পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছোট্ট একটা শব্দ ‘মা’। বিশাল তার পরিধি! সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে মধুর এই শব্দটা শুধু মমতার নয়, ক্ষমতারও যেন সর্বোচ্চ আধার। মা’র অনুগ্রহ ছাড়া কোনো প্রাণীরই প্রাণ ধারণ করা সম্ভব নয়। তিনি আমাদের গর্ভধারিনী, জননী। কথাগুলো বলছিলেন গণ সাক্ষরতা অভিযান-এর নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নানা আয়োজনে দেশব্যাপি আন্তর্জাতিক মা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১২ মে) এস ও এস শিশু পল্লী বাংলাদেশে কর্মরত মায়েদের পেশার প্রতি সম্মান ও তাঁদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষ্যে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে। এস ও এস শিশু পল্লী ঢাকায় আলোচনা সভা এবং এস ও এস মায়েদের সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা কে চৌধুরী এসব কথা বলেন। অতিথি হিসেবে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নজরুল গীতি শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও টিভি অভিনেত্রী দিলারা জামান বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সফল শিল্প উদ্যোক্তা কনা রেজা।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, গর্ভধারণ করলেই যে মা হয় তা নয়; জন্ম না দিয়েও যে মা হওয়া যায় তা এই এসওএস শিশু পল্লীতে না আসলে বোঝা যেত না। এটা বড় পাওয়া। শিশু পল্লীর একেক জন মায়ের ২১, ২০ এবং ১৭ জন করে সন্তান। এসব অসহায় শিশুদের শুধু মায়ের ¯েœহেই নয়; পাপরিবারিক পরিবেশে বড় করে তুলছেন এসব মায়েরা। তিনি বলেন, এসওএস শিশু পল্লীর এসব শিশুরা ভাগ্যবান। তারা মা পেয়েছে। পাশাপাশি পরিবার এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাচ্ছে।
রাশেদা কে চৌধুরী এ রকম অসহায় শিশুদের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশু পল্লী গড়ে তুলতে সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে এস ও এস শিশু পল্লী আন্তর্জাতিক শিশু পল্লী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১২ জন এস ও এস মাকে সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ সময় এস ও এস শিশু পল্লী বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডাইরেক্টর গোলাম আহমেদ ইসহাক, ডেপুটি ন্যাশনাল ডাইরেক্টর ডা. মোহাম্মদ এনামুল হক এবং প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংস্থা এস ও এস শিশু পল্লী। বাংলাদেশের এস ও এস শিশু পল্লীতে শতাধিক মা কর্মরত আছেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে নানা কারণে পরিবার হারা হয়ে পড়েছে বা পিতা-মাতার যতœ বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে এমন প্রায় সহ¯্রাধিক শিশুদের এস ও এস শিশু পল্লীর তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব নিয়ে এস ও এস মায়েরা পারিবারিক পরিবেশে ও মাতৃ¯েœহে লালন-পালন এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল ও প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।