পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরব পুঁজিবাজারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩৫ বিলিয়ন ডলার (দুই লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগে করবে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারেই আসবে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে সউদী আরবের বিনিয়োগ আনতে গঠিত কমিটির কার্যক্রম দ্রæতগতিতে এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে সউদী আরব যেসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে সেগুলোর পর্যালোচনা কম সময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। পর্যালোচনা প্রতিবেদন সউদী সরকারের কাছে পৌঁছানোর পর বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। বিষয়টি এগিয়ে নিতে সরকার ‘নির্বাহী মনিটরিং কমিটি’ নামে এ-সংক্রান্ত দুটি কমিটি গঠন করেছে। একটি মন্ত্রীদের সমন্বয়ে। অন্যটি সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই দুই কমিটির সনম্বয়ে তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সভায় আটটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ, ঢাকা-বরিশাল রেল লাইনসহ আরও কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সূত্র জানায়, ঢাকাকে একটি এভিয়েশন হাব বানানো হবে। যেটা দুবাইতে আছে। এভিয়েশন হাব হচ্ছে, যেখানে উড়োজাহাজ মেরামতসহ নানা সুবিধা থাকবে। সবায় বিনিয়োগ সুরক্ষা তহবিল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশ্বের বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সউদী আরবের আরামকো কোম্পানির বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি একাই বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৪ মে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে আমাদের পর্যালোচনামূলক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে সউদী আরবের বিনিয়োগের বিষয়ে কথা হবে। তিনি বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার এখানও শক্তিশালী অবস্থানে নেই। এখানে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এখানে আকৃষ্ট করতে কাজ করছি।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কয়েক বছর ধরেই এদেশে সউদী আরবের বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চলছে। সউদী বাদশাহ এবং প্রিন্স দুজনই বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহী। এ কারণে সম্প্রতি সউদী আরবের মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। ওই সময় বাংলাদেশের চলমান ও প্রস্তাবিত কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সউদী আরবের কাছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পুঁজিবাজার উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে দেশটির কাছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের এই প্রস্তাব ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে সউদী আরব।
চীনের সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জে সউদী আরবে বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বড় স্টক মার্কেটে সউদী আরব বিনিয়োগ করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারও তাদের পছন্দ।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেন, আমরা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছে জানতে চেয়েছি সউদী আরব আমাদের পুঁজিবাজারে কীভাবে বিনিয়োগ করবে? তারা কি সরাসরি শেয়ার কিনবে নাকি অন্য কোনোভাবে। তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে সউদী বিনিয়োগ আসলে বাজার আরও উন্নত হবে।
বিডা সূত্রে জানা গেছে, তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে এসে উৎপাদনশীল খাতে সউদী আরব বিনিয়োগ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ডে ২৫০ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। এর পুরোটাই এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সউদী সরকার। বাংলাদেশ তাদের সেই বিনিয়োগ আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বিনিয়োগ বৃদ্ধির ভিশন ঠিক করেছে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ সউদী আরব। সঠিক পরিকল্পনায় এই বিনিয়োগ কীভাবে, বাংলাদেশের কোন কোন খাতে করা করা হবে তা নির্দিষ্ট করে দিতে ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে বিজনেস কাউন্সিল। এই কাউন্সিলের নাম দেয়া হয়েছে ‘সউদী-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি ফর ইনভেস্টমেন্ট’। সউদী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন ওই কমিটিতে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।