পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না
সময় বাঁচবে দেড় ঘণ্টা
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেন যাবে কক্সবাজার। এতোদিন এই পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। এতে করে ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় লাগতো। ঢাকা থেকে যাতে সরাসরি কক্সবাজার ট্রেন যেতে পারে সেজন্য কর্ডলাইন স্থাপন করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। এটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটক ও ভ্রমণপিয়াসীরা চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতি ও বিলম্ব এড়িয়ে রাজধানী থেকে সরাসরি পৌঁছে যাবে কক্সবাজার। এতে যাত্রার সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা কমে আসবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে চট্টগ্রামমুখী ট্রেনগুলোর শেষ গন্তব্য চট্টগ্রাম হওয়ায় সাইডিং লাইনে ট্রেন কক্সবাজারে যেতে সময়ক্ষেপণ হবে। সময় বাঁচাতে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ফৌজদারহাট থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার কর্ডলাইন নির্মাণ করে ষোলশহর স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছে রেলওয়ে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আধুনিক রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর ২০১৭ সালের জুনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়, যা চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ডিপিপি তৈরির মাধ্যমে প্রকল্পের আটটি মূল কাজ শেষ করবে রেলওয়ে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত মিটার গেজ রেলপথ থাকলেও নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে তা ডুয়াল গেজে রূপান্তর করা হবে। পাশাপাশি ফৌজদারহাট থেকে একটি কার্ভ বা কর্ডলাইন নিয়ে ষোলশহর রেলস্টেশনে যুক্ত করা হবে। রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয় ট্রেনকে চট্টগ্রাম স্টেশনে যেতে হলে সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতির পর লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) বিচ্ছিন্ন করে ট্রেনের অন্য প্রান্তে সংযুক্ত করতে হবে। এরপর দ্বিগুণ দূরত্ব পেরিয়ে ট্রেনটিকে ষোলশহর স্টেশন পৌঁছতে হবে। যারা ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে চান তারা ভ্রমণকালে এমন বিলম্বে বিরক্ত হবেন। তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে বাড়তি সময় লাগবে। এজন্য সময় বাঁচাতে ও যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্ডলাইন নির্মাণ জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
উদাহরণ হিসেবে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, একসময় ঢাকা-সিলেট রেলপথে আখাউড়া জংশন অতিক্রম করতে হতো। প্রায় এক দশক আগে পাঘাচং থেকে আজমপুর পর্যন্ত আট কিলোমিটার কর্ডলাইন নির্মাণের সুবাদে সিলেটগামী ট্রেনগুলো আগের চেয়ে ১ ঘণ্টা কম সময়ে যাত্রী ও মালপত্র পরিবহন করছে। একইভাবে ফৌজদারহাট থেকে কর্ডলাইন হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেনগুলো চট্টগ্রাম স্টেশনে না গিয়ে সরাসরি ষোলশহর স্টেশন হয়ে কক্সবাজারে পৌঁছবে। কক্সবাজার থেকেও একই পথে ট্রেনগুলো ঢাকা ও অন্যান্য গন্তব্যে যেতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, ফৌজদারহাট থেকে ষোলশহর পর্যন্ত কর্ডলাইন নির্মাণের বিষয়টি ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের একটি অংশ মাত্র। পর্যটন শহরের যাত্রীরা নিতান্তই বিনোদনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করবে। এজন্য ভ্রমণ সময় যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনা যায়- সে বিষয়ে কাজ করছে রেলওয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।