মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের জনগণ যদি শেনজেন এলাকায় ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার না পায় তাহলে শরণার্থীদের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তিটি আটকে দিতে পারে তুরস্কের পার্লামেন্ট। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গত বুধবার এ কথা বলেছেন। গত মার্চে হওয়া চুক্তিটিতে ইইউর পাসপোর্টমুক্ত শেনজেন এলাকায় প্রবেশাধিকারের বিষয়টি ছিল তুরস্কের প্রধান একটি দাবি। তবে ইইউ জানায়, প্রবেশাধিকার অনুমোদন করতে পারার আগে সন্ত্রাস আইনসহ তুরস্কের এখনো নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করা দরকার। চুক্তি অনুসারে, শেনজেন এলাকায় ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পেতে হলে জুনের শেষ নাগাদ তুরস্ককে ৭২টি শর্ত পূরণ করতে হবে। তবে গত সোমবার এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, সম্ভবত শর্তগুলো সম্পূর্ণ করার যথেষ্ট সময় নেই।
এই পরিস্থিতিতে ইস্তাম্বুলে ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটারিয়ান সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, যদি এটা না হওয়ার দিকে যায় তাহলে তুর্কি প্রজাতন্ত্রের পার্লামেন্ট থেকে চুক্তি স্বীকৃতির কাঠামোর মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত বা আইন আসবে না। এ ছাড়া ইইউর প্রতিশ্রুত অর্থ এখনো ছাড় দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ইউরোপ অভিমুখে শরণার্থীর ¯্রােত ঠেকাতে ইইউ ও তুরস্কের মধ্যে ওই চুক্তিটি হয়েছিল। তুরস্কের পক্ষে প্রধানত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভোতুগলু চুক্তিটি করেছিলেন। এর আগে খবরে বলা হয়, ইউরোপমুখী অভিবাসীদের ঢল নিয়ন্ত্রণের জন্য তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি চুক্তি সই করেছে। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, অভিবাসীদের ইউরোপে প্রবেশ করতে দেবে না তুরস্ক। এর বিনিময়ে অভিবাসীদের পেছনে ব্যয়ের জন্য তুরস্ককে ৩০০ কোটি ইউরো দেয়া হবে। এ ছাড়া ইউরোপের ২৬টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ পাবে তুরস্কের জনগণ। এর ফলে ইইউর সাথে তুরস্কের সম্পর্ক আরো জোরালো হয়েছে। তুরস্কের পক্ষ থেকে অভিবাসীদের জায়গা দেয়ার জন্য ইইউর কাছ থেকে প্রতি বছর অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে ইইউ আগামী দুই বছরের জন্য ওই ৩০০ কোটি ইউরো দেবে। চলতি বছর এরই মধ্যে তুরস্কসংলগ্ন গ্রিস উপকূল দিয়ে সাত লাখ ২০ হাজার অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করেছে। মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের অভিবাসীরা তুরস্ক হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে থাকে। বিবিসি, রয়টার্স,এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।