মাতারবাড়ি বন্দর ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ব্যবহার হবে।
এছাড়া ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্টের একটি অংশ বাস্তবায়নেও এখান থেকে অর্থ ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ২৯ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকের পরে আমরা এই বিষয়ে একটি চুক্তি সই করতে সমর্থ হবো।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নেতারা ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। আশা করা হচ্ছে সেখানে সাইডলাইনে তাদের কারো কারো সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে। আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে আমরা জাপানের সহায়তা চাইবো।
এদিকে, আগামী ৩১ মে সউদী আরবে ওআইসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপান থেকে সউদী আরব যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, মুসলিম বিশ্বের সংহতি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী সেখানে বক্তব্য দেবেন। তিনি জানান, এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তাও চাইবেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই কর্মকর্তা জানান, সম্মেলন শেষে একটি ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। ওই ইশতেহারে রোহিঙ্গা ইস্যুটি যেন জোরালোভাবে আসে তার জন্য আলোচনা করবে বাংলাদেশ। সউদী সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন এবং মদিনা সফর করবেন। এদিকে সউদী আরবের সফরের পরে ব্যক্তিগত সফরে আরেকটি দেশে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা এটি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা করছি এবং সবকিছু ঠিক থাকলে ব্যক্তিগত সফর শেষে তিনি ঈদের পর ঢাকা ফিরবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।