Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাফল্যে এগিয়ে মাদরাসা বোর্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৯, ৬:০৭ পিএম

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার বেড়েছে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার বাড়লেও জিপিএ ফাইভ কমেছে। তবে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-ফাইভ বেড়েছে গত বছরের থেকেও দ্বিগুণ। গতকাল সোমবার ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ ভাগ। গত বছর ছিল ৭০ দশমিক ৮৯ ভাগ। অংশগ্রহণকারী ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৭১০ জন। পাসের হার বেড়েছে ১২ দশমিক ১৪ ভাগ।
পাসের হারের পাশাপাশি প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২৮৭ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৭১ জন। এবার ২ হাজার ৯১৬ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। এদিকে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪ হাজার ৫৫৬ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন। সে হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ কমেছে ৮ হাজার ২৮৯ জন।
আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশমিক ২৪ ভাগ। গত বছর ছিল ৭১ দশমিক ৯৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪১৩ জন। এই বোর্ডে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটিই কিছুটা বেড়েছে।
এ বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ ভাগ যা গত বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ৪৩ ভাগ বেশি। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ কমেছে ৫ হাজার ৩৫ জন।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র।
গতকাল সোমবার এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এক বছরের ব্যবধানে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার এত বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, বোর্ডের ফলাফলের ভিন্নতা অস্বাভাবিক নয়।
ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ